শুক্রবার, নভেম্বর ২২, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নারীকে খুঁটিতে বেঁধে ৯ ঘণ্টা নির্যাাতন, ক্ষতস্থানে মরিচের গুঁড়ো!

ভরণ-পোষণ চাওয়ায় এক নারীকে নয় ঘণ্টার বেশি সময় ধরে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পিটিয়েছে স্বামীর পরিবারের লোকজন। নির্যাতনের সময় তৃষ্ণায় পানি খেতে চাইলে ওই নারীর মুখে প্রস্রাব ঢেলে দেয়া হয়। এমনকি ক্ষতস্থানে ছিটিয়ে দেয়া হয় মরিচের গুঁড়ামিশ্রিত পানি। এই অমানবিক ঘটনা ঘটেছে সুনামগঞ্জের হাওরাঞ্চল শাল্লা উপজেলায়। উপজেলার বাহাড়া ইউনিয়নের ভাতগাঁও গ্রামের মহসিন মিয়ার স্ত্রী নির্যাসতিত রাহেলা খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে পুলিশ।

এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রাহেলা বেগম সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভাতগাঁও গ্রামের ধন মিয়ার ছেলে মহসিন মিয়ার সঙ্গে তিন বছর আগে তার বিয়ে হয়। গত বছর মহসিন স্ত্রীর অনুমতি ছাড়াই আরেকটি বিয়ে করেন এবং মৌখিকভাবে তাকে তালাক দেন। মা-বাবাহীন রাহেলা দুই বছরের মেয়েশিশুকে নিয়ে নিজের বাড়ি চলে যান এবং অন্যের বাড়িতে কাজ করে খেতেন। কিছুদিন আগে রাহেলা স্বামীর বাড়ি গিয়ে সন্তানের ভরণ-পোষণ দাবি করেন। ভরণ-পোষণ না দিলে তিনি আইনের আশ্রয় নেবেন বলেও জানান। গত শুক্রবার সকালে নিজের বাড়ি থেকে রাহেলাকে ধরে নিয়ে যায় স্বামীর বাড়ির লোকজন। রাহেলা বলেন, “আমাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে বাড়িতে বেঁধে রাখে।

পরে আমার স্বামী মহসিন, ভাসুর কুদ্দুছ মিয়া, কুদ্দুছ মিয়ার ছেলে কয়েছ মিয়া ও মহসিন মিয়ার খালাতো ভাই লুৎফুর মিয়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাঠি ও রড দিয়ে পেটায়।তারা আমার ক্ষতস্থানে মরিচের গুঁড়া দেয়। আমি পানি খেতে চাইলে আমার মুখে এনে প্রস্রাব ঢেলে দেয়।” রাহেলা জানান, বিকালে গিয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক হেলাল উদ্দিন জানান, শুক্রবার বিকালে রাহেলা খাতুনকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তার শরীরের প্রায় সব জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

তবে কোমরে আঘাত পাওয়ায় এখনো তিনি সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছেন না এবং স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারছেন না।” শাল্লা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জিন্নাতুল বলেন, খবর পেয়ে মহসিন মিয়ার বাড়ি থেকে রাহেলাকে হাত-পা বাঁধা ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। সেখান থেকে বিকালে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এসআই আরো জানান, এ ঘটনায় রাহেলা বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আসামিরা হলেন মহসিন, কুদ্দুছ মিয়া, কয়েছ মিয়া ও লুৎফুর মিয়া। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। তাদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

বাঁধ নির্মাণ শুরু হয়নি হাওরে, নীতিমালা বদলালেও

সুনামগঞ্জে এক ফসলি বোরো ধান উৎপাদনসমৃদ্ধ হাওরগুলো রক্ষায় কাবিটার নতুনবিস্তারিত পড়ুন

সিরাজগঞ্জে ‘খাদ্যে বিষক্রিয়ায়’ মা-ছেলের মৃত্যু

সিরাজগঞ্জের তাড়াশে দুপুরের খাবার খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে শনিবার শিশুসহবিস্তারিত পড়ুন

সুন্দরগঞ্জে বজ্রপাতে ২ সন্তানের জননীর মৃত্যু

এল এন শাহী, গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধিঃ সুন্দরগঞ্জে বজ্রপাতে রাহেলা বেগমবিস্তারিত পড়ুন

  • কলংকজনক রাজন হত্যাঃ যা বললেন রাজনের বাবা
  • সুনামগঞ্জ-২ আসনে সুরঞ্জিতের স্ত্রী বিজয়ী
  • ৮ লাখ টাকার ভারতীয় গরুর চালান আটক
  • সুনামগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন নিয়ে সংশয় কাটছে না তৃণমুল নেতাকর্মীদের: পদ বিক্রির অভিযোগ
  • মাদক ব্যবাসয়ী গ্রেফতার- ১কেজি গাঁজাও ২লিটার মদ উদ্ধার
  • কুরশী হাইস্কুল ভবন উদ্বোধনঃ ’প্রতিটি গ্রামেই আ’লীগ সরকার ব্যাপক উন্নয়ন করেছ ‘ -এমপি মানিক
  • সুনামগঞ্জে তাফসীর কুরআন মাহফিল থেকে ফেরার পথে বক্তা আটক!
  • হতদরিদ্র পরিবারের নিরীহ কলেজ ছাত্রকে মারধোর করে পুলিশের হাতে তুলে দিল ছাত্রলীগ নামধারী দুবৃক্তরা
  • পরকীয়া প্রেমের টানে ৪৫ দিনের শিশুকে ফেলে প্রবাসীর স্ত্রী প্রেমিকের সঙ্গে উধাও, অপঃপর যা হলো..
  • জলমহাল নিয়ে একজন নিহত, আহত ২৫
  • তথ্য গোপন করে পুলিশে নিয়োগ!
  • যুক্তরাজ্যে প্রবাসি জগন্নাথপুরের ছানু মিয়া আর নেই