নারী, মাদকে ‘মগ্ন’ সৌদিরা
বিশ্বে ইসলাম ধর্মের রীতিনীতির ধারক আর কঠোর ধর্মীয় অনুশাসনের প্রতীক হিসাবে পরিচিতি পাওয়া খোদ সৌদি আরবেই রাজপরিবার থেকে শুরু করে তরুণ প্রজন্ম মজে আছে মদ, মাদক আর নারীতে।
সৌদি প্রবাসী এক ব্রিটিশ প্রথমবারের মতো সৌদি আরবের এ চিত্র সামনে নিয়ে আসার পর দেশটির বিরুদ্ধে দ্বিমুখী নীতির অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে ‘দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট’।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই ব্রিটিশ নাগরিকের কথায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ধর্মীয় অনুশাসনের আড়ালে সৌদি আরবের প্রকৃত অবস্থা। যেখানে একদিকে অবাধে চলছে ইসলামিক আইনের লঙ্ঘন আর অন্যদিকে, এই একই আইন লঙ্ঘনের কারণে প্রবাসীরা সম্মুখীন হচ্ছে কঠোর শাস্তির।
ওয়াইন তৈরির অভিযোগে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ কার্ল অ্যান্ড্রি নামক এক ব্রিটিশকে বন্দি করে ৩৫০ বার চাবুক মারার শাস্তি দেয়ার পর সৌদি আরবের এ স্বরূপ প্রকাশ পেল।
সৌদি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর এরই মধ্যে একবছরের বেশি সময় জেল খেটেছেন অ্যান্ড্রি। ২০১৪ সালের অগাস্টে গাড়িতে করে ঘরে তৈরি ১২ বোতল ওয়াইন নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা পড়েন তিনি।
সৌদি আরবের আইনে মদ অবৈধ। ফলে আইন অমান্য করায় চাবুক মারার শাস্তি দেয়া হয় অ্যান্ড্রিকে।
এ সাজায় ক্যান্সারে আক্রান্ত ৭৪ বছর বয়স্ক অ্যান্ডির মৃত্যু হতে পারে বলে শঙ্কিত তার পরিজনরা। বিষয়টি ইতোমধ্যেই ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
অ্যান্ডির সাজা মওকুফ করতে সৌদি আরব সরকারকে রাজি করানোর জন্য ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনকে আহ্বান জানিয়ে একটি পিটিশনে সই করেছে ২ লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ। এ পিটিশনে ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন ক্যামেরনও।
মদ পান করা কিংবা ব্যাভিচারের মতো ‘নৈতিক’ অপরাধের সাজা হিসাবে শিরশ্ছেদ কিংবা চাবুক মারার মতো কঠোর শাস্তি দেয় সৌদি আরব।
কিন্তু এমন কড়া আইনের পরও সৌদি তরুণরা অহরহই মেতে থাকছে মদ, মাদক আর নারী নিয়ে উদ্দাম পার্টিতে।পুলিশ এসব দেখেও দেখে না- বলছেন, সৌদি প্রবাসী ওই ব্রিটিশ।
‘দ্য সানডে মিরর’ কে তিনি বলেন, “অভিজাত সৌদিরাও দেশের বহু কঠোর ইসলামিক আইন লঙ্ঘন করছে। পতিতা, গাঁজা, কালোবাজার এমনকি গর্ভপাতের বড়ির সন্ধানেও তারা ব্যবহার করছে স্যোশাল নেটওয়ার্কিং অ্যাপ।”
“বিশ্বে ইসলাম ধর্মের ধারক-বাহক হিসাবে সৌদি আরব গর্ব করলেও তলে তলে চলে সবই। সঠিক দামে পাওয়া যায় সবকিছুই। আর বিশ্বের এ ধনী দেশের মানুষের কাছে অর্থ কোনো ব্যাপারই না।”
তিনি আরো জানান, দেশের প্রধান প্রধান শহরগুলোতে মাত্র কয়েক পাউন্ডেই অ্যালকোহল পাওয়া যায় পানির প্লাস্টিক বোতলে।পুলিশ কর্মকর্তারা ঘুষ নেন অবাধেই।
“আয়োজিত বিভিন্ন পার্টিতে এতটাই উন্মত্ততা দেখা যায় যে তা অনেক সময় পশ্চিমা ধাঁচের পার্টিকেও হার মানায়। এ সমস্ত পার্টিতে বিভিন্ন কম্পাউন্ডে থাকে গরম পানির টাব। সেগুলোতে মানুষজনকে যৌনতায় মেতে থাকতেও দেখা যায়।”
সৌদি আরবের বড় বড় শহরগুলোতে দেদারসে চলে অবৈধ মাদক ব্যবসা। ইয়েমেন এবং সিরিয়া থেকে আসে এমফিটামিন।
ইসলামিক স্টেট (আইএস) যোদ্ধারা সজাগ থাকতে যে শক্তিশালী এমফিটামিন ‘ক্যাপটাগন’ সেবন করে তা সৌদি আরবের ধনী তরুণদের মধ্যে খুবই জনপ্রিয়। ক্যাপটাগনের বদৌলতে অনেক সময়ই স্পোটর্স কার নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কসরতও করে সৌদি তরুণরা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ধর্ষণের অভিযোগের তদন্ত চলায় এমবাপ্পেকে বিজ্ঞাপন থেকে সরাল রিয়াল
আর্থিক দ্বন্দ্বের মধ্যে পিএসজি ছেড়ে রিয়াল মাদ্রিদে আসার পর একেরবিস্তারিত পড়ুন
মিয়ানমারে বন্যায় মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে ২২৬
ঘূর্ণিঝড় ইয়াগির প্রভাবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মিয়ানমারে ভারি বৃষ্টিপাতের কারণেবিস্তারিত পড়ুন
ইসরাইলি হামলায় আরও ৩৮ ফিলিস্তিনি নিহত
গত ২৪ ঘণ্টায় ইসরাইলি বাহিনীর তান্ডবে প্রাণ গেছে আরও ৩৮বিস্তারিত পড়ুন