নামাজ পড়েন, গঙ্গাস্নানও করেন!
ভারতের উত্তরপ্রদেশের এলাহাবাদের বাসিন্দা আবদুল হাফিজ (৬৯)। গত ৪৯ বছর ধরে দুটি কাজ নিয়মিত করছেন তিনি। এর একটি নামাজ, অন্যটি গঙ্গাস্নান।
একজন মুসলমান হিসেবে হাফিজ রোজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। পাশাপাশি হিন্দুদের মাঘমেলা, কুম্ভ ও আরধ কুম্ভ অনুষ্ঠানে গঙ্গাস্নান করেন তিনি।
টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, ভারতের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো মাঘমেলায় যান আবদুল হাফিজ। এর পর থেকে এলাহাবাদের গঙ্গাতীর তাঁর দ্বিতীয় বাড়িতে পরিণত হয়েছে।
মাঘমেলায় আসা দর্শনার্থীদের সেবায় অপূর্ব দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর হিন্দুদের বড় বড় ধর্মীয় উৎসবে আবদুল হাফিজকে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে নিয়োগ দেয়। এমনকি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পরও তাঁকে এ কাজে বহাল রেখেছে অধিদপ্তর। পুণ্যার্থীদের সেবা করতে পেরে খুশি হাফিজও।
‘২০০৬ সালে অবসর নেওয়ার পরও বছরের পর বছর পুণ্যার্থীদের সেবা করতে দেওয়ার মধ্য দিয়ে অধিদপ্তর আমার ইচ্ছা পূরণ করেছে’, বলেন হাফিজ।
কুম্ভ, আরধ কুম্ভ ও মাঘমেলায় পুণ্যার্থীদের সেবায় বিশেষ অবদান রাখায় ২০০১ সালে উত্তরপ্রদেশ রাজ্য সরকার হাফিজকে সংবর্ধনা দেয়।
কুম্ভমেলাসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাফিজ দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি নির্দিষ্ট দিনগুলোতে নদীতে পুণ্যস্নান করেন।
‘কল্পবাসীদের (যারা মাঘমেলায় এক মাস ধরে গঙ্গাতীরে অবস্থান করে) সেবার সময় আমি অপরিসীম আনন্দ অনুভব করি’, বলেন হাফিজ।
‘ধর্ম কোনো বাধা নয়। মানবসেবার চেয়ে বড় কোনো দায়িত্ব নেই’, যোগ করেন হাফিজ।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টস জিতে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
গল আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথমটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেবিস্তারিত পড়ুন