দ্রুত তদন্ত শেষ করতে চিঠি দেবে মানবাধিকার কমিশন
তনু হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেবে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক মঙ্গলবার রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন।
রিয়াজুল হক বলেন, তনু হত্যার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে শক্ত তাগাদা দেবো, যাতে দ্রুত গতিতে তদন্ত কাজ শেষ হয়। আর যদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের চিঠি পেয়ে ত্বরিত পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে বিষয়টি রাষ্ট্রপতিকে জানানো হবে বলে জানান তিনি।
তবে চিঠিতে কাজ হবে না বলে মনে করেন কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, অনেক হত্যাকাণ্ড নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে তার নেতৃত্বাধীন মানবাধিকার কমিশন। সেই চিঠির কোনো উত্তর তারা পায়নি। দুই থেকে পাঁচ বছর পেরিয়ে গেলেও কোন চিঠির উত্তর আসেনি বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন ড. মিজানুর রহমান। তিনি বলেন, তনু হত্যা মামলার তদন্ত দ্রুত শেষ করতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়ার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন সেটা কতটুকু ফলপ্রসু হবে তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ আছে।
কুমিল্লার ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী ও নাট্যকর্মী সোহাগী জাহান তনুর হত্যারহস্য এখনো উন্মোচিত হয়নি। কারা, কেন, কী কারণে তাকে খুন করেছে- ঘটনার ছয় মাস পার হলেও মেলেনি এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর। আলোচিত এই হত্যার তদন্তে দৃশ্যমান তেমন কোনো অগ্রগতি নেই। তদন্তের এ পর্যায়ে তনুর পোশাক থেকে পাওয়া ধর্ষণের আলামতসহ যে তিন ব্যক্তির ডিএনএ নমুনা পাওয়া গেছে, তা সন্দেহভাজনদের ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। এরই মধ্যে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির সঙ্গে ডিএনএ নমুনা মিলিয়ে দেখা হলেও তাতে অপরাধী শনাক্ত করা যায়নি। এনিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তার পরিবার। এছাড়া বিক্ষোভ মিছিল সমাবেশ করেছে গণজাগরণ মঞ্চ কুমিল্লা শাখা।
গত ২০ মার্চ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী ও নাট্যকর্মী তনু খুন হন। ওই দিন রাতে কুমিল্লার ময়নামতি সেনানিবাসের ভেতরে ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ২১ মার্চ দুপুরে তনুর লাশের প্রথম ময়নাতদন্ত হয়। ওই দিনই তাকে কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলা মির্জানগর গ্রামে দাফন করা হয়। প্রথম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ওঠার পর আদালদের নির্দেশে ২৮ মার্চ কবর থেকে লাশ তুলে দ্বিতীয় ময়নাতদন্ত হয়। দীর্ঘ সময়ক্ষেপণের পর যে প্রতিবেদন দেয়া হয়, তাতে বলা হয়, মৃত্যুর কারণ নির্ণয় করা যায়নি।
তদন্ত-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এখন আসামি শনাক্ত করার জন্য ডিএনএ পরীক্ষায় প্রাপ্ত নমুনা (প্রোফাইল) প্রধান ভরসা। গত মে মাসে ডিএনএ প্রতিবেদন হাতে পায় সিআইডি। এরপর ছয় মাস পার হলেও সেটা কাজে লাগাতে পারেনি সিআইডি।
সূত্র জানায়, এরই মধ্যে তনু হত্যারহস্য উদ্ঘাটনে তার বন্ধু, সেনাসদস্যসহ বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতকারী পুলিশ সদস্য ও ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসকের বক্তব্য নেয়া হয়েছে। তনুর মা-বাবা, ডাক্তার, নার্সসহ একাধিক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সিআইডি কয়েকজন সেনাসদস্যকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
আজিমপুরে বাসায় ডাকাতি, মালামালের সঙ্গে দুধের শিশুকেও নিয়ে গেছে ডাকাতরা
ঢাকার আজিমপুরে মেডিকেল স্টাফ কোয়ার্টারে একটি বাসায় দিনে দুপুরে ডাকাতিরবিস্তারিত পড়ুন
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দুই পক্ষের সংঘর্ষ
সুনামগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়াবিস্তারিত পড়ুন
ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে বিক্ষোভে উত্তাল প্যারিস
উয়েফা নেশন্স লিগে ফ্রান্স-ইসরায়েল ম্যাচের আগে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভে উত্তাল হয়েবিস্তারিত পড়ুন