নতুন নিয়মে অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডে বাংলাদেশিদের মাইগ্রেশনের সুযোগ
অভিবাসন আইনের কিছু বিষয় পরিবর্তন হওয়ায় অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা। ওশেনিয়া অঞ্চলের দেশ অস্ট্রেলিয়া আর দ্বীপরাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড এখন অভিবাসনপ্রত্যাশীদের স্বর্গ। অবারিত প্রকৃতি সৌন্দর্যের পাশাপাশি সামাজিক নিরাপত্তা, উন্নত জীবনমান ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার জন্য অভিবাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে আছে এই দুই দেশ। পরিবর্তিত অভিবাসনের কারণে নতুন ভাবে ও বেশী সংখ্যক অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডে অভিবাসনের সুযোগ পাচ্ছেন বাংলাদেশিরা।
অভিবাসনের বিষয়ে যথেষ্ট পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়া সরকারের অভিবাসনবিষয়ক বিভাগ ডিপার্টমেন্ট অব ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন (ডিআইবিপি) এরই মধ্যে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের জন্য পেশাগত দক্ষতার পরিবর্তিত ও নতুন তালিকা প্রস্তুত ও প্রকাশ করেছে। ১ জুলাই থেকেই এটি কার্যকর হয়েছে।
নতুন তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন পেশায় দক্ষ ব্যক্তিরা সপরিবারে অস্ট্রেলিয়ায় জীবনযাপনের সুযোগ পাচ্ছেন। বাংলাদেশসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের জন্যই এ সুযোগ উন্মুক্ত।
আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসনের ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিশেষজ্ঞ, অ্যাকাউন্টিং ও ফিন্যান্স, মার্কেটিং বা সেলস, ব্যাংকার, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কৃষিজীবী, নার্স বা অন্য যেকোনো পেশায় দক্ষদের জন্য বিশেষ সুযোগ আছে।
অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে দেখা যায়, নতুন নতুন অনেক পেশা পরিবর্তিত তালিকায় যুক্ত হয়েছে। আবার কিছু বাদও পড়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সরকারি ওয়েবসাইটে অভিবাসন বিষয়ে দেশটির ঘোষণা এবং পেশার পরিবর্তিত তালিকাটি দেখতে চাইলে আপনি অষ্ট্রেলিয়ার সরকারী ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে পারেন।
ইমিগ্রেশন আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর দেয়া তথ্যমতে অনুযায়ী, আবেদন করার প্রাথমিক যোগ্যতার মধ্যে রয়েছে শিক্ষাগত যোগ্যতা, যা কাজের দক্ষতার সঙ্গে সম্পৃক্ততা। আবার ইংরেজি ভাষার দক্ষতা প্রমাণের পরীক্ষা আইইএলটিএসের স্কোর নিয়েও ভিন্নতা দেখা যায়। আইইএলটিএসের সর্বনিম্ন সীমা সাড়ে চার থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ আট পর্যন্ত আছে। ভাষাগত বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসনবিষয়ক ওয়েবসাইটে সুনির্দিষ্ট তথ্য দেয়া আছে।
অস্ট্রেলিয়ায় চিকিৎসকদের স্থায়ী অভিবাসন
ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজু বলেন, স্থায়ী অভিবাসনের জন্য সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে আছে অস্ট্রেলিয়া। ক্লিনিক্যাল, নন-ক্লিনিক্যাল ও স্কিল মাইগ্রেশন—এ তিনটি শ্রেণিতে অস্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী অভিবাসন নিতে পারেন চিকিৎসকরা।
স্কিল্ড মাইগ্রেশন:
সাব-ক্লজ 457 এ আবেদন করে আপনি অতি সহজেই অষ্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হতে পারেন। এই ক্ষেত্রে যোগ্যতা হিসাবে আপনার ডিপ্লোমা/গ্র্যাজুয়েশন ডিগ্রী, 4 বছরের কাজের অভিজ্ঞতা ও আইইএলটিএস পরীক্ষায় 5 থাকলেই হবে। অষ্ট্রেলিয়ায় স্থায়ী হবার জন্য এটাই সবচেয়ে দ্রুত ও সহজ উপায় বলে মনে করা হয়।কারন এতো কম আইইএলটিএস স্কোরে অষ্ট্রেলিয়ায় অন্য কোন প্রোগ্রামে আবেদন করা যায় না বা বসবাস ও কাজ করার সুযোগ হয় না।
অষ্ট্রেলিয়ায় work ও হলিডে ভিসা:
নিজ যোগ্যতা প্রমানসাপেক্ষে বাংলাদেশীরা, অষ্ট্রেলিয়ায় work ও হলিডে ভিসার জন্যও আবেদন করতে পারে। এই ক্ষেত্রে আগ্রহীদের অনার্স বা সমমানের শিক্ষাগত যোগ্যতা, আইইএলটিএসে কমপক্ষে 5.5 এবং বয়স 30 বছরের নিচে হতে হবে। অষ্ট্রেলিয়ার সরকারী তথ্যাগারে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সবার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
নিউজিল্যান্ডে স্কিলড মাইগ্রেশন প্রোগ্রাম
নিউজিল্যান্ডে নির্দিষ্ট সময় পরপর স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরিতে ড্র অনুষ্ঠিত হয়। বছরে প্রায় কয়েক হাজার পরিবার এই প্রোগ্রামের আওতায় নিউজিল্যান্ডের স্থায়ী নাগরিকত্ব (পিআর) পেয়ে থাকেন। এই ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশিরাও নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের সুযোগ নিতে পারেন।
স্কিলড মাইগ্রেশন ক্যাটাগরি সম্পর্কে এবং এই আবেদনের শিক্ষাগত ও অন্যন্য যোগ্যতা সম্পর্কে জানানো হয় নিউজিল্যান্ডের সরকারি ওয়েবসাইটে বা বিশেষজ্ঞ আইনজীবীর সহায়তা গ্রহন করতে পারেন।
নিউজিল্যান্ডে সম্ভাব্য পেশার মধ্যে রয়েছে ফরেস্ট সায়েন্টিস্ট, কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট ম্যনেজার, কনস্ট্রাকশন প্রজেক্ট বিল্ডার, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, সিভিল ইঞ্জিনিয়ার, ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার, জেনারেল প্র্যাকটিশনার, প্যাথলজিস্ট, সাইকোথেরাপিস্ট, সোনোগ্রাফারসহ আরো কিছু খাত।নিউজিল্যান্ড সরকারের ওয়েবসাইটে দেশটিতে চাহিদা থাকা বিভিন্ন পেশার কথা সুনির্দিষ্ট ভাবে উল্লেখ করা হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসন বিষয়ে আরো তথ্য জানতে আন্তর্জাতিক অভিবাসনবিষয়ক আইনজীবী, ওয়ার্ল্ডওয়াইড মাইগ্রেশন কনসালট্যান্টস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ রাজুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। পূর্ণাঙ্গ জীবনবৃত্তান্ত পাঠাতে পারেন এই ই-মেইল ঠিকানায় [email protected] এবং [email protected] এ ছাড়া যোগাযোগ করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ অথবা ভাইবারে +৬০১৬৮১২৩১৫৪ এবং +৬০১৪৩৩০০৬৩৯ নম্বরে। এ ছাড়া ভিজিট করুন www.wwbmc.com
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন