‘নারী প্রেসিডেন্টের জন্য ৯৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি’
৮ নভেম্বর, লাখ লাখ আমেরিকান নারীর জন্য হতে যাচ্ছে বিশেষ একটি দিন, কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের এই দিনে তারা কোনও নারী প্রার্থীকে ভোট দেয়ার সুযোগ পেতে যাচ্ছেন। যে সুযোগটি অনেকের জীবনে আগে কখনও আসেনি।
আর কারও জন্য এ দিনটি হতে যাচ্ছে ৯৬ বছরের অপেক্ষার অবসান।
১৯২০ সালের ১৮ই অগাস্টের আগে যুক্তরাষ্ট্রে যারা জন্ম নিয়েছেন তারা এমন একটি দেশে বেড়ে উঠেছেন যে দেশটিতে নারীদের ভোট দেয়ার কোনও সুযোগ ছিল না।
৯৮ বছর বয়সী এস্তেলে স্কাল্টজও এমন একজন নারী, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি কারখানার শ্রমিক হিসেবে কাজ করেছেন এবং তার সারাজীবনে শিক্ষাবিদের কাজ করে চলেছেন।
শৈশবে এস্তেলে তাঁর মায়ের সাথে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলেন কিভাবে মানুষ ভোট দিচ্ছে তা দেখার জন্য।
কিন্তু এস্তেলে হার্টের গুরুতর সমস্যায় ভুগছেন এবং বর্তমানে তিনি কারণে হাসপাতালের পরিচর্যায় রয়েছেন, কিন্তু তিনি বলেছেন “আমি আরও বাঁচতে চাই, আমার দেশের প্রথম নারী প্রেসিডেন্টের নির্বাচন আমি দেখে যেতে চাই”।
অক্টোবর মাসে তিনি তার পোস্টাল ব্যালটে লিখেছেন “কতটা গ্লানিকর ছিল অতীতের দিনগুলো” এবং পোস্টাল ব্যালটসহ এস্তেলের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করেন তাঁর নাতি সারাহ।
সেই ছবিটি খুব তাড়াতাড়ি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে দেখে সারাহ ও তার পরিবার এমন মানুষ খুঁজতে থাকে যারা দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করে আছেন যুক্তরাষ্ট্রে কোনও নারীকে প্রেসিডেন্ট হতে দেখবেন, কোনও নারী প্রার্থীকে তারা ভোট দিবেন।
এস্তেলের মতো আরও অনেক প্রবীণকে খুঁজে পাওয়া যায় যারা নারী প্রেসিডেন্টের অপেক্ষায় রয়েছেন এবং এ থেকেই জন্ম হয় ওয়েবসাইট ‘আই ওয়েটেড নাইনটি সিক্স ইয়ারস’ অর্থাৎ ‘৯৬ বছর ধরে অপেক্ষা করছি”। এই ওয়েবসাইটে দেখা মেলবে সেসব নারীর যারা কোনও নারী প্রার্থীকে ভোট দেবার অপেক্ষায় ছিলেন। হিলারি ক্লিনটনের এই প্রবীণ সমর্থকদের বিভিন্ন গল্প ও মন্তব্যও পাওয়া যাচ্ছে এখানে।
কয়েকজন নারী এতটাই বৃদ্ধ যে তারা মনে করতে পারছেন না কবে নারীরা ভোট দেবার অধিকার পেলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের ১৯তম সংশোধনী পাশের মাধ্যমে দেশটিতে নারীরা ভোট দেবার অধিকার পায়। ১৯১৯ সালের ৪ঠা জুন এই সংশোধনী কংগ্রেসে পাশ হলেও এ প্রস্তাবটি আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পায় ১৯২০ সালের ১৮ই অগাস্ট। সংবিধানের এই ১৯তম সংশোধনীতে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যেক নারীর ভোট দেয়ার অধিকার আছে।
” আমার মনে আছে সেই দিনটির কথা, যেদিন আমার মায়ের সাথে ঘোড়ায় করে ভোটকেন্দ্রে গিয়েছিলাম, তখন প্রথমবারের মতো নারীরা ভোট দিয়েছিল”-বলছিলেন ১০৩ বছর বয়সী জুলিয়েট বার্নস্টেইন । তিনি থাকেন ম্যাসাচুসেটসে, ১৯১৩ সালে জন্ম নেয়া এই নারী মায়ের উৎসাহেই ব্যাচেলর ডিগ্রি লাভ করেন।
শিকাগো থেকে ৯৮ বছর বয়সী বিয়াট্রিস লাম্পকিন বলছেন “আমার মা ছিলেন সেসব নারীদের একজন যারা প্রথম তাদের চুল ববকাটে ছেঁটে ফেলেন এবং নিজেরা লং স্কার্ট ছেড়ে ছোট ছোট স্কার্ট পড়া শুরু করেন”।
“এটা পুরাটাই ছিল আমাদের অধিকারের বিষয়, যা ভোটাধিকারের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল। নারীদের ভোটাধিকার অর্জনের যে দাবি ছিল, সেটা পাবার পর কতটা যে গর্ববোধ করেছিলাম এই বৃদ্ধ বয়সেও আমি সেটা অনুভব করি”-বলেন মিস লাম্পকিন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন