দ্বিগুণ ভাড়া আদায় ফিরতেও ভোগান্তি !
প্রিয়জনের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতে ঈদের আনন্দ শেষে আজ শুক্রবার মানুষ রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে। দুপুরে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে বাড়ি থেকে ফেরা মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, নির্দিষ্ট সময়ে বাস ছাড়েনি। যানজটে পড়ে বসে থাকতে হয়েছে। আবার সায়েদাবাদ টার্মিনালে আসা আন্তঃজেলা পরিবহণগুলো বাড়তি ভাড়া আদায় করেছে।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, এস আলম, সৌদিয়া, ড্রিমলাইন, ইকোনো সার্ভিস, হামিম, পর্যটক, মেঘনা ট্রাভেল, সাকুরা, স্টার লাইন, রূপসী বাংলা, সুগন্ধা, রয়েল, অভিযান, পদ্মা, এশিয়াসহ বিভিন্ন পরিবহণের বাস যাত্রী নিয়ে ঢাকায় এসেছে। কোনো বাসে আসন খালি ছিল না।
মালিবাগের বাসিন্দা মো. একরামুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, বৃদ্ধ বাবা-মার সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে কুমিল্লা থেকে রয়েল পরিবহণের বাসে ঢাকায় ফিরলেন। রাস্তায় দীর্ঘ যানজট ছিল। যানজটে পড়ে গরমে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ভোর ৫টায় বাস ছাড়া কথা থাকলেও ৭টায় ছেড়েছে।
৪০০ টাকার ভাড়া তার কাছ থেকে ৮০০ টাকা আদায় করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
যাত্রাবাড়ীর বাসিন্দা আসলামুল হক রাইজিংবিডিকে বলেন, বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করে ঢাকায় ফিরেছেন। শনিবার অফিস করতে হবে তাই আজ (শুক্রবার) চলে এসেছেন। যাওয়ার সময় দ্বিগুণ দামে টিকিট কাটেন। ঢাকায় আসার সময়ও দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে এসেছেন।
সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে কথা হয় আব্দুল্লাহিল মাহমুদ নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার অফিস খুলেছে। একদিনের ছুটি নিয়েছিলাম। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে আজ ঢাকায় চলে এলাম। বাড়ি যাওয়ার সময় দ্বিগুণ ভাড়া দিতে হয়েছে। আসার সময়ও দ্বিগুণ ভাড়া আদায় করা হয়েছে। মেঘলা পরিবহণের বাসে মাদারীপুরের মোস্তফাপুর থেকে সায়েদাবাদের ভাড়া ৪০০ টাকা হলেও তাকে ৯০০ টাকা গুনতে হয়েছে।’
কথা হয় মেঘলা পরিবহণের কাউন্টারের টিকিট মাস্টার মিল্টন রায়ের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঢাকায় যাত্রী নামিয়ে খালি গাড়ি চালিয়ে যেতে হয়। এ ছাড়া রাস্তায় যানজট রয়েছে। এ কারণে কিছু বাড়তি ভাড়া নিতে হচ্ছে।’
রাজধানীর গুলিস্তান-ফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড ঘুরে দেখা গেছে, টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস, বিআরটিসি, ইলিশ, সোনার তরী, স্বাধীন, গাংচিল, আরাম, নগর, আজমীরিসহ বিভিন্ন পরিবহণের বাস বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসছে। একটি বাসেও আসন খালি নেই। যাত্রীরা অভিযোগ করেছেন- পরিবহণগুলো যাত্রীদের জিম্মি করে ইচ্ছেমতো ভাড়া আদায় করছে।
কেরানীগঞ্জের বাসিন্দা সিফাতুল হক বলেন, বাবা-মার সঙ্গে ঈদ করে বাড়ি থেকে ঢাকায় ফিরলেন। বৃহস্পতিবার রাত ৩টায় টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ার কথা থাকলেও গাড়ি ছেড়েছে সকাল সাড়ে ৮টায়।
তিনি বলেন, গরমে পরিবার নিয়ে ঢাকায় আসতে অনেক কষ্ট হয়েছে। দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে আসতে হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন