দেশে ৩ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ এখনো দরিদ্র
দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ দরিদ্র সীমার নিচে বাস করছে। খাদ্য অধিকার বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে- দেশে বর্তমানে ৩ কোটি ৮৫ লাখ মানুষ দরিদ্র। যা জনসংখ্যার ২৪ দশমিক ৫ শতাংশ। যার মধ্যে ১ কোটি ৫৭ লাখ মানুষ অতিদরিদ্র, যা মোট জনগোষ্ঠীর ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।
বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ আয়োজিত ‘খাদ্য অধিকার ও নিরাপদ খাদ্য’ শীর্ষক এক মতবিনিময় সভায় এ প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন খাদ্য অধিকার বাংলাদেশ ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক মহসিন আলী। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য আব্দুল ওয়াদুদ।
মহসিন আলী বলেন, ‘দরিদ্র্যের হার কমলেও দরিদ্রসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা এখনও ১৯৯০ সালের মতোই, প্রায় ৪ কোটি। এর মধ্যে অর্ধেক জনগোষ্ঠী দুই বেলা প্রয়োজনীয় খাবার পায় না। পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, সমগ্র জনগোষ্ঠীর এক বিশাল অংশ দরিদ্র থেকে ক্রমাগত দরিদ্রতার ঝুঁকির মধ্যে থেকে স্থায়ীভাবে নীচের ধাপে অবস্থান করছে।’
পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশননের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদের বলেন, ‘আমাদের পুষ্টি দেয় এমন নিরাপদ খাদ্য খাওয়া উচিত। বিশেষ করে দেশের উন্নতির জন্য মানুষের এসব নিরাপদ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে। মানুষ ছাড়া উন্নতি করা যায় না। সেই জন্য তার ন্যায্য অধিকার দিতে হবে। তাকে সমাজের সকল রকম সুবিধা দিতে হবে। সকলকে টেকশই উন্নয়নের জন্য এগিয়ে নিতে সবাইকে উৎসাহিত করতে হলে সবাইকে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে।’
নিরাপদ খাদ্য ও সকলের খাদ্য অধিকার প্রতিষ্ঠায় নাগরিক সমাজের সুপারিশমালাগুলো হলো- নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে যতদ্রুত সম্ভব দেশব্যাপী ‘নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ’র জনবহুলসহ সকল কার্যক্রম বিস্তৃত করা।
‘নিরাপদ খাদ্য আইন‘ ও জনগণের কিরণীয় সম্পর্কে তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার লক্ষ্যে অবিলম্বে সরকারি, বেসরকারি ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
নিরাপদ খাদ্য আইনের বিধান অনুযায়ী কেন্দ্রীয় খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি এবং জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটি গঠনের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
নিরাপদ খাদ্যের ক্ষেত্রে অপরাধীদের বিচারের জন্য দ্রুত সম্ভব বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত কার্যকর করার মাধ্যমেও শাস্তি প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করা। খাদ্য অধিকার বাস্তবায়নে সরকার কর্তৃক অবিলম্বে আইনী কাঠামো প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. আব্দুল ওয়াদুদ বলেন, ‘৮ বছর আগে আমরা খাদ্য ঘাটটিতে ছিলাম। সরকারের সুনির্দিষ্ট নীতিমালার কারণে আমরা এগিয়ে গেছি। বিপুল খাদ্য উৎপাদন করতে পেরেছি।’
ড. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আইনের প্রয়োগ জোরদার করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। আসলে আমরা শুধু দেশটাকে আইন দিয়ে পুলিশি রাষ্ট্র করতে চাই না। পুলিশ তো আমার ঘরে, কারখানায় ঢুকতে পারবে না। আমরা সবাই যদি অনৈতিকতায় ভোগী তাহলে রাষ্ট্র চলবে না। রাষ্ট্রের মন্ত্রণালয়গুলোতে অনেক আইন আছে। রাষ্ট্রের আমি এবং আপনি ঠিক না হলে সচেতনতা বাড়বে না। পরিবর্তন হবে না।’
তিনি বলেন, ‘কোকাকোলার মতো কেমিক্যালও অনুমোদন দিচ্ছে বিএসটিআই। আমাদের চরিত্রে পরিবর্তন আসা দরকার। কিটনাশক বা কেমিক্যালের ট্যাক্স বৃদ্ধি করা দরকার। তাহলে কৃষক সবজিতে অতিরিক্ত কেমিক্যাল ব্যবহার করতে পারবে না।’
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওষুধ প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক ড. আ ব ম ফারুক, ব্রিটিশ কাউন্সিলের টিম লিডার ক্যাথরিন সিসিল, উইন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ম্যানেজার নুরুল আমিন প্রমুখ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন