দেশ বদলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরবেন পিটারসেন?
২০১৪ সালের জানুয়ারিতে শেষবারের মতো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছিলেন কেভিন পিটারসেন। তার পর থেকেই তিনি অপেক্ষায় আছেন জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার জন্য। কিন্তু দুই বছর পেরিয়ে গেলেও অপেক্ষা শেষ হয়নি পিটারসেনের। বরং ইংল্যান্ড দলে ফেরার সম্ভাবনা যে খুবই কম, সেটাই কয়েকবার স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। কিন্তু তাতেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার আশা ছেড়ে দেননি তিনি। এখন দেশ বদলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার স্বপ্ন দেখছেন ৩৫ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার।
ইংল্যান্ডের হয়ে যে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার সুযোগ নেই, সেটা হয়তো এতদিনে বুঝেই গেছেন পিটারসেন। তাই এখন মুখ ঘুরিয়েছেন জন্মভূমি দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে। ২০১৮ সালে প্রোটিয়াদের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ থাকবে পিটারসেনের সামনে। আর সেই সম্ভাবনা একেবারে উড়িয়েও দেননি এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘হ্যাঁ, এটা আমার মাথায় আছে। যদি তেমনটা হয় তো হবে, না হলে নাই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটটা আমি লম্বা সময় ধরে খেলিনি। আমি কি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে মিস করি? আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাটিং করা মিস করি? হ্যাঁ, সত্যিই করি। কাজেই সামনে কী হতে পারে, তা কেউই জানে না।’
ইংল্যান্ডের হয়ে খেললেও ১৯৮০ সালে পিটারসেনের জন্ম হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকায়। ক্রিকেটের হাতেখড়িও সেখানেই হয়েছিল তাঁর। দক্ষিণ আফ্রিকাতেই তিনি খেলেছিলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট। পরে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমিয়ে সেখানেই থিতু হয়েছেন। ২০০৪ সাল থেকে শুরু করেছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ক্যারিয়ার। সব কিছু ভালোভাবেই চলছিল। ২০০৫ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ১০৪টি টেস্ট খেলে করে ফেলেছিলেন ৮১৮১ রান। ওয়ানডেতেও করেছিলেন ৪৪৪০ রান। কিন্তু ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হোম সিরিজের সময় বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন পিটারসেন। প্রোটিয়া অধিনায়ক গ্রায়েম স্মিথের কাছে ইংল্যান্ড শিবিরের খবরাখবর পাচারের অভিযোগ ওঠে পিটারসেনের বিরুদ্ধে। এরপরই ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের রোষানলে পড়েন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। এরপরও অবশ্য ডাক পেয়েছিলেন ইংল্যান্ড দলে। ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের অ্যাশেজ জয়ের পেছনেও বড় ভূমিকা ছিল পিটারসেনের। কিন্তু পরের অ্যাশেজ সিরিজে ৫-০ ব্যবধানে হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পরই বলির পাঁঠা বনে যেতে হয়েছে তাঁকে। সেবার ইংল্যান্ডের হতাশাজনক পারফরম্যান্সের মধ্যেও অবশ্য উজ্জ্বল ছিলেন পিটারসেন। তিনিই করেছিলেন ইংল্যান্ডের পক্ষে সবচেয়ে বেশি রান। কিন্তু তা সত্ত্বেও আর দলে ডাকা হয়নি এই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানকে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন