ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: ফারজান আরা রিমি
ফারজান আক্তার রিমি একজন নারী। তিনি যে হোটেলে কর্মরত সেই হোটেলেই দুজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। অথচ বনানীর রেইনট্রি হোটেলের এই এক্সিকিউটিভ ইন্টারনাল অপারেশন অফিসার অদ্ভুত এক দাবি করেছেন! তার দাবি, সেদিন সাফাত ও তার সঙ্গীরা অস্ত্র নিয়ে হোটেলরুমে যায়নি। এমনকী অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের ঘটনাটি সত্য নয় বলেও গণমাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন রিমি!
শনিবার গণমাধ্যমের কাছে এই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, “এই হোটেলে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণের যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটা মিথ্যা কথা। কারণ যেদিন এই ঘটনা ঘটেছে সেদিন আমাদের আর্চওয়ে নষ্ট ছিল। তাই দেহরক্ষীরা তাদের অস্ত্র রিসিপশনে রেখে গিয়েছেন। এছাড়া তারা কোনো মাদকদ্রব্য নিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেন নাই। তবে কোনো মাদকদ্রব্য খেয়ে এসেছিলেন কিনা তা আমরা বলতে পারবো না। ”
তিনি দাবি করেন ঐদিন দুই ছাত্রীর চিৎকারের আওয়াজ তাদের কানে আসেনি। হোটেলের রুমগুলো সাউন্ডপ্রুফ হওয়ায় শব্দ আসার তেমন সুযোগও নেই। কিন্তু তিনি পুরো ঘটনাটিকেই কাল্পনিক হিসেবে প্রমাণ করতে অদ্ভুত এক যুক্তি দাঁড় করান। তার বক্তব্য, “এই হোটেল ওপেন করা হয়েছে (উদ্বোধন হয়েছে) চলতি বছরের ৯ এপ্রিল। কিন্তু ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে ২৮ মার্চ। সুতরাং এসব ঘটনা আমাদের রেকর্ডে নেই। ”
তাহলে সেদিন আসামীদের অস্ত্র রেখে যাওয়ার বিষয়টি তিনি কীভাবে রেকর্ড করলেন তার কোনো সুদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।
এদিকে শনিবার সকালে হোটেল রেইনট্রিতে মানবাধিকার কমিশনের একটি তদন্ত দল তদন্ত কাজে যান। তারা হোটেলের ম্যানেজার থেকে শুরু করে সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। যে রুমে এই ঘটনা ঘটেছে বলে সবাই মনে করছে সেই রুমেও ভালোভাবে তদন্ত করে দেখেছেন তারা। তদন্তের প্রেক্ষিতে মানবধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন তারা। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের একটি দলও শনিবার সকালে হোটেল রেইনট্রিতে অভিযান চালায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন