নারীরা তাদের স্বামীর কাছে যা প্রত্যাশা করেন!
নারীরা যেমন স্নেহময়ী তেমনি একটু আবেগী হয়ে থাকেন। অনেক কিছুই মুখে প্রকাশ করেন না কিন্তু মনে মনে ঠিকই চান সঙ্গী তার মনের কথা বুঝে নিক। অনেক ক্ষেত্রেই এবং বেশীরভাগ পরিবারে দেখা যায়, নারীর ইচ্ছাটাকে একটু কমই গুরুত্ব দেয়া হয়। আবার সংসারে নারীদের কাছ থেকে যে সকল কাজ আশা করা হয় একই ধরণের আশা যে নারীরাও করতে পারেন তা অনেক সময় পুরুষেরা বুঝতে পারেন না বা বুঝতে চান না। নারীরা সবকিছু উজার করে শুধু দিয়েই যাবে আর স্বামীরা নিয়েই ধন্য হবে,-এটা তো সবসময়ই হতে পারেনা।আর এ থেকেই শুরু হয় সংসারের অশান্তি। তাই পুরুষেরা যেমন চান নারীরা একটু বাস্তববাদী হোক, তেমনই নারীরাও চান- পুরুষেরাও একটু আবেগ দিয়ে চিন্তা করতে শিখুক। প্রত্যেক নারীই চান তার স্বামী কিছু বাস্তব সত্য নিজের মন থেকে বুঝে নিক, স্ত্রীর চাওয়া-পাওয়ার মূল্য দিক।
১) ‘স্ত্রীও একটু সাহায্য পাবার আশা রাখতে পারে’
যত উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত এবং যতো বড় চাকুরীই করুক না কেন ঘরে ফিরে চুলার হাড়ি নারীদেরকেই ঠেলতে হয়। বর্তমানে অনেক স্বামীরা স্ত্রীকে সাহায্য করে থাকেন।আধুনিক মনা অনেক পুরুষ তা স্ত্রীকে সাহায্য করেন বটে কিন্তু বেশীরভাগ পরিবারের চিত্রই থাকে ভিন্ন। কিন্তু নারীরা চান স্বামীর একটু সহযোগিতা। তারা যদি চাকুরী করে ঘরে ফিরে কাজ করতে পারেন তাহলে তার স্বামী কেন পারবেন না স্ত্রীকে একটু সাহায্য করতে? তাছাড়া স্বামী-স্ত্রী দুজনে মিলে কাজ করলে কাজ অনেক সহজ হয়।
২) ‘স্ত্রীর যেমন স্বামীর পরিবারের প্রতি দায়িত্ব-কর্তব্য রয়েছে; তেমনি স্বামীরও রয়েছে’
অনেক পরিবারেই নারীদের বলা হয় তার সবটা ঢেলে শ্বশুর শাশুড়ির সেবা এবং শ্বশুরবাড়ির সকলের মন জুগিয়ে চলতে। নারীরা করেনও এই কাজটি। কিন্তু বিপরীতে সেও আশা করেন তার স্বামী তার বাবা মায়ের প্রতি কিছুটা কর্তব্য পালন করুন। একটু হলেও স্বামী যেন তার পরিবারের মতো ভেবে খোঁজ খবর নেয় এবং বিপদে পাশে এসে দাঁড়ায়।
৩) ‘স্ত্রীর সবকথা মানতেই হবে এমন নয়, তবে মতামত দেয়ার অধিকার আছে ’
স্ত্রীর মতামতের মূল্য দেয়া এবং একটু পরামর্শ নেয়া মোটেও স্ত্রীর আঁচলে বাঁধা পড়ে যাওয়া নয়। প্রত্যেক নারীই চান তার স্বামী তার মতামতের একটু হলেও যেন মূল্য দেয়, তিনি আসলেই কি বলতে চান তা শুনুক। হতে পারে পরামর্শ স্বামীর পছন্দ না হতেই পারে কিন্তু না শুনেই তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে হেয় করার ব্যাপারটি স্ত্রীরা আশা করেন না।
৪) ‘স্বামীর কাছ থেকে একটু সময় আশা করা’
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, স্ত্রী যদি গৃহিণী হয় স্বামী বাইরে থাকলে কিছুক্ষণ পরপরই সে তার স্বামীকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু নারীরা বিরক্ত করার জন্য নয় বরং সঙ্গীর খোঁজ নেয়ার জন্য ফোন করেন।তাই যতই ব্যস্ত থাকুন, কথা বলার সময় না থাকলে স্ত্রীকে পরে বুঝিয়ে বলবেন। ব্যাপারটি নিয়ে কোন ভুল বোঝাবুঝির অবকাশ থাকবেনা।তাহলে তার স্ত্রীর প্রতি সম্মান দেখানোই হবে। আর এই বিষয়টিই আশা করেন নারীরা। অন্তত ১ মিনিটের জন্য ফোন ধরে হলেও খারাপ ব্যবহার না করে বুঝিয়ে বলা ঘরে থাকা গৃহিণী আশা করতেই পারেন।
৫) ‘ভালোবাসি কথাটি স্বামীর মুখ থেকে শুনতে চাওয়া’
একজন নারী তার স্বামীকে যথেষ্ট ভালোবাসেন এবং নিঃসন্দেহে স্বাভাবিক সম্পর্কে স্বামীও তার স্ত্রীকে ভালোবাসেন। আর এই বিষয়টিরই প্রকাশ চান নারীরা। প্রত্যেক নারীই চান একটু হলেও তার স্বামী তার প্রতি ভালোবাসা প্রদর্শন করুন। তিনি হয়তো জানেন তার স্বামী তাকে অনেক ভালোবাসেন। তারপরও মুখে বলে বা প্রকাশ করাটাতে স্ত্রীরা বেশি আনন্দ পান।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন