নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুন মামলার রায় আজ
নারায়ণগঞ্জের বহুল আলোচিত সাত খুন মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ (সোমবার)। প্রায় আড়াই বছর বিচার কাজ চলার পর নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন রায় ঘোষণার জন্য আজকের তারিখ নির্ধারণ করেন। নারায়ণগঞ্জবাসীর পাশাপাশি, গোটা দেশের মানুষ তাকিয়ে আলোচিত এই রায়ের দিকে। নিহতের স্বজন ও তাদের আইনজীবীদের প্রত্যাশা খুনিরা সর্বোচ্চ শাস্তি পাবেন। তবে এজাহারভুক্ত অনেক আসামি পলাতক থাকায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কাও প্রকাশ করছেন তারা।
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের খান সাহেব ওসমানী স্টেডিয়ামের সামনে থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তার বন্ধু মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম, লিটন ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তার গাড়িচালক ইব্রাহীম অপহৃত হন। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের ও ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় দুটি মামলা হয়। একটি মামলার বাদী হলেন নিহত অ্যাডভোকেট চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল।
দুটি মামলার তদন্ত শেষে ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নূর হোসেন, র্যাবের সাবেক তিন কর্মকর্তাসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় ডিবি পুলিশ। এতে দুটি মামলাতে সাক্ষী করা হয়েছে ১২৭ জন করে। মামলায় গ্রেপ্তার রয়েছেন ২৩ জন। আর পলাতক আছেন ১২ জন। তবে ৩৫ আসামির পক্ষেই চলে মামলার কার্যক্রম।
হত্যাকাণ্ডের ১১ মাস পর ২০১৫ সালের ৮ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জের আদালতে ৩৫ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মামুনুর রশিদ মণ্ডল।
২০১৫ সালের ১২ নভেম্বর নূর হোসেনকে ভারত থেকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়। সাত খুনের দায় স্বীকার করে র্যাবের ১৭ জনসহ ২২ জন এবং ঘটনার সাক্ষী হিসেবে ১৭ জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
পরবর্তী সময়ে অভিযোগপত্র থেকে পাঁচ আসামিকে বাদ দেওয়ায় এবং প্রধান আসামি নূর হোসেনের জবানবন্দি ছাড়া আদালত অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ায় ‘নারাজি’ আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম বিউটি। আবেদনটি নারায়ণগঞ্জ বিচারিক হাকিম ও জজ কোর্টে খারিজ হয়ে গেলে বিউটি উচ্চ আদালতে যান।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হওয়া বিচার কাজের আইনি কার্যক্রম শেষ হয় গত ৩০ নভেম্বর। ১২৭ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
যুক্তিতর্ক ও আসামিদের জেরাতে রাষ্ট্রপক্ষ আদালতে প্রমাণ করতে সক্ষম হয় যে মামলায় অভিযুক্তরা সবাই সাতজনকে অপহরণ থেকে শুরু করে হত্যা, গুমসহ পুরো কার্যক্রমে জড়িত। সেজন্য আদালতকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রদান করতেও দাবি জানায় আইজীবীরা।
বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, যেভাবে সাতজনকে হত্যা করা হয়েছে তা খুবই মর্মান্তিক ও নৃশংস। চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু বিচার হবে এমন প্রত্যাশা শুধু নারায়ণগঞ্জবাসীর নয় সমগ্র বাংলাদেশের। আদালতের প্রতি মানুষের আস্থা রয়েছে। সেই আস্থা থেকেই আমার প্রত্যাশা আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড হবে। কারণ সাক্ষ্য প্রমাণে আসামিদের সম্পৃক্ততা প্রমাণিত হয়েছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন