মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৬, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নবজাতক শিশুর ঝুঁকি সমূহ (র‍্যাশ)

নবজাতক শিশু মৃত্যুর একটি অন্যতম কারণ হলো নবজাতকের সংক্রমণ। সচেতনতা এবং সাবধানতার অভাবে আমাদের দেশে অনেক নবজাতকই জন্মের পর মৃত্যুবরণ করে। তাই নবজাতকের সংক্রমণ প্রতিরোধের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

নবজাতকের সংক্রমণ কি?
নবজাতকের সংক্রমণ হলো ৯০ দিনের কম বয়সী শিশুদের রক্তের একটি সংক্রমণ। জন্মের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে এর প্রাথমিক সংক্রমণ দেখা যায়। পরবর্তী সংক্রমণ জন্মের ৮-৮৯ দিনের মধ্যে দেখা যায়। জন্মের সময় বা জন্মের আগে মায়ের কাছ থেকে শিশু এই সংক্রমণ পেয়ে থাকে।

নবজাতকের ত্বকের লালচে দাগ কি?
নবজাতকের ত্বকে প্রায় সব ধরণের র্যা শ বা লালচে দাগ হতে পারে। তবে বেশিরভাগ র‍্যাশ ততোটা ক্ষতিকর নয় এবং এমনিতেই সেরে যায়।

নবজাতকের ত্বকে র‍্যাশ এর ধরণ
নবজাতকের ত্বকে যে লালচে দাগ হয় তা কয়েক ধরণের হয়। যেমনঃ

ব্রণের মত দাগ-
মায়ের গর্ভের হরমোন জনিত কারণে এই সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো সাধারণত কয়েক সপ্তাহ থেকে মাস পর্যন্ত স্থায়ী হয়। এতে কোন চিকিৎসার প্রয়োজন হয়না।

লাল লাল দানা-
এটা অনেকটা মশার কামড়ের মত দেখায়। কোন চিকিৎসা ছাড়াই কয়েক দিন বা সপ্তাহ পর এটি এমনিতেই সেরে যায়।

সাদা সাদা খোঁসার মত চামড়া ওঠা-
শিশু যদি স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে একটু দেরীতে জন্মায় তাহলে এই সমস্যা দেখা যায়। এক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ ত্বক নরম ও কোমল থাকে।

জন্ডিস-
বিলিরুবিন বৃদ্ধির কারণে শিশুর ত্বক ও চোখ হলুদ হয়ে জন্ডিস হয়। বিলিরুবিন বেশি বেড়ে গেলে স্বাস্থ্য জনিত অনেক সমস্যা দেখা দেয়। বিলিরুবিনের মাত্রা বেড়ে গেলে শিশুর শরীরে আলোর থেরাপী দিতে হতে পারে।

ধূসর দাগ-
যেসব বাচ্চাদের ত্বক কালো তাদের শরীরে মসৃণ ধূসর-নীল রংয়ের বড় বা ছোট দাগ দেখা যায়। এগুলো ক্ষতিকর নয় এবং শিশুদের যখন স্কুলে যাবার বয়স হয় তখন এগুলো এমনিতেই চলে যায়।

শিশুর খুশকি-
১-২ মাস বয়সে হয়। তেলতেলে হলুদাভ খুশকি মাথার চামড়ায় দেখা যায়। মুখের ত্বকে, কানের পিছনে, ঘাড়ে এমনকি বগলেও হতে পারে।

জন্মের প্রথম কয়েকমাসে শিশুর র‍্যাশ

একজিমা-
শিশুর বুকে, বাহুতে, পায়ে, চেহারায়, কনুইতে এবং হাঁটুর পিছনে লালচে র‍্যাশ হতে পারে। শুস্ক, স্পর্শ কাতর ত্বকের জন্য এবং এলার্জির কারণে এই সমস্য দেখা দেয়। এর চিকিৎসার জন্য নিচের বিষয়গুলো মেনে চলতে হয়।

# শিশুর কাপড় চোপড় হাল্কা ডিটারজেন্ট দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে এবং অন্য কোন রাসায়নিক দিয়ে পরিষ্কার করা যাবেনা,
# একাজিমা না সারলে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী স্টেরয়েত ক্রিম ব্যবহার করতে হতে পারে

ঘামাচি-
শিশুর ঘাড়ে, বগলে, শিশুর নিতম্ব এবং দুই পায়ের মাঝখানে অর্থাৎ যেসব জায়গা খুব ঘামে সেখানে ছোট ফোলার মত হয়। এজন্য শরীরের এ সমস্ত জায়গাগুলো শুকনা রাখতে হয় এবং শিশুকে ঢিলেঢালা পোশাক পড়াতে হয়।

ছত্রাকজনিত সংক্রমণ-
এটি বিভিন্নভাবে দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে জিহ্বায় সাদা সরের মত আস্তরণ পড়ে যাকে থ্রাশ বলা হয়। শিশুর নিতম্ব এবং দুই পায়ের মাঝখানে লালচে র‍্যাশ এবং ছোট ফোলার মত দেখা যায়।
নবজাতক শিশুর র‍্যাশ কিভাবে প্রতিরোধ করা যায়

শিশুকে সবসময় পরিষ্কার -পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে
শিশু যেন ঘেমে না যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে
শিশুকে গোসল করানোর সময় মৃদু সাবান ব্যবহার করতে হবে

সুত্রঃ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

কল-কারখানায় কোনো শিশুশ্রম নেই: প্রতিমন্ত্রী

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. নজরুল ইসলাম চৌধুরী বলেছেন, প্রতিষ্ঠানিকবিস্তারিত পড়ুন

বেনাপোলের কিশোরী জোনাকির মরদেহ যশোরে উদ্ধার

যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিমপাড়া মডেল মসজিদের পাশে একটি পুকুর থেকেবিস্তারিত পড়ুন

শিশুর স্কুল থেকে শেখা বদভ্যাস থামাবেন যেভাবে

স্কুল থেকে শিশুরা জীবনের দিকনির্দেশনা পেয়ে থাকে। প্রয়োজনীয় বিভিন্ন নিয়মকানুনবিস্তারিত পড়ুন

  • শিশুকে ‘ডব্লিউ পজিশনে’ বসতে বারণ করুন
  • ছুটিতেও চলুক জ্ঞানচর্চা
  • রাতে জন্ম নেয়া শিশুরা কেন ব্যতিক্রম? জেনে নিন
  • রাতে জন্মানো শিশুরা যেমন হয়
  • ধুলায় বাড়ছে শিশুর কাশি; কী করবেন?
  • বিশেষ যত্নে বড় করুন প্রতিবন্ধী শিশুকে
  • আপনার যে ভুলে সন্তান ক্লাসে অমনোযোগী!
  • যেভাবে আপনার কন্যা শিশুটির ক্ষতি করছে এ যুগের খেলনা
  • ‘আমি স্বাধীনতা দেখমু, আমি যুদ্ধ করুম’
  • শীতে শিশুর প্রস্তুতি
  • শিশুর নাকে পানি ঝরার সমস্যায় কী করবেন?
  • শীতে নবজাতকের যত্নে কী করবেন