নতুন কারাগারে বন্দী স্থানান্তর ১৫ জুলাই
নাজিমুদ্দিন রোডের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নবনির্মিত কারাগারে বন্দীদের স্থানান্তর করা হচ্ছে আগামী ১৫ জুলাই (শুক্রবার)। এদিন সরকারি ছুটির কারণে এক দিনেই সব বন্দীকে স্থানান্তর করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। যদি কোনো কারণে শুক্রবার স্থানান্তর না করা হয় তাহলে শনিবার তাদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কারা কর্তৃপক্ষ ও ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষের দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে।
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ১৫ বা ১৬ জুলাই বন্দীদের স্থানান্তর করা হতে পারে। মূলত স্থানান্তর কয়েকটি বিষয়ের উপর নির্ভর করে। একদিনে সব বন্দীদের স্থানান্তর করা না হলেও দু`দিনে করা হবে।
এবিষয়ে আরেকটি সমন্বয় সভা আয়োজন করা হবে। এরপর স্থানান্তরের তারিখ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেয়া হবে বলে জানান তিনি।
সমন্বয় সভায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কারা মহাপরিদর্শক, অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক, ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার, জেলার, ডেপুটি জেলার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রধানদের উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে।
বর্তমানে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মোট সাড়ে ৮ হাজারের মতো বন্দী রয়েছে। এদের মধ্যে প্রাথমিকভাবে ৬ হাজার বন্দীকে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কারা কর্তৃপক্ষ। নারী বন্দীদের আপাতত কাশিমপুর কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।
কারা সূত্র জানায়, বন্দী স্থানান্তরের কাজে ব্যবহৃত হবে ৪০টি বড় প্রিজনভ্যান। প্রতিটি ভ্যানে ৫০জন করে বন্দী পাঠানো হবে। প্রিজন ভ্যানটি তিনবার ঢাকা থেকে কেরানীগঞ্জ আসা যাওয়া করবে। অর্থাৎ প্রতিটি প্রিজন ভ্যানে সর্বোচ্চ ১৫০ জন করে বন্দী স্থানান্তর করা হবে।
এর আগে গত নভেম্বরে শেষ হয় কেরানীগঞ্জের রাজেন্দ্রপুরের কেন্দ্রীয় কারাগার তৈরির কাজ। পরে চলতি বছরের ১০ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কারাগার উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের কয়েকদিন পরই বন্দীদের স্থানান্তরের কথা ছিল।
তবে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল সকালে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের কাছে এলপিআরে থাকা কারারক্ষী রুস্তম আলীকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনার পর দেশের সব কারাগারগুলোতে অতিরিক্ত সতর্কতা জারি করা হয়। নিরাপত্তার স্বার্থে পিছিয়ে যায় স্থানান্তর কার্যক্রম।
কয়েক দফা পেছানোর পর আগামী ১৫ জুলাই বন্দীদের স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নতুন এই কারাগারটি প্রায় ১৯৪ একর জায়গার নিয়ে নির্মিত হয়েছে। এশিয়ার সর্বাধুনিক ও বৃহত্তম এই কারাগার এটি। এর ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৫ হাজার।
জমি অধিগ্রহণ, ভরাটসহ আধুনিক এই কারাগারটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪০৬ কোটি টাকা। এই প্রকল্পে পুরুষ কারাগারের পাশে আলাদাভাবে একটি মহিলা কারাগার নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এখনো মহিলাদের কারাগারের নির্মাণ কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।
কোনো বন্দী যাতে মোবাইল কিংবা মাদক নিয়ে কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য মূল গেটের ভেতরে লাগেজ এবং পার্সোন স্ক্যানার লাগানো হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ভরিতে এবার ১,৯৯৪ টাকা বাড়লো স্বর্ণের দাম
দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনবিস্তারিত পড়ুন
সংস্কার হলে পেট্রোল-ডিজেলের দাম কত কমানো সম্ভব জানালো সিপিডি
মূল্য নির্ধারণ কাঠামোর সংস্কার হলে লিটার প্রতি পেট্রোলের দাম ১১বিস্তারিত পড়ুন
রাজশাহীতে সমন্বয়ককে হাতুড়ি দিয়ে পেটানোর অভিযোগ
রাজশাহীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের স্থানীয় এক সমন্বয়ককে হাতুড়িপেটা করার অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন