প্রেগন্যান্সি গ্লো-তে এখন চকচক করছে আপনার চোখ, মুখ। মা হওয়ার অনুভূতি সব সময় আনন্দে রাখছে আপনাকে। চিন্তা শুধু একটা বিষয় নিয়েই। নরমাল ডেলিভারি হবে তো? নাকি সেই কাঁটাছেঁড়ার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে? চিন্তা করবেন না। যদি আপনার বড়সড় কোনও জটিলতা না থাকে তবে গর্ভাবস্থায় কিছু জিনিস মেনে চললেই স্বাভাবিক ভাবে সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন।

ডায়েট- আপনি প্রেগন্যান্ট জানার পর থেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ডায়েট মেনে চলুন। স্বাস্থ্যকর খাবার, টাটকা ফল ও শাক-সবজি প্রচুর পরিমাণে খান। সেই সঙ্গেই জোর দিন আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের উপর। নিয়মিত মাল্টিভিটামিন খান। শরীরের পেশি যত শিথিল থাকবে, তত নরমাল ডেলিভারির সম্ভাবনা বাড়বে।

অ্যাকটিভ লাইফস্টাইল- অনেকে প্রেগন্যান্সির গোটা সময়টাই শুয়ে বসে কাটিয়ে দেন। এটা একেবারেই উচিত্ নয়। যদি চিকিত্সক আপনাকে বেড রেস্টে থাকতে না বলেন, এবং অন্য কোনও জটিলতা না থাকে তাহলে সচল থাকুন। বাড়ির হালকা কাজকর্ম করুন। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে যোগাসন বা হালকা ব্যয়াম করুন। সকাল, সন্ধে হাঁটতে যান। এতে ওজন কম থাকবে, শরীর সুস্থ থাকবে, নরমাল ডেলিভারির চান্সও বাড়বে।

জল- শরীরে ফ্লুইড চলাচল ভাল হওয়ার জন্য জল খাওয়া খুব জরুরি। এতে রক্ত চলাচল ভাল হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় না। কাজেই জল বেশি খেলে ডেলিভারিও অনেক সহজ হবে। গর্ভাবস্থায় প্রতি দিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খান।

স্ট্রেস- নরমাল ডেলিভারির জন্য শরীর সুস্থ, ঝরঝরে রাখা প্রয়োজন। স্ট্রেস বাড়লেই শরীর খারাপ হবে। নিজেকে সব সময় খুশি রাখুন। প্রয়োজনে মনোবিদের কাছে যান। প্রেগন্যান্সি মাসাজ নিলেও স্ট্রেস কমে।

জন্মের পরিকল্পনা- গর্ভাবস্থার শুরুতেই ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে পরিকল্পনা করে নিন। আপনার সমস্যার কথা খুলে বলুন। ডাক্তারের নির্দেশ, নিয়ম মেনে চলুন। এতে চিন্তা কম হবে। গোটা ব্যাপারটাই অনেক সহজ হয়ে যাবে।

অভিভাবকদের ক্লাস- বাচ্চার জন্মের আগে বাড়ির কাছেপিঠে কোনও পেরেন্টাল ক্লাসে যান। এই সব ক্লাসে কীভাবে সহজে, কম কষ্টে ও কম সময়ে বাচ্চার জন্ম দেওয়া যাবে শেখানো হয়।

যোগব্যায়াম- নরমাল ডেলিভারির জন্য অত্যন্ত উপকারী যোগব্যায়াম। এতে শরীরের পেশি শিথিল থাকবে, ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে, এমনকী স্ট্রেস কমবে। ডেলিভারির যন্ত্রণা কম করতে তাই নিয়মিত যোগব্যায়াম করুন। তবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে।