ধূ ধূ মরুভূমির মাঝে মনোরম শহর!
চারিদিকে মরুভূমি। মাঝে একটা হ্রদ। আর হ্রদকে ঘিরে সবুজ প্রাণ। আর সবুজ প্রাণের মাঝে আছে মানুষের বসতিও। একেবারে কবির কল্পনার মরুদ্যান। লাতিন আমেরিকার দেশ পেরু। দেশটির রাজধানী থেকে ৩০০ কিলোমিটার দক্ষিণে হুয়াচাচিনা নামের শহরটি দেখতে এমনই।
হ্রদটিকে ঘিরে গড়ে উঠেছে জনবসতি। তবে খুব বেশি হিজিবিজি হয়নি। মাত্র ৯৬টি পরিবার বাস করছে এ এলাকায়। ছোট ব্যবসা, দোকানপাট চালায় এসব পরিবারের লোকজন। এ এলাকায় আসা পর্যটকদের জন্য আছে হোটেলও।
এক সময় বিশ্বাস করা হতো, এ হ্রদে গোসল করলে অসুখ-বিসুখ ভালো হয়ে যায়। চল্লিশের দশকে ধনী পেরুভিয়ানরা এখানে এসে গোসল করত।
প্রাকৃতিকভাবেই হ্রদটির জন্ম। তবে এ হ্রদকে ঘিরেও আছে মিথ। বলা হয়, এক রাজকুমারী হ্রদে গোসল করছিলেন। এক শিকারী ওই রাজকুমারীকে এ অবস্থায় দেখে ফেলেন। রাজকুমারী পানি ছেড়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। পড়ে থাকে রাজকুমারীর কাপড়। এ কাপড়ই এক সময়ে হয়ে যায় বালিয়াড়ি অর্থাৎ বালির স্তূপ।
মরুভূমিকে উপভোগ করতে পর্যটকরা এখানে আসে। সূর্যাস্তের সময় মনে হয় কেউ গ্রামে এসে সোনালি রঙ করে দিয়েছে। এটা দেখতে আর শান্ত হ্রদে নৌকা নিয়ে ভেসে বেড়াতে আসে পর্যটকরা।
অন্যান্য মরু এলাকার মতো হুয়াচাচিনার তাপমাত্রাও উষ্ণ ও শুষ্ক। বৃষ্টি খুব কমই হয়। মে ও আগস্ট মাসে এ এলাকায় শীত নামে।
দেশটি এ এলাকাকে জাতীয় সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে ঘোষণা করেছে। পেরুভিয়ানদের বিশ্বাস হ্রদটি মরুর বুকে বেঁচে থাকবে, মরীচিকা হয়ে যাবে না।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন
বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নত রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, বিক্ষোভকারীদের অধিকার সমুন্নতবিস্তারিত পড়ুন