নারীকে গর্তে ফেলে প্রহার (ভিডিও)

নোয়াখালীতে এক নারীকে পেটাতে পেটাতে মাটির গর্তে ফেলে দিয়ে আবারো পেটালো এক বখাটে যুবক। স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের মীমাংসা করে দেওয়ার বিনিময়ে টাকা দাবি করেছিল শাহজাহান নামের ওই বখাটে। বিচারপ্রার্থী শাহানারা বেগম (৩২) সেই টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত সোমবার রাস্তায় একা পেয়ে বেদম প্রহার করে সে।
জানা যায়, শাহানারা বেগম ৫নং ওয়ার্ডের রিয়াজ উদ্দিনের স্ত্রী। শাহানারা বেগমের এটি দ্বিতীয় বিয়ে। তার প্রথম স্বামী ধনু মিয়া মারা যান ২০০২ সালে। একই সালে রিয়াজ উদ্দিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের কোনো কাবিন হয়নি, ঘরোয়াভাবে মৌলবির সামনে কলেমা পড়ে বিয়ে হয়। প্রথম ঘরে তার দুই মেয়ে আছে। দু’জনেরই বিয়ে দিয়েছেন। দ্বিতীয় ঘরে আরেকটি মেয়ে রয়েছে। মেয়েটি এএম উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।
শাহানারা বেগম বেশ কিছু পৈত্রিক সম্পত্তি পেয়েছেন। এছাড়াও সুদে টাকা কর্জ দিয়েও উপার্জন করেন। দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তিনি প্রথমে স্থানীয় এক উকিলের কাছে গিয়ে বিচ্ছেদের জন্য অ্যাফিডেভিট করতে চান। কিন্তু কাবিন না থাকায় তিনি পৌরসভার মেয়রের কাছে যাওয়ার পরামর্শ দেন। মেয়র মীমাংসাও করে দেন। এই সুযোগে বখাটে শাহজাহানসহ আরো তিনজন তার বাসায় গিয়ে ১০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। মীমাংসার আশ্বাসে এক কাউন্সিলরকে ১০ হাজার টাকা তিনি দিয়েছেনও।
গত শনিবার রাতে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন করে ৩০ হাজার টাকা চাঁদা চাওয়া হয়। এবারও দিতে অস্বীকৃতি জানান। সোমবার শাহানারা ব্যাংক থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা ঋণ তোলেন। এর আড়াই লাখ টাকা নিজের নামে এবং এক লাখ টাকা মেয়ের নামে। টাকা নিয়ে বাড়ি আসার পথে একা পেয়ে শাহজাহান পেছন থেকে তিনটি ঘুষি মেরে ফেলে দেয়। এরপর রাস্তা থেকে তুলে এলোপাতাড়ি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে শাহানারা রাস্তা থেকে ছিটকে সংস্কারাধীন রাস্তার পাশের গর্তে পড়ে যান। ঘটনাস্থলে লোকজন জড়ো হতে থাকে।
এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক ভিডিও করতে থাকেন। ভিডিওতে দেখা যায়, শাহজাহান গাছের ডাল দিয়ে শাহানারা বেগমকে পেটাচ্ছে। এসময় স্থানীয় এক যুবক তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলেও কোনো কাজ হয়নি। এক পর্যায়ে স্থানীয় এক প্রবীণ এগিয়ে আসেন কিন্তু তার কথাও শোনেনি শাহজাহান। এ ব্যাপারে শাহানারা বেগমের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, চাঁদা দিতে না চাইলে শাহজাহান আমার ব্যাগ কেড়ে নেয়। ব্যাগে সাড়ে তিন লাখ টাকা ছিল। এছাড়াও সে আমার গলায় থাকা দেড় ভড়ি স্বর্ণের চেন টান দিয়ে ছিঁড়ে ফেলে। প্রহারের এক পর্যায়ে আমি অজ্ঞানের মতো হয়ে গিয়েছিলাম। গর্ত থেকে তুলে আমাকে পাশের একটি বাড়ির সামনে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর রড দিয়ে মারে শাহজাহান। আমার নাকফুল কেড়ে নেয়। কয়েকটা থাপ্পর দিয়ে আমার বুকে লাথি দেয়।
এসময় স্থানীয় লোকরা আমাকে উদ্ধার করে। স্থানীয় লোকেরা আসলে সে আমাকে অর্ধেক চেন ফেরত দেয়। পরে একটি রিকশায় করে আমাকে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত শুক্রবার শাহানারা থানায় মামলা করতে গেছেন। প্রিয় ডট কম
https://youtu.be/p4_09lLzRnM
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন