নভেম্বরে আরো বড় হামলার শঙ্কায় ১৪ দল
সম্প্রতি দুই বিদেশি নাগরিক হত্যা, তাজিয়া মিছিলে বোমা হামলা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট। নভেম্বরে আরো বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে সতর্ক থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দিয়েছেন জোট নেতারা।
বৃহস্পতিবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠকে জোট নেতারা এ আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সূত্র রাইজিংবিডিকে এ কথা জানিয়েছে।
সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়ার সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়। ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিতব্য জনসভা সফল করতে বৈঠকের আয়োজন করা হয়। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২ নভেম্বর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ জনসভা হবে।
বৃহস্পতিবারের ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন- ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম, আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর কবির নানক, আহমদ হোসেন, ড. আব্দুর রাজ্জাক, ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, সুজিত রায় নন্দী, এস এম কামাল, জাসদের শরীফ নূরুল আম্বিয়া, জেপির শেখ শহিদুল ইসলাম, গণতন্ত্রী পার্টির নুরুর রহমান সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির কামরুল আহসান, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, ন্যাপের এনামুল হক ও ইসমাইল হোসেন, বাসদের রেজাউর রশিদ খান, গণআজাদী লীগের এস কে শিকদার প্রমুখ।
একাধিক সূত্র জানায়, দেশে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে বৈঠকে উদ্বেগের কথা বলেন জাতীয় পার্টির (জেপি) সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়–য়া, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলাম, ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কামরুল আহসান, গণআজাদী লীগের আহ্বায়ক এস কে সিকদার, বাসদের আহ্বায়ক রেজাউর রশীদ খান। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং দুর্নীতির অভিযোগে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের বিচার বানচাল করতে নভেম্বরে আরো বিচ্ছিন্ন এবং চোরাগোপ্তা হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেন ১৪ দলের নেতারা। এমনকি সন্ত্রাসী তৎপরতার জন্য সরকারবিরোধী বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠী অস্ত্র আমদানি করছে বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ক্ষমতাসীন জোটের নেতারা।
বৈঠকে ন্যাপের এনামুল হক বলেন, এখনকার পরিস্থিতিকে হালকাভাবে নেওয়া ঠিক হবে না। যুদ্ধাপরাধী ও খালেদা-তারেকের বিচার বানচাল করতে নানা অপতৎপরতা চলছে। প্রশাসনের মধ্যেও বিভাজন রয়েছে, সেখানে জামায়াত-বিএনপির লোক রয়েছে।
বৈঠক সূত্র আরো জানায়, শরিক দলের নেতাদের এমন উদ্বেগের সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত অনেক নেতাই সহমত পোষণ করেন। এমনকি জোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগের নেতারাও এসব বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করেন।
সংসদ নিয়ে টিআইবির বক্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেন ১৪ দলের নেতারা। তারা এমন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা না চাইলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া উচিৎ বলে মত দেন। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন টিআইবিকে বিএনপির অঙ্গ সংগঠন বলে আখ্যায়িত করেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সামনে টিআইবির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ ও সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, টিআইবি কীভাবে বলতে পারে, এই পার্লামেন্ট একটি নাট্যশালা? তারা কীভাবে বলতে পাওে, এই পার্লামেন্ট পুতুলনাচের আসর?
এতে গভীর ষড়যন্ত্র আছে দাবি করে তিনি বলেন, তারা যে কথাগুলো বলেছে, কোনো রাজনৈতিক দলও সে ভাষায় কথা বলতে পারে না। তারা বিএনপি-জামায়াতের চেয়েও জঘন্য ভাষায় সংসদকে আক্রমণ করে কথা বলেছে।’ এরা কারা? এদের পরিচয় কী? এই টিআইবির মুখপাত্ররা কী চায়? তারা কী চেয়েছিল? এসব প্রশ্ন উত্থাপন করেন নাসিম।
১৪ দলের মুখপাত্র আরো বলেন, তারা চেয়েছিল ৫ জানুয়ারির নির্বাচন না হোক নির্বাচন না হলে দেশে একটি অসাংবিধানিক সরকার আসবে? সেই স্বপ্ন পূরণ হয়নি বলেই কি আজ তাদের এত ক্ষোভ? তারা যে ভাষা ব্যবহার করেছে, এজন্য টিআইবিকে জনগণের কাছে ক্ষমা চাইতে হবে। ১৪ দলও মনে করে এদের ক্ষমা চাইতে হবে। না হলে এদের বিরুদ্ধে যেভাবে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ১৪ দল সেভাবে ব্যবস্থা নেবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে টিআইবির অর্থের উৎস ও পৃষ্ঠপোষকদের খুঁজে বের করার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরো বলেন, ‘এরা নির্বাচন চেয়েছে। ওদের নির্বাচন চাওয়ার অধিকার কে দিয়েছে। ওদের কাজ গবেষণা। ওরা ওদের এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে এসব কথা বলেছে। এতেই প্রমাণিত হয় ওরা দেশে গণতান্ত্রিক বিধি-ব্যবস্থার সরকার চায় না, অসাংবিধানিক সরকার চায়। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ওদের চক্রান্ত ব্যর্থ করে দিয়েছে, ভবিষ্যতেও করবে। অদূর ভবিষ্যতে টিআইবির মুখোশ উন্মোচন করা হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন