নববর্ষের সঙ্গে ধর্মের নয়, অর্থনীতির সম্পর্ক রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
নববর্ষের সঙ্গে ধর্মের নয়, বরং অর্থনীতির সম্পর্ক রয়েছে এমন মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদের সরকারের সময়ই নববর্ষে ভাতা প্রদান চালু হয়।
তিনি বলেন, পহেলা বৈশাখ সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হয়েছে এজন্য আমি আল্লাহর কাছে শোকরিয়া আদায় করতে চাই এবং আমাদের আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বৈশাখ উদযাপনে নানা ধরনের হুমকি আমরা পেয়েছিলাম। যদিও তখন কাউকে বলিনি এবং যেহেতু আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা সক্রিয় ছিলেন, যে কারণে সমগ্র বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ উৎসবমুখর পরিবেশে নববর্ষ উদযাপিত হয়েছে।
শনিবার রাজধানীর কাকরাইলে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের জন্য নবনির্মিত আবাসিক ভবন উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ আইন বিভাগ, বিচার বিভাগ ও নির্বাহী বিভাগের মধ্যে কোনোরূপ দ্বন্দ্ব নয়, বরং পারস্পরিক সমন্বয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, একটি রাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গ লেজিসলেটিভ, জুডিশিয়ারি ও এক্সিকিউটিভ- এ তিনটি অঙ্গের মধ্যে একটি সমন্বয় থাকতে হবে এবং একে অপরের সম্পূরক হিসেবেই কাজ করবে।
তিনি বলেন, একে অপরকে অতিক্রম করবে না, বা এখানে ক্ষমতার শক্তি দেখিয়ে নয়, ক্ষমতা কারো কিন্তু কম নয়। এখন কে কাকে সম্মান করবে এবং কে কাকে করবে না, কে কার সিদ্ধান্ত মানবে আর কারটা নাকচ করবে এই দ্বন্দ্বে যদি আমরা যাই তাহলে কিন্তু একটা রাষ্ট্র সুষ্ঠুভাবে চলতে পারে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্রকে সুষ্ঠুভাবে চলতে গেলে এই তিনটি অঙ্গকেই যথাযথভাবে তার কর্মপরিকল্পনা চালাতে হবে। সেই সাথে আমি আরেকটু বলব, প্রত্যেকটি ক্ষেত্রেই সকলের কিছু কিছু ক্ষমতা থাকে। সেই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে আমরা কতটুকু প্রয়োগ করতে পারি, যেটা জনস্বার্থের পক্ষে কতটা করলে জনস্বার্থ ব্যাহত হতে পারে, তিনটি অর্গানের মধ্যে দ্বন্দ্ব হতে পারে- এই বিবেচনাটুকু সকল পক্ষের থাকা উচিত বলে আমি মনে করি।
তিনি বলেন, সংবিধানেই আছে রাষ্ট্রপতি যখন বিচারপতি নিয়োগ দেন তখন প্রধান বিচারপতির সঙ্গে পরামর্শ করবেন। কাজেই এখানে কোনোরকম কিছু হলে সেটা রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান করাটাই ভালো। আর এক্ষেত্রে আমাদের কিছু করণীয় থাকলে নিশ্চয়ই আমরা সেটা দেখব। আমি চাই না এ রকম কোনো কথা উঠুক যে আমাদের দ্বন্দ্ব বা কোনো কিছু আছে। এ ধরনের কথা উঠলে এটি সমগ্র জাতি বা জনগণের জন্য ভালো হবে না। বিচার বিভাগের ইমেজ সেটাও যেমন প্রশ্নবিদ্ধ হবে তেমনি লেজিসলেটিভ এবং এক্সিকিউটিভ সমন্ধেও জনগণ একটা ভুল ধারণা নিয়ে যাবে। যে কোন বিষয় আমি মনে করি আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করা উচিত এবং সেগুলো বিবেচনা করে দেখা উচিত বলে আমি মনে করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা একটা আইন এতগুলো ধাপ পেরিয়ে তারপর পাস করি এবং প্রতিটি আইন যখন পাস করা হয় তখন বিষয়টি নেয়াই হয় জনগণের কোনো না কোনো স্বার্থে। আর সেই আইনটি যদি আমরা দেখি দু’জন বসে নাকচ করে দিলেন। আর কিছুই করার থাকলো না। তাহলে এতদিন ধরে খাটা-খাটুনি, সরকারি অফিসার থেকে জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে সবাই মিলে যে খাটা-খাটুনি করলো সব কিন্তু ব্যর্থ হয়ে যায়।
শেখ হাসিনা বলেন, এইসব ক্ষেত্রে বোধ হয় আরো বিবেচনার প্রয়োজন আছে বলে আমি মনে করি। আমি আর একটি কথা বলব, এখানে প্রধান বিচারপতি কিছু প্রসঙ্গ তুলেছেন- তাঁকে অনুরোধ করবো- রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া এবং প্রধান বিচারপতিকে নিয়োগ দেয়া। এখানে আমার কিন্তু কোনো ক্ষমতা নেই।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিচারকদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত দিতে হয়, বিএনপি দুই দুইজন বিচারককে বোমা মেরে হত্যা করেছে। গাজীপুর এবং ঝালকাঠিতে, এরকম ঘটনাও ঘটে গেছে বাংলাদেশে এবং তারপর থেকে আমরা শংকিত হই। কাজেই বিচারপতিদের নিরাপত্তার বিষয়টাও আমরা চিন্তা করি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে আরেকটি নতুন যে উৎপাত শুরু হয়েছে জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদ, এর হাত থেকে আমরা দেশকে মুক্ত করতে চাই এবং সেজন্য আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ঘুরে আসুন ঐতিহ্যবাহী শহর ভিগান থেকে
অনন্য প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি গোটা বিশ্বে এশিয়ার দেশগুলোর ঐতিহ্য এবংবিস্তারিত পড়ুন
ডেঙ্গুতে মৃত্যু ৫০০ জন ছুঁই ছুঁই
চলতি বছর এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৪৯৭বিস্তারিত পড়ুন
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়: আগরতলায় সহকারী হাইকমিশনে হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ বাংলাদেশ
ভারতের ত্রিপুরার আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশন প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ ও হামলারবিস্তারিত পড়ুন