ভালোবাসেন না। সিকিউরিটি চান। চাইলে রাতারাতি সিনেমা থেকে নিজেকে সরিয়েও নিতে পারেন। অশোক ধানুকা কোন দিন ডাকেননি তাই ছবি করেননি।স্বস্তিকার সঙ্গে ছবি করতেও কোন আপত্তি নেই-এমন সোজাসাপ্টা খোলামেলা আলোচনায় কলকাতার নায়িকা শ্রাবন্তী এই প্রথম।

প্রশ্ন: ইন্টারভিউটা শুরুর আগে আপনাকে একটা উয়াদা করতে হবে?

শ্রাবন্তী: (একটু অবাক হয়ে) প্রমিস! কী প্রমিস।

প্রশ্ন: কোন পলিটিক্যালি কারেক্ট অ্যানসার দেয়া চলবে না? কারণ পলিটিক্যালি লোক

শ্রাবন্তী : হা হা হা (প্রবল হাসি)।

প্রশ্ন: হেসে উড়িয়ে দিলে হবে না। রাজি তো?

শ্রাবন্তী : আমি যে খুব ক্যালকুলেশন করে পলিটিক্যালি কারেক্ট অ্যানসার দিই- তা কিন্তু নয়। বেসিক্যালি আমি মানুষটাই এরকম। বরং আমি যেমন আমি, সেই ভাবেই কথা বলি, না কি।

প্রশ্ন: বেশ তাই বলুন?

শ্রাবন্তী : শুরু করুন তা হলে।

প্রশ্ন: আপনি কি জানেন রিসেন্ট একটা ইন্টারভিউতে স্বস্তিকা বলেছেন, কোন দিন আপনারা দুজন একসঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করলে রিভেঞ্জ কী ভাবে নিতে হয়- সেটা নাকি স্বস্তিকা আপনাকে দেখিয়ে দেবেন?

শ্রাবন্তী : তাই, বলেছে বুঝি! (কিছুক্ষণ ধরে হাসি) কী বলি বলুন তো! কেউ যদি রিভেঞ্জ নিতে চায়, লিখে দিন-আমি হেসে দিয়েছি।

প্রশ্ন: আপনি কিন্তু প্রমিস করেছেন কোন রকম পলিটিক্যালি কারেক্ট অ্যানসার দেবেন না?

শ্রাবন্তী: দিচ্ছি না তো। বিশ্বাস করুন, কাছের লোকজন ছাড়া আমার আর কারও ওপর সে ভাবে রাগ, অভিযোগ কিছুই নেই।

প্রশ্ন: একটু বেশি বিনয় হয়ে গেল না?

শ্রাবন্তী : (হাসি) এটা আমার একেবারেই বিনয় নয়। আমি মানুষটাই এরকম। আমার প্লেটে দুটো মিষ্টি থাকলে আমি সেটা নিয়েই খুশি থাকব। অন্যের প্লেটে ক’টা মিষ্টি আছে, সেই নিয়ে মাথা ঘামাতেই যাব না। তার প্লেট নিয়ে কাড়াকাড়িও করব না।

প্রশ্ন: তার মানে বলছেন, স্বস্তিকার ওপর আপনার কোন রাগ নেই। কেউ অফার নিয়ে এলে আপনি স্বস্তিকার সঙ্গে ছবি করবেন?

শ্রাবন্তী: (একটু ভেবে) যদি এ রকম কোন দিন সুযোগ আসে, স্বস্তিকার সঙ্গে ছবি করতে আমার কোন আপত্তি নেই।

প্রশ্ন: স্বস্তিকা অনেক সাহসী অভিনয় করেন। বিশেষ করে খোলামেলা বা নগ্নতার অভিনয় করে তিনি পারদর্শী। এমন কাজের অফার পেলে কি করবেন?

শ্রাবন্তী: দেখুন,গল্পের জন্য ‘নগ্নতা আমার কোন সমস্যা নেই। এটা নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নাই। আমি অতটা সাহসী অভিনয় করার ক্ষেত্রে ২য় বার চিন্তা করব। তবে রাজি আছি কলকাতার এটি খবরের কাগজে এমনটা বলেছেন ,