ধর্ষণ মামলার আসামির সাথে তারানা হালিমের ছবি প্রকাশ
ধর্ষণ মামলায় জামিনে থাকা অপরাধী ফয়েজ আমীন রাসেলের সাথে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের ছবি বুধবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ হলে সমালোচনার ঝড় ওঠে। এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমের সিঙ্গাপুর সরকারি সফরে পিও আসিফ খান অভির সফরসঙ্গী হওয়া এবং সে সময় ফেসবুকে ছবি প্রকাশ হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে অনেক হৈচৈ হয়েছিল। কারণ আসিফ খান অভির বিরুদ্ধে ফেসবুকে একজন নারী অধিকার নেত্রীকে হয়রানি করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছিল। এরপর নতুন করে ফয়েজ আমীন রাসেলকে নিয়ে আরেক দফায় সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মাসকাওয়াথ আহসান আজ রাতে এর তীব্র সমালোচনা করে একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “এই প্রতিমন্ত্রীর পিও আসিফ খান অভি ফেসবুকে একজন নারী অধিকার নেত্রীকে সাইবার নিগ্রহ করে পার পেয়ে গেল ক্ষমতার আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে। এখন ধর্ষণ মামলায় জামিনে থাকা আসামীও উনার আশে-পাশে। আইনশাস্ত্রের মেধাবী ছাত্রী ও অভিনেত্রী তারানা হালিম একজন নারী হয়েও যদি নারী নিগ্রহকারীদের আশে পাশে রাখেন; তাহলে আইনের শাসনের প্রতি উনার শ্রদ্ধাবোধ এবং সংস্কৃতিকর্মী হিসেবে নান্দনিক রুচিবোধের স্টেজশোগুলো নেহাত অভিনয় বলেই মনে হবে। আমরা কী এমন নারী প্রতিমন্ত্রী চেয়েছিলাম যার কাছে নারী নিগ্রহকারীরা ইনডেমনিটি বা দায়মুক্তি পেয়ে যায় অনায়াসে। দেশের জনগণের জন্য বিশেষতঃ নারী সমাজের জন্য তিনি সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন; এ কথা একজন পাগল বা শিশুকে বিশ্বাস করানোও কঠিন হবে”।
এদিকে সিলেটের স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যাচ্ছে, সিলেটের নবীগঞ্জ পৌর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফয়েজ আমীন রাসেল গত বছরের ৩০ নভেম্বর হবিগঞ্জে এক গৃহবধূকে যৌননিপিড়নের অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। তাঁর বিরুদ্ধে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। (মামলা নং- ৫৫৪/২০১৫)। নবীগঞ্জ উপজেলার লোগাঁও গ্রামের বাসিন্দা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ চৌধুরীর ছেলে ফয়েজ আমীন রাসেল গেল বছরের ১৪ এপ্রিল দিনের বেলা নিজ গ্রামেরই এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই সময় মহিলার চিৎকারে রাসেল পালিয়ে যান। তিনি দীর্ঘদিন যাবত ওই গৃহবধূকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। এই ঘটনায় গৃহবধূর মা আদালতে মামলা দায়ের করলে তদন্ত প্রতিবেদনে অভিযোগ প্রমাণিত হয়। কিছুদিন কারাগারে থাকার পর তিনি জামিনে বের হয়ে যান। একই ব্যক্তির বিরুদ্ধে নবীগঞ্জে বাড়ি জবর দখলের ঘটনায় মামলাও রয়েছে (৩৭৮/১)।
সিলেটের সংবাদ মাধ্যমগুলো এলাকাবাসীর বরাত দিয়ে আরও জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আলোচিত নেতা ফয়েজ আমীন রাসেল কয়েকটি মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়েও নিয়মিত সভা সমাবেশ করে যাচ্ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একটি অস্ত্র মামলা ও একটি নারী নির্যাতন মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। এ ব্যাপারে বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আবুল ফজলের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, রাসেলকে নারী নির্যাতন মামলায় কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র মামলায় ওয়ারেন্ট রয়েছে।
জানা যায়, বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলার বুরুঙ্গা ইকবাল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তিন ব্রিটিশ এমপি ও লেবার ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশের চেয়ারম্যানকে নাগরিক সংবর্ধনা দেয়া হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী তারানা হালিম। এই অনুষ্ঠানে তারানা হালিমের সাথে যুক্তরাজ্যে আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জাম চৌধুরী ও ফয়েজ আমীন রাসেলকে ছবি তুলতে দেখা যায়। তাঁরা একান্ত বৈঠকও করেছেন এবং সেসব ছবি ফয়েজ আমীন রাসেল নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে শেয়ার দেন। এরপর থেকেই শুরু হয়েছে নানান আলোচনা-সমালোচনা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন