নতুন গবেষণা : মেধাবীরা অলস হয়
অলস মানুষ মানেই মেধাহীন আর কর্মঠ মানুষ মেধাবী এই ধারণা যারা পোষণ করেন তাদেরকে ভুল প্রমাণিত করবে নতুন একটি গবেষণার ফলাফল। গবেষণায় দেখা গেছে, আসলে মেধাবী মানুষরাই কর্মঠদের চেয়ে কম কাজ করে এবং অলস সময় কাটায় চিন্তা করে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক এই গবেষণার ফলাফলে দেখা গেছে, যে সমস্ত মানুষের আইকিউ বেশি তারা সহজে একঘেয়েমিতে আক্রান্ত না হয়ে বেশি সময় ব্যয় করে চিন্তার পেছনে। বেশি কর্মঠ মানুষ কাজে মনোনিবেশ করে হয়তো চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে কাজ করে নয়তো তারা খুব দ্রুত আগ্রহ হারিয়ে ফেলে।
ফ্লোরিডা গালফ কোর্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই কাজে শিক্ষার্থীদের একটি দলকে ব্যবহার করেছেন। তারা প্রথমে একটি কাগজে কিছু বিবৃতি লিখে সেগুলোর বিষয়ে ছাত্রদের প্রতিক্রিয়া ও মতামত জিজ্ঞাসা করেছেন এবং কারা কোন বিবৃতির সাথে একমত হয় সেটা নোট করে রাখেন।
বিবৃতিগুলো ছিল অনেকটা এইরকম : আমি এমন কাজ পছন্দ করি যেখানে সমস্যার নতুন নতুন সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়, কিংবা আমি ততটাই চিন্তা করি যতটা দরকার। গবেষকরা এরপর ৩০ জন চিন্তাশীল ও ৩০ জন চিন্তাহীন পরীক্ষার্থী খুঁজে বের করেছেন। পরের সাত দিন এই পরীক্ষার্থীদের হাতের কব্জিতে একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বেঁধে দিয়েছেন তাদের শারীরিক কর্মক্ষমতা পর্যবেক্ষণ করার জন্য।
ফলাফলে দেখা গেলো, চিন্তাশীল মানুষগুলো চিন্তাহীনদের চেয়ে কম কর্মক্ষম। গবেষণার ফলাফল হেলথ সাইকোলজি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। মজার বিষয় হচ্ছে, ৭ দিনের এই পরীক্ষার শেষদিনে অর্থাৎ ছুটির দিনে এই দুই দলের কর্মক্ষমতায় কোন পার্থক্য পাওয়া যায়নি। এই একটা ব্যাপার গবেষণায় ব্যাখ্যা করা সম্ভব হয়নি।
গবেষণার উপসংহার থেকে দেখা যায়, যে সমস্ত মানুষ চিন্তা কম করে তারা খুব সহজেই একঘেয়েমিতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে বলে শারীরিক কর্ম দিয়ে সেই জায়গা পূরণ করে। অন্যদিকে মেধাবী মানুষগুলো অলস সময় কাটায় বেশি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
রেড মিট খাওয়ার আগে কিছু পরামর্শ জেনে নিন
কোরবানি ঈদে বেশ কয়েকদিন টানা খাওয়া হয় গরু বা খাসিরবিস্তারিত পড়ুন
জাপান ও ইউরোপে বিরল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে মানুষ
জাপানে, একটি বিরল “মাংস খাওয়া ব্যাকটেরিয়া” এর কারণে এক রোগবিস্তারিত পড়ুন