বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

ধীরে চলো কৌশলে বিএনপি

নয় বছরেরও বেশি সময় ক্ষমতা থেকে দূরে থাকা ‘ক্লান্ত’ বিএনপি এখন কৌশল পাল্টে ধীরে চলো নীতিতে এগোচ্ছে। পৌর নির্বাচনে অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে দীর্ঘদিন পর ভোটের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে দল গোছানোকেই প্রধান্য দিচ্ছে।

সে অনুযায়ী অসমাপ্ত পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে দলের ষষ্ঠ কাউন্সিলে মনোনিবেশ করতে চাইছে বিএনপির হাইকমান্ড। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে বিরোধের রাজনীতিকে আপাতত একপাশে রাখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে দলীয় সূত্র।

বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন এবং দলের বর্তমান সাংগঠনিক পরিস্থিতি দলটিকে নতুন করে ভাবাচ্ছে। হঠকারী কোনো সিদ্ধান্তের পরিবর্তে পরিকল্পনা এবং বিশ্লেষণ করে সার্বিক বিষয়ে দলের অবস্থান স্থির করার পক্ষে মত এসেছে নীতিনির্ধারকদের কাছ থেকে। তাছাড়া পুনর্গঠন ছাড়া দল সাংগঠনিকভাবে চাঙা হবে না বলেও মনে করছেন তারা। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও দ্রুত পুনর্গঠন প্রক্রিয়া শেষ করে কাউন্সিলের বিষয়ে মনোযোগী হতে চান। সে অনুযায়ী পৌর নির্বাচনের আগে থেকে শুরু হওয়া বিএনপির জেলা থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ের পুনর্গঠন কাজ শেষ করতে এরই মধ্যে কঠোর নির্দেশনা পাঠানো হচ্ছে, যাতে এর পরপরই কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে। কারণ, রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী দল আওয়ামী লীগ ২৮ মার্চ তাদের ২০তম কাউন্সিল করার ঘোষণা এরই মধ্যে দিয়ে দিয়েছে।

দলের নেতাদের মতে, দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকে ‘সরকারের বাধায়’ বিএনপি তার স্বাভাবিক রাজনৈতিক কর্মকা- চালাতে পারছে না। মামলা-গ্রেফতারে পুনর্গঠন কাজ করাও দুরূহ হয়ে ওঠে বিএনপির জন্য। তবে পৌর নির্বাচনের পর নেতাকর্মীরা কিছুটা হলেও প্রকাশ্যে আসছে। তাছাড়া ৫ জানুয়ারি রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সমাবেশ করতে দেওয়ার বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখা হচ্ছে। সরকারের এই ‘ইতিবাচক’ মনোভাবের সুযোগে বিএনপি দলের সাংগঠনিক ক্ষেত্রে গুরুত্ব দিতে চাইছে। এর অংশ হিসেবে বিএনপি এবং এর সব অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনকে পুনর্গঠনের আওতায় আনা হচ্ছে। আগামী ছয় মাসে বিএনপি অনেক বদলে যাবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন দলের নেতারা।

পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে এই মুহূর্তে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়ার বিষয়টি জানিয়ে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য আ স ম হান্নান শাহ রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এই প্রক্রিয়ায় বেশ ছন্দপতন ঘটেছে। এখন সেই দিকে মনোযোগ দেওয়ার সময় এসেছে। অতি দ্রুত দলের সাংগঠনিক কাজ শেষ করে কাউন্সিল করবে বিএনপি।’ তবে ঠিক কবে নাগাদ কাউন্সিল হতে পারে তা স্পষ্ট করতে পারেননি হান্নান শাহ।

দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা এবং দুই দফায় সরকার বিরোধী আন্দোলনে ফলাফল শূন্য দলটির তৃণমূল পর্যায়ে নেতাকর্মীদের এখন উজ্জীবিত করাই মূল চ্যালেঞ্জ হিসেবে মনে করছেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। সেজন্য দলের সব পর্যায়ে নতুন কমিটি হলে সাংগঠনিক কাজে গতি আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে সূত্র বলছে, আন্দোলন সংগ্রামে ‘ক্লান্ত’ বিএনপির সহসাই সরকারবিরোধী কোনো কর্মসূচিতে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। সেজন্য ৫ জানুয়ারি কঠোর কোনো কর্মসূচিতে না গিয়ে সমাবেশ কর্মসূচি দিয়েছে দলটি। ওই কর্মসূচির অনুমতি না পেলেও কঠোর কোনো কর্মসূচি দেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির ছিলো না।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডিসেম্বরে-জানুুয়ারিতে দলের ষষ্ঠ কাউন্সিল করার চিন্তা ভাবনা ছিলো বিএনপির। সেজন্য আগে তৃণমূল পর্যায়ে দলকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এর অংশ হিসেবে গত ৯ আগস্ট সারাদেশে বিএনপির ৭৫টি সাংগঠনিক জেলাকে কেন্দ্র থেকে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, পৌরসভা ও উপজেলা পর্যায়ের মেয়াদোত্তীর্ণ সব কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি গঠনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই পুনর্গঠনের কাজ শেষ হলেই কাউন্সিলের জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার কথা। তবে ‘হামলা-মামলা আর গ্রেফতার’ আতঙ্কে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কমিটিগুলো করা সম্ভব হয়নি। পরে মৌখিকভাবে নভেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত সময় বাড়ানো হয়। কিন্তু গ্রেফতার আর মামলা আতঙ্কে সেই তারিখেও বেশিরভাগ জায়গায় পুনর্গঠন কাজ অর্ধেকও শেষ হয়নি। এরই মধ্যে পৌর নির্বাচনে ব্যস্ত হয়ে পড়ায় দলের এই পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় স্থবিরতা নেমে আসে।

দলীয় সূত্র বলছে, মামলা, গ্রেফতার, সর্বোপরি পৌর নির্বাচনে ধাক্কা খাওয়ায় পুনর্গঠন প্রক্রিয়া এখন দ্রুত করতে চায় বিএনপি। কারণ, ফেব্রুয়ারিতে দ্বিতীয় দফায় পৌরসভা নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ রয়েছে। মার্চে রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। এই পরিস্থিতিতে পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে দলটি। পুনর্গঠন শেষ হলে এপ্রিলের পরে দলের ৬ষ্ঠ কাউন্সিল করতে চায় তারা।

তিন বছর পরপর জাতীয় কাউন্সিল আয়োজনের বিধি রয়েছে বিএনপির গঠনতন্ত্রে। সে অনুযায়ী ২০১২ সালের ডিসেম্বরে ৬ষ্ঠ কাউন্সিল হওয়ার কথা। ২০১৩ সালে একবার কাউন্সিল আয়োজনের প্রাথমিক প্রস্তুতি নিলেও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে পুলিশি অভিযান ও দেশের সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে সে আয়োজন থেকে সরে আসে দলটি। তবে নির্বাচন কমিশনের বিধি মেনে ২০১৩ সালের ২৪শে সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিক চিঠি দিয়ে ২০১৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত কাউন্সিল আয়োজনের সময় চায়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ৮ ডিসেম্বর রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিএনপির সর্বশেষ ৫ম জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ‘নানান মানুষ নানান পথ, দেশ বাঁচাতে ঐকমত্য’ স্লোগানকে সামনে রেখে কাউন্সিলে ১৯ দফা তুলে ধরেছিলেন চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১৬ বছর পর ২০০৯ সালে অনুষ্ঠিত বিএনপির ৫ম জাতীয় কাউন্সিলে ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়েছিল দলের গঠনতন্ত্রে। বাড়ানো হয়েছিল স্থায়ী কমিটিসহ প্রতিটি কমিটির পরিধিও।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক

রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন

আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন

জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক

অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন

  • হাসিনার পতনে জাতির মনোজগত পরিবর্তন হয়েছে, নতুন রাজনীতি হতে হবে স্বচ্ছ: আমীর খসরু
  • বগুড়ায় হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা
  • ১৭ বছর পর সচল হলো আবদুল আউয়াল মিন্টুর ব্যাংক হিসাব
  • বিএনপি ও সমমনা দলের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
  • বিকেলে বাসায় ফিরবেন খালেদা জিয়া
  • খালেদা জিয়া মুক্তি পেলে দেশের গণতন্ত্র মুক্তি পাবে : এ্যানী
  • রায়পুরায়  বিএনপির প্রায় ১০০ নেতা কর্মী আ’লীগে যোগদান
  • বিএনপির আন্দোলন ভুয়া, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আতঙ্কিত: ওবায়দুল কাদের
  • খালেদা জিয়ার ৩ রোগ বড় সংকট : চিকিৎসকরা
  • মুক্তিযুদ্ধের নামে বিএনপি ভাওতাবাজি করে : ওবায়দুল কাদের
  • দেশের মানুষ ঈদ করতে পারেননি
  • বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিতে রদবদল