নামজাদা অভিনেতা খলিলের প্রথম প্রয়াণ দিবস আজ

ষাটের দশকের বাংলা ছবির অন্যতম জনপ্রিয় নায়কদের তিনি একজন। নামজাদা অভিনেতা হিসেবে টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে তিনি ছিলেন ভীষণ জনপ্রিয়।
পাঠক বলছি চলচ্চিত্রের সদা হাস্যোজ্জ্বল গুণী নায়ক-অভিনেতা খলিল উল্যাহ খানের কথা। ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর পৃথিবীর মায়া ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান এ অভিনেতা। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
৭ ডিসেম্বর দুপুর ‘শৈশব মেলা’ সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে তার আত্মার শান্তি কামনা করে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে মৌন মিছিল এবং বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে মোহাম্মদপুর কবরস্থানে তার কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, কবর জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠ করা হবে। আর এ সংগঠনের প্রধান উপদেষ্টা ছিলেন তিনি।
এটি ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি আটশ’রও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। আর ‘গুণ্ডা’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। এ ছবিতে তার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন নায়করাজ রাজ্জাক, আলমগীর ও কবরীসহ আরও অনেকে।
খলিলের জন্মস্থান সিলেটের কুমারপাড়ায়। তার বাবা পুলিশ অফিসার ছিলেন। এজন্য তাকে মেদিনিপুর, কৃষ্ণনগর, বগুড়া, বর্ধমান, নোয়াখালী যেতে হয়। খলিলের শৈশব জীবন কেটেছিল এসব জেলাতেই। খলিল ১৯৪৮ সালে সিলেট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।
১৯৫১ সালে মদনমোহন কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দেন। সিলেট এমসি কলেজ থেকে তিনি স্নাতক পাস করেন। ১৯৫১ সালে আর্মি কমিশনে যোগ দিয়ে কোয়েটাতে চলে যান। এরপর ১৯৫২ সালে ফিরে এসে আনসার এডজুট্যান্ট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৯২ সালে বয়সের কারণে রিটায়ার্ড করেন আনসার ডিপার্টমেন্ট থেকে।
১৯৫৯ সালে সোনার কাজল ছবিতে প্রথম অভিনয় শুরু করেন। এর আগে বেশ কয়েকটি নাটকেও অভিনয় করেন। খলিল অভিনীত দ্বিতীয় ছবি প্রীত না জানে রীত। ছবিটি ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি মুক্তি পায়। খলিলের তৃতীয় ছবি ‘সংগম’ ।
এরপর নায়ক হিসেবে তিনি একে একে অভিনয় করলেন—কাজল (১৯৬৫), ক্যায়সে কঁহু (১৯৬৫), ভাওয়াল সন্ন্যাসী (১৯৬৫), বেগানা (১৯৬৬), জংলী ফুল (১৯৬৮) প্রভৃতি ছবিতে। নায়ক হিসেবে খলিলের শেষ ছবি ‘জংলী ফুল’। এটি ১৯৬৮ সালে মুক্তি পায়। দু’টি ছবি প্রযোজনা করেছিলেন তিনি। একটি সিপাহী অন্যটি এই ঘর এই সংসার।
খলিল অভিনীত উল্লেখযোগ্য ছবি হলো- ‘তানসেন’, ‘আলোর মিছিল’, ‘নদের চাঁদ’, সোনার কাজল’, ‘অলংকার’, ‘মাটির ঘর’, ‘পাগলা রাজা’ ‘বিনি সুতোর মালা’, ‘মাটির পুতুল’, ‘সুখে থাকো’, ‘অভিযান’, ‘পুনর্মিলন’, ‘কার বউ’, ‘বউ কথা কও’, ‘দিদার, ‘মিন্টু আমার নাম’, ‘বেঈমান’, ‘আগুন’, ‘ফকির মজনু শাহ’, ‘কন্যা বদল’,
যৌতুক’, ‘আয়না’, ‘মাটির পুতুল’, ‘আওয়াজ’, ‘নবাব’, ‘সোনার চেয়ে দামি’, ‘বদলা’, ‘মেঘের পর মেঘ’, ‘আয়না’, ‘মধুমতি’, ‘ওয়াদা’, ‘ভাই ভাই‘, ‘সঙ্গম’, ‘পুনম কি রাত’, ‘অশান্ত ঢেউ’, ‘ক্যায়সে কাহু’, ‘ভাওয়াল সন্ন্যাসী’, ‘উলঝান’, ‘সমাপ্তি’’, ‘দ্বীপকন্যা’, ‘সুখের ঘরে দুঃখের আগুন’, ‘এই ঘর এই সংসার’, ‘বাপ বড় না শ্বশুর বড় প্রমুখ।
খলিল উল্যাহ খান আবদুল্লাহ আল মামুনের ধারাবাহিক নাটক ‘সংশপ্তক’ এ মিয়া চরিত্রে অভিনয় করে তিনি ব্যাপক প্রশংসিত হন। ‘মিয়ার বেটা মিয়া’ হিসেবে দর্শকদের মুখে মুখে নাম ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতিও ছিলেন।
আজ বাদ আছর বিএফডিসিতে তাঁর আত্মার মাগফিরাত কামনা করে শিল্পী সমিতিতে মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হবে। এছাড়াও বাদ জোহর পারিবারিক উদ্যোগে কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলেরও আয়োজন করা হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ওটিটি প্ল্যাটফর্মে যে সিরিজগুলো ২০২৫ মাতাবে
চব্বিশের বছরজুড়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে রাজত্ব করেছে “হীরামণ্ডি”, “মির্জাপুর সিজন ৩”বিস্তারিত পড়ুন

অবৈধ জুয়ার প্রচারণায় অপু-বুবলী-পরিমনি-ফারিয়াদের নাম
২০২৪ সালের বিভিন্ন সময় জুয়ার অ্যাপের প্রচারণায় যুক্ত হওয়ায় অভিযোগবিস্তারিত পড়ুন

৮ বছরের আইনি লড়াই শেষে বিবাহ বিচ্ছেদ চূড়ান্ত ‘ব্র্যাঞ্জেলিনা’ দম্পতির
দীর্ঘ আট বছরের আইনি লড়াই শেষে বিবাহ বিচ্ছেদের আনুষঙ্গিক বিষয়গুলোবিস্তারিত পড়ুন