নারীদের বিশেষ অঙ্গের যত্ন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
একজন নারীর নারী হয়ে উঠা সহজ কোনো ব্যাপার নয়।ঘরের এবং পরিবারের প্রাথমিক যত্ন- পরিচর্যা বিশেষত তাদেরও ওপরই নির্ভর করতে হয়। কর্মজীবী নারীদেরকে অফিসের পাশাপাশি বাসাবাড়িও দেখাশুনা করতে হয়।এটা সত্যি, নারীরা ক্লান্তিহীনভাবে তাদের বৈচিত্র্যপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু তাদের অধিকাংশই নিজেদের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতন নয়। তারা বেশি অবহেলা করে থাকেন তাদের বিশেষ অঙ্গের যত্নের ক্ষেত্রে। গোপনাঙ্গের প্রতি আলাদা যত্ন নেয়ার ব্যাপারে ৭৫ শতাংশ নারীই অসতর্ক।
নারীর যৌনাঙ্গে প্রাকৃতিকভাবে ব্যাকটেরিয়া ও ইস্টের(ছত্রাক) মতো অসংখ্য অণুজীব উপস্থিত থাকে।শরীরের ত্বকের মতো এসব অণুজীব ও ব্যাকটেরিয়ার একটি নির্দিষ্ট সমন্বয় যৌনাঙ্গের স্বাভাবিক অবস্থা বজায় রাখতে সাহায্য করে। অনুজীবগুলি, যৌনাঙ্গের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ প্রতিহত করে এবং পিএইচ (অম্লত্ব ও ক্ষারত্বের স্থিতাবস্থা) নিয়ন্ত্রণ করে। যখন এই অণুজীবগুলোর মধ্যে ভারসাম্যহীনতার সৃষ্টি হয়, তখন তা ইস্ট সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিস (যোনিপথে ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ) প্রভৃতি রোগের সৃষ্টি করে থাকে। সেই সঙ্গে নারীরা তাদের সঙ্গীদের মাধ্যমেও বিভিন্ন ধরণের সংক্রমণে আক্রান্ত হতে পারেন। এসব কারণে নারীর বিশেষ অঙ্গের নিবিড় যত্ন নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: সুমন বিজলানী(এমডি, ডিজিও, এফসিপিএস) গোপনাঙ্গের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস দিয়েছেন।
নিয়মিত পরিষ্কার করুন: বিশেষ অঙ্গের যত্ন নেয়া জটিল কিছু নয়। নিয়মিত যত্ন ও প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ আপনাকে পরিছন্ন ও স্বাস্থ্যবান রাখবে। যত্ন নেয়া মানে শুধু গোসলের সময় পরিষ্কার করা নয়। নারীদের যৌনাঙ্গ প্রতিদিন তিন থেকে চারবার পরিষ্কার করা উচিত। বিশেষ করে বর্ষা ঋতু এবং পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে। যাতে করে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়।
সাবান এবং পানি ব্যবহার করবেন না: সাবানে পিএইচ উপাদান রয়েছে ৫.৫। আমাদের ত্বকেও একই পরিমাণ রয়েছে। কিন্তু যৌনি ত্বক অনেক বেশি সংবেদনশীল। এখানে পিএইচের পরিমাণ ৩.৮ থেকে ৪.৫। শুষ্কতা, যন্ত্রণা, উপদ্রব এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার ঠেকাতে পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করাটা জরুরি।
মাজবেন না: ব্রাশ বা অন্য কিছু দিয়ে কখনোই যৌনাঙ্গ মাজবেন না। নরম তোয়ালে বা গামছা দিয়ে যৌনাঙ্গ মুছে নিতে পারেন।
সামনে থেকে পিছনে পরিষ্কার করুন: সবসময় যৌনাঙ্গের সামনের অংশ থেকে পিছনের অংশ পর্যন্ত পরিষ্কার করুন। প্রথমে যৌনি, এরপর মলদ্বার পরিষ্কার করুন। এর ফলে, মলদ্বারে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে। যা যৌনিতে সংক্রমিত হয়।
পরিষ্কার করতে প্রাকৃতিক উপাদান ব্যবহার করুন: কৃত্রিম রাসায়নিক পদার্থ যোনি শুষ্ক করে ফেলে। ল্যাকটিক অ্যাসিডের মতো প্রাকৃতিক উপাদান পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে এবং যৌনাঙ্গের স্নিগ্ধতা বা তারল্য ফিরিয়ে আনে। চা গাছের তেল, সি বাকথ্রোন অয়েলের(সি বাকথ্রোন গাছের হলুদ ফল থেকে তৈরি) স্নিগ্ধ ও তাজা প্রাকৃতিক সুগন্ধি উপাদা রয়েছে।
সুতি অন্তর্বাস পড়ুন: সুতি কাপড় নরম এবং অধিক ত্বকবান্ধব। বায়ু চলাচল ও দ্রুত আদ্রতা শুষে নেয় সুতি কাপড়। বিশেষ কোনো উপলক্ষে সিল্ক বা অন্য কাপড়ের অন্তর্বাস পড়তে পারেন। তবু নিয়মিত পড়ার জন্য সুতি কাপড়ের অন্তর্বাস সবচেয়ে ভালো।
আরামদায়ক পোশাক পড়ুন: টাইট জামাকাপড় এড়িয়ে চলুন। কারণ এই ধরনের পোশাক বায়ু চলাচলে বাধা তৈরি করে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন