নতুন বছরে নতুন টার্গেট নিয়ে আসছে আওয়ামী লীগ
এখনও দুই বছর বাকি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসতে। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ২০১৭ সালেই নির্বাচনকেন্দ্রিক সম্পূর্ণ ‘গ্রাউন্ড ওয়ার্ক’ শেষ করে ফেলতে চায়। তাইতো দলটির নতুন বছরের নতুন টার্গেট হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা মনে করেন, দল টানা ক্ষমতায় থাকার ফলে সংগঠন অনেকাংশে অসংগঠিত হয়ে পড়েছে। নির্বাচনের আগেই তাই দলকে গুছিয়ে নিতে হবে। দলে টানাপড়েন রেখে নির্বাচন মোকাবিলা করা এবং তাতে বিজয় ছিনিয়ে আনা কষ্টসাধ্য কাজ হবে। নির্বাচনে দলের সর্বশক্তি প্রয়োগ করবে আওয়ামী লীগ। এজন্যই আসছে বছর দলের প্রতিই বেশি গুরুত্ব থাকবে ক্ষমতাসীনদের।
আওয়ামী লীগের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের অন্তত ছয় জন নেতা জানান, আগামী বছর দলের লক্ষ্য একটাই। তা হলো জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা। নির্বাচনকে অগ্রাধিকার হিসেবে নিয়েই এ কাজগুলো করা হবে।
নির্বাচনকেন্দ্রিক কাজের পাশাপাশি সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড জনগণের দৃষ্টিগোচর করতে নতুন বছরে কাজ করবে আওয়ামী লীগ। এছাড়া দলের ২০তম সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে থাকা গৃহহীনদের তালিকা করার নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই তালিকার কাজটিও সম্পন্ন করবে আওয়ামী লীগ। ভোট বাড়াতে সরকারের এই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হবে বলে মনে করছে দলটি।
নতুন বছরের লক্ষ্য সম্পর্কে জানতে চাইলে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফরউল্যাহ বলেন, ‘নতুন বছরে দলকে চাঙ্গা করার দিকে বেশি মনযোগ থাকবে আওয়ামী লীগের। আমাদের চূড়ান্ত লক্ষ্য হলো একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়া। এ লক্ষ্য পূরণ করতে হলে দলকে সেভাবে সংগঠিত করতে হবে।’ নির্বাচন আর দল গোছানো নিয়েই আগামী বছরে আওয়ামী লীগ ব্যস্ত থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার কারণে দলের রাজনৈতিক কার্যক্রম অনেকটাই স্থবির হয়ে পড়েছে। নতুন বছর সেই স্থবিরতা কাটিয়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েছে আওয়ামী লীগ। এর জন্য কয়েকটি দলে বিভক্ত হয়ে সারাদেশ সফরে বের হবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ বলেন, ‘নতুন বছরে আওয়ামী লীগের অন্যতম লক্ষ্যই হলো আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্যে দলকে উপযোগী করে তোলা। সেই লক্ষ্যে দলকে সাংগঠনিকভাবে আরও শক্তিশালী করা হবে। তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত যেন এক তাল, এক সুরে দল চলে সেই ব্যবস্থা করা হবে। নতুন বছরে এমন কিছু রাজনৈতিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে যাতে দলে কোনও বিরোধ, বিভেদ বা মতপার্থক্য না থাকে।’
দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এখন মূল লক্ষ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সেই নির্বাচনে কিভাবে বিজয়ী হওয়া যায় সেটা নিয়েই কাজ করা হবে। রাজনৈতিক সব কর্মকাণ্ডই এখন হাতে নেওয়া হবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে।’ নতুন বছরে আওয়ামী লীগ দলের প্রতিই মনোযোগী হবে বলে জানান কেন্দ্রীয় এই নেতা।
জানা গেছে, বছরজুড়ে সৎ, যোগ্য, মোধাবী, সাহসী ও জনপ্রিয় প্রার্থী বাছাই করবে আওয়ামী লীগ। নীতি-নির্ধারকরা জানান, বতর্মান সংসদ সদস্য হিসেবে যারা আছেন তাদের মধ্য থেকে অন্তত অর্ধেককে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দল থেকে আর মনোনয়ন দেওয়া হবে না। এসব আসনের জন্য তাই জনপ্রিয় মুখ এ বছরের মধ্যেই খুঁজে বের করা হবে। পাশাপাশি রাজনৈতিক বিরোধী শক্তিকে মোকাবিলা করার মতো শক্তিশালী সংগঠনও এ বছরই গড়ে তোলা হবে। এর জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে বাছাই করা হবে সাহসী নেতৃত্ব।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন