ধর্ষণের পর ভিডিও চিত্র ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলায় এক কিশোরীকে (১৬) ধর্ষণের পর ধর্ষণের ভিডিও চিত্র মুঠোফোনে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল বুধবার ওই কিশোরীর বাবা বাদী হয়ে শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ অভিযোগ দিয়েছেন। এতে সামিদুল হক (২২) ও রাশেদুল হক (২৩) নামের দুই তরুণ এবং অজ্ঞাতনামা আরও দু-তিনজনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কিরণ শংকর হালদার অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সামিদুলের বাড়িতে তাঁর মালিকানাধীন খেলনা পুতুলের চুল তৈরির একটি কারখানা রয়েছে। ধর্ষণের শিকার কিশোরীটি অন্য কয়েকজন মেয়ের সঙ্গে প্রায় এক বছর ধরে ওই কারখানায় শ্রমিক হিসেবে কাজ করে আসছিল। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সামিদুল ও তাঁর সহযোগী রাশেদুল ওই কিশোরীসহ অন্য আরও কয়েকজনকে নিয়ে বকশীগঞ্জের লাউচাপড়ায় বনভোজন করতে যান। ওই দিন রাত ১০টার দিকে তাঁরা বাড়িতে ফিরে আসেন। কিন্তু সামিদুল ও রাশেদুল ওই কিশোরীকে তাঁর বাড়িতে পৌঁছে দেননি। রাশিদুলের সহযোগিতায় সামিদুল নিজের বাড়িতে নিয়ে যান ওই কিশোরীকে। রাত ১১টার দিকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সামিদুল তাঁর ঘরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করেন এবং ধর্ষণের কথা কারও কাছে না বলার জন্য তাকে হুমকি দেন। সামিদুলের সহযোগী রাশেদুল মুঠোফোনে ধর্ষণের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন। পরে সামিদুলের কথামতো তিনি ওই ভিডিও চিত্র মুঠোফোনের মাধ্যমে স্থানীয় লোকজন ও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, ওই ঘটনাটি প্রকাশিত হলে আপস-মীমাংসার জন্য স্থানীয়ভাবে বৈঠক করা হয়। বৈঠকে সামিদুল কিশোরীটিকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে সামাজিকভাবে বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তির সামনে সামিদুল ওই ঘটনাটি ও কিশোরীকে বিয়ের কথা অস্বীকার করেন। এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে ওই কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়। ২৮ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে দেওয়া ছাড়পত্রে ধর্ষণের কথা উল্লেখ করা হয়।
এ অভিযোগের ব্যাপারে চেষ্টা করেও সামিদুলের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে শ্রীবরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এস আলম আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এখন পর্যন্ত আদালতের আদেশ তাঁরা পাননি। আদেশ পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রথম অালো
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর পদ হারালেন গাজীপুর জেলা ছাত্রদলের সভাপতি
ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর সাংগঠনিক শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে গাজীপুর জেলা ছাত্রদলেরবিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা উত্তর সিটির সাবেক মেয়র আতিকুল গ্রেপ্তার
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে রাজধানীরবিস্তারিত পড়ুন