নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে: প্রধানমন্ত্রী
নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের অনেকে দেশের চেয়ে বাংলাদেশ এগিয়ে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীর অধিকার নিশ্চিতে সবকিছু করছে সরকার।
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিসিএস উইমেন নেটওয়ার্ক এর ৫ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে নারী কর্মকর্তাদের উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৯৬ সালে যখন সরকার গঠন করি তখন হাইকোর্টের বিচারপতি, সংসদে স্পিকার কিংবা কোনো জেলাতেও ডিসি পদে নারী কর্মকর্তা ছিলেন না। আমরা ক্ষমতায় এসে নারীদের উচ্চ পদে নিয়োগ দিতে শুরু করি।
তিনি আরও বলেন, ‘এখন দেশের বিরোধী দলের নেতা, স্পিকার, সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রেও নারীদের উচ্চ পদে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। বিমান বাহিনী, সেনাবাহিনী নৌবাহিনীতেও নারীরা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর পদেও নারী আছেন, বিশ্ববিদ্যালয় ও বুয়েটেও নারী উপাচার্য নিয়োগ দিয়েছি। তাদের যোগ্যতা কর্মক্ষেত্রে প্রমাণ করে বেশ প্রশংসা পাচ্ছেন তারা।
নারীদের কাজগুলো পুরুষদের ভাগ করে নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, যদি দুজনের মধ্যে কাজ ভাগ-বাঁটোয়ারা করে নেওয়া, ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে একসঙ্গে সময় কাটানো যায় তাহলে সংসারে একটা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। পরস্পরের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়।
তিনি বলেন, আমাদের দেশেরে স্বামী-স্ত্রী দু’জন চাকরি করলে, স্বামী ঘরে এসে বলেন, উফ ভীষণ ক্লান্ত! এককাপ চা দাও তো! এরপর নারীকে সন্তানের যত্নআত্মি করতে হয়। অথচ নারীরাও ক্লান্ত থাকেন। এই অবস্থায় পুরুষরাও কিন্তু তার স্ত্রীর কাজে সহায়তা করতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার পর টেবিল সাফসুতোরো করতে পারেন। নারী-পুরুষ ভাগাভাগি করে নিলে সব কাজই সুন্দর হবে।
তিনি বলেন, ‘যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এসব শিখেছি আমার ছেলের কাছ থেকে। সে তার স্ত্রী দু’জনই কাজ করেন। কিন্তু বাসায়ও দু’জন কাজ ভাগ করে নেন। কাজেই কাজ পারি না, বললে হবে না, শিখে নিতে হবে। স্ত্রীকে সহায়তা করতে হবে। আমি বুঝি না। আমি রান্না করি শুনে সবাই অবাক হয় কেন? আমার রান্না করলে ছেলে-মেয়েরা পছন্দ করে। তাই আমি রান্না করি। প্রত্যেক মা-ই তাই করে।’
ব্যক্তিগত জীবনের আরও কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এখন আমার নাতিরাও আমার কাছে আবদার করে। সেদিন নাতি বললো, আমি ভাত খাবো না, পোলাও খাবো। তোমার হাতের রান্না খাবো, আর আমি রান্ন করতেই বাধ্য হলাম।’
তিনি বলেন, আমাদের সমাজ পুরুষ শাসিত। তাই পুরুষরা দ্রুত টায়ার্ড হয়ে পড়েন। কাজেই আর টায়ার্ড হবেন না বলে আশা করি। তারাও নারীদের কাজে সহযোগিতা করবেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

দেশের কয়েকটি অঞ্চলে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির শঙ্কা, নদীবন্দরে সতর্কতা
দেশের সাতটি অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিবিস্তারিত পড়ুন

শিবির সভাপতি: অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই বিপ্লবকে ধারণ করতে পারেনি
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, “অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থবিস্তারিত পড়ুন

মহাকাশে কতগুলো স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করা হয়েছে, শীর্ষে কোন দেশ?
এখন পর্যন্ত পৃথিবীর কক্ষপথে মোট ৩০ হাজারের বেশি স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণবিস্তারিত পড়ুন