বৃহস্পতিবার, নভেম্বর ২৮, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নতুন সুযোগ কাজে লাগাতে চান ইমরুল কায়েস

ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে ইতিমধ্যে ২০ সদস্যের দল ঘোষনা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি)। অনেকদিন পর সেই দলে ঠাঁই হয়েছে জাতীয় দলের নির্ভরযোগ্য ব্যাটসম্যান ইমরুল কায়েসের। নতুন করে পাওয়া এই সুযোগকে কাজে লাগাতে বদ্ধপরিকর ইমরুল। এখন তার অপেক্ষা মূল স্কোয়াডে জায়গা করে নেওয়ার। আর সেখানে সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দিতে চান এই ওপেনার।

বুধবার(০৭ সেপ্টেম্বর) মিরপুরে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে এ প্রসঙ্গে ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আসলে আমি যদি সুযোগ পায় সেটা হবে আমার জন্য আবার নতুন একটা সুযোগ। যদি স্কোয়াডে থাকি এবং ম্যাচ খেলি আমি চেষ্টা করব ভাল খেলার। সাথে আমার নিজের পারফরমেন্সটা শো করব। কন্ট্রিবিউট করার চেষ্টা করব, টিমের জন্য যতটুকু করা যায়।’

লাস্ট আফগানিস্তানের সাথে আপনি ছিলেন না, এবার আছেন। তো কি মনেহয় আফগানিস্থান নিয়ে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইমরুল বলেন, ‘দেখুন, আফগানিস্তান এখন ভালো ক্রিকেট খেলছে। এখন আমরা যদি আমাদের সেরাটা খেলতে পারি, আমার মনেহয় আফগানিস্তান এতটা কঠিন হবে না। কারণ যেহেতু ইংল্যান্ড সিরিজের আগে এটা আমাদের জন্যে খুব ভালো হবে, এরকম একটা টুর্নামেন্টে আফগানিস্তানকে পাচ্ছি। আমি বলব যে, আমাদের এশিয়ার মধ্যে এখন ওরা ভাল ক্রিকেট খেলছে এবং অনেক উন্নতি করেছে। এখন আমরা যদি সবমিলিয়ে আমাদের ক্রিকেট খেলতে পারি এতটা সমস্যা হবে না।’

লাস্ট কয়েকটা ম্যাচে আপনার অর্ডার আপ ডাউন করছে। কোন অর্ডারে ব্যাটিং করতে স্বাচ্ছন্দ বোধ করেন? জানতে চাইলে জাতীয় দলের ওপেনিংয়ে খেলা এই ব্যাটসম্যান বলেন, ‘আসলে আমি শুরু থেকে সবসময় ওপেনিংয়ে খেলে আসি। ওপেনিংই আমার জন্যে ভাল হয়। উঠা নামা করলে একটু সমস্যা হয়, বাট টিমের কারনে ওইটা ঠিক করে নিতে হবে। আমি সবসময় স্বাচ্ছন্দবোধ করি ওপেনিংয়ে খেলতে।

জাতীয় দলে ইমরুলের জায়গাটা কখনও স্থায়ী নয় যেখানে তামিম শক্ত হাতে ধরে রেখেছে কী মনে হয়? অভ্যস্ত হয়ে গেছি, তাই ওটা নিয়ে এখন আর চিন্তা করি না। লাস্ট বিশ্বকাপে যেমন আমার স্কোয়াডে থাকার সম্ভাবনা ছিল, যখন ছিলাম না তখন খারাপ লাগছে। বাট এটা আমি জানি এটা একটা টুর্নামেন্ট। এটাই জীবনের অংশ, এটাই হতে পারে, এটাই ক্যারিয়ারে শেষ না। যেকারনে এখন নিজের মাইন্ড সেট করে নিয়েছি, একটা টুর্নামেন্ট মিস হতেই পারে। পরবর্তি সেটা দেখা যাবে। আমার কাছে কথা হচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কতটা ক্যারি করতে পারি সেটাই আমি চেষ্টা করি।

একবার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যখন আপনার ব্রেক আসবে, তখন সেখান থেকে ফিরে আসাটা কঠিন হয়ে যায়। আবার সেই পরিবেশের সাথে মানিয়ে নেওয়াটাও কঠিন হয়ে যায়। ধারাবাহিকভাবে খেলতে থাকলে গতিটা ভাল থাকে, ফোকাস ভাল থাকে, ফিটনেস লেভেলও ভাল থাকে। তো যখন ব্রেক হয়, তখন সমস্যা হয়ই। এটা মানিয়ে নিতে হবে।’

ম্যাচের আগে একাদশে আছেন কি নেই, এ ধরণের বিষয় কোন প্রভাব ফেলে কিনা? জানতে চাইলে ইমরুল বলেন, ‘এটা শুধু আমার জন্য না, এটা সবার ক্ষেত্রেই সমান, সে যত বড় খেলোয়াড়ই হোক না কেন, প্রভাব ফেলবে। কারণ যখন কোন বিষয় নিয়ে তৈরি থাকবেন না, তখন এটা হ্যান্ডেল করাটা কঠিন হয়ে যায়। এটা আমার ক্ষেত্রে অবশ্য হয়েছে একবার। বাট আমি এখন চেষ্টা করি ঐটাকেও মানিয়ে নেওয়ার। কারণ আমি জানি যেকোন অবস্থায় আমাকে খেলতে হতে পারে। যে কারনে ওটা নিয়ে এখন মানসিকভাবে অনেক কাজ করছি এবং তৈরি থাকছি যেকোন অবস্থায় আমাকে খেলতে হবে।’

যেকোন সিরিজ খেলার আগে র‌্যাঙ্কিংয়ের একটা হিসাব কাজ করে প্রত্যেক দলের ক্ষেত্রে। এ অবস্থায় আফগানরা রেটিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক পিছিয়ে। নিচে। যে কারনে এখানে হার-জিতের সমীকরণটা বেশ ভালোভাবেই গুরুত্ব পায়। এ ক্ষেত্রে বিষয়টিকে কিভাবে দেখছেন জাতীয় দলের এই ব্যাটসম্যান?

এ প্রসঙ্গে ইমরুল বলেন, ‘আসলে সবাই জানে যেকোন সময় যেকোন কিছু ঘটতে পারে, সেটা যেকোন টিমের সাথে হতে পারে। তারমানে এটা না যে, আমরা খারাপ দল। আমরা যদি জিম্বাবুয়ের সাথে হেরেও যায়, তারমানে আমরা খারাপ দল, এটা না। একটা দিন আমাদের খারাপ যেতেই পারে। আমরা যদি খারাপ ক্রিকেট খেলি, তারমানে এই না যে, আমরা খারাপ ক্রিকেট খেলি। চেষ্টা করবো সবমিলিয়ে আমাদের প্রত্যেকটা দিনকে ভালো দিন বানানোর।’

সামনে দু’টো সিরিজ। আপনার ফোকাসটা মূলত কি? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমার ফোকাসটা ভালো ক্রিকেট খেলা এবং নিজের পারফরমেন্সটা করা, যেটা করলে দলকে কন্ট্রিবিউট করা হবে সেটাই করব। আর আফগান সিরিজে আমার ফোকাস ভাল পারফর্ম করা এবং দলের কিছু একটা করা, যেটা করলে দল উপকৃত হবে।’

অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলগুলি এখন তাদের চেয়ে ছোট দলগুলির প্রতি কুব একটা ভালো মনোভাব করেনা। সবসময় কেনন যেন এ কধরনের উড়িয়ে দেওয়ার মনমানসিকতা পোষন করে। দল হিসেবে আফগানরা হয়ত আমাদের চেয়ে কিছুটা হলেও দুর্বল। সেক্ষেত্রে আমারা তাদের সাথে এখন অলআউট মাইন্ডে ক্রিকেট খেলতে পারি, সেই সময়টা আমাদের এখনো এসছে কিনা? এমন এক প্রশ্নের জবাবে অভিজ্ঞ ইমরুল বলেন, একটা সময় ছিল, যখন আমরা দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার সাথে খেলতাম, তখন তারা আমাদের সাথে এই ধরনের মনোভাবটাই রাখত। দেখা যেত তারা কোন পাত্তাই দিতো না, একবারে ড্যাম কেয়ার। তো ওরা চেষ্টা করতো ওরা আমাদের কোনভাবেই সুযোগ দেবে না। এটা আসলে একটা ক্রিকেট স্ট্যান্ডার্ড। আমি মনে করি যারা বড় শক্তিশালী দল হয়ে যায়, তারা ওইভাবেই ছোট টিমগুলাকে দেখে। আমার মনেহয় এখন আমাদের ওই সময় এসেছে, ওইভাবেই তাদের সাথে আমাদের খেলা এবং সেভাবেই ট্রিট করা।’

(দ্য রিপোর্ট/এজে/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০১৬)

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস

টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন

প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!

চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন

নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন

  • ভারতের বিপক্ষে ১৩৩ রানের বিশাল পরাজয় বাংলাদেশের
  • আলোক স্বল্পতায় তৃতীয় দিনের খেলা শেষ, বাংলাদেশের প্রয়োজন আরও ৩৫৭
  • খেলার মাঝেই সন্তানের সুসংবাদ, উইকেট পেয়ে উদযাপন শাহিন আফ্রিদির
  • বন্যার্তদের সহায়তায় এবি পার্টির কেন্দ্রীয় সমন্বয় সেল গঠন
  • নির্বাচিত পার্লামেন্টের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করতে হবে: মির্জা ফখরুল
  • আদালত প্রাঙ্গণে সাবেক বিচারপতি মানিককে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
  • রাওয়ালপিন্ডি টেস্ট: ৯৪ রানে এগিয়ে থেকে চতুর্থ দিন শেষ করল বাংলাদেশ
  • পুলিশের লুট হওয়া ১২৩৪টি অস্ত্র উদ্ধার
  • হাসপাতাল থেকে বাসায় পৌঁছলেন খালেদা জিয়া
  • বিএনপির শামা ওবায়েদ ও কৃষক দলের বাবুলের পদ স্থগিত
  • ইসির নিবন্ধন পেল এবি পার্টি, প্রতীক ঈগল
  • থানায় জিডি-মামলা নিতে দেরি করা যাবে না: পরিপত্র জারি