স্বামী ধনী। প্রেমিক সাধারণ। তবুও প্রেমিককে দিয়ে স্বামীকে খুন করায় মনুয়া মজুমদার। কিন্তু কেন ? মনোবিদদের ধারণা‚ এর জন্য দায়ী মনুয়ার স্বামী অনুপম সিংহের অতি ভালমানুষি। স্বামীর গুড বয় ভাবমূর্তিটাই অপছন্দ করত উচ্ছ্বল মনুয়া। ঘটনাটি ভারতের উত্তর চব্বিশ পরগনার।

কয়েক বছরের সম্পর্ক থাকলে কী হবে ! অনুপমকে বিয়ের ইচ্ছে মোটেও ছিল না মনুয়ার। বাবা-মায়ের কথায় বাধ্য হয় বিয়ে করতে। অনেক টালবাহানার পরে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ‚ জেরায় পুলিশকে মনুয়া জানিয়েছে অনুপমের সঙ্গে দাম্পত্যে তার দমবন্ধ লাগত।

অনুপম-মনুয়ার দুজনের মানসিকতা‚ পছন্দের লাইফস্টাইল‚ কোনওটাই মিলত না। মনুয়ার অভিযোগ‚ সাঙ্ঘাতিক রক্ষণশীল অনুপম পছন্দ করতেন না মনুয়া কোনও সোশ্যাল সাইটে কারও সঙ্গে চ্যাট করে। এমনকী বাধা দিতেন নাচ শিখতে বা চাকরি করতেও। অনুপম বা তাঁর পরিবারের সদস্যরা অপছন্দ করত মদ্যপান। কিন্তু মনুয়া অভ্যস্ত ছিল সুরায়।

শেষে মনুয়া ঠিক করল‚ স্বামীকেই সরিয়ে দেবে। ছক কষে প্রেমিক অজিতের সঙ্গে। হত্যার আগে বেশ কয়েকবার নাকি ট্রায়ালও দেয় অজিত ! মনুয়ার সঙ্গে শারীরিক ভাবে মিলিতও হয় সে। প্রেমিকের হাতে স্বামীর হত্যা দেখবে বলে অপেক্ষায় ছিল মনুয়া। কিন্তু বাবার ফোন পেয়ে তাকে চলে যেতে হয়।

পুলিশকে জেরায় মনুয়া জানিয়েছে‚ নিজের ঘরে অজিতকে রেখে সে চলে যায় বাবা-মার কাছে। বলে যায়‚ ফোনে শুনবে স্বামীকে হত্যা পর্ব। অভিযুক্ত হত্যাকারী অজিতের কাছে পুলিশ জানতে পেরেছে‚ মনুয়া যাওয়ার পরে সে মদ্যপান করে। তারপর অনুপম এসে দরজার তালা খুলতেই মাথায় রড মেরে হত্যা করে। অজিতের পকেটে রাখা ফোন মারফত অনুপমের আর্তনাদ শোনে মনুয়া।

– ইন্টারনেট