নারী রেসলারদের গোপনীয় মজার বিষয় (ভিডিওসহ)
রেসলিং নিয়ে মানুষের আগ্রহের কমতি নেই। আর নারী রেসলার হলে তো কথাই নেই। ক্যাবল টিভি চ্যানেলগুলোতে ‘ডাব্লিউডাব্লিউইর’ নারী রেসলারদের রেসলিংই দর্শকদের কাছে বিস্ময়কর ঠেকে। নারীদের এই রেসলিং যেমন বিস্ময়কর তেমনি বিস্ময়কর তাদের জীবন। এই রেসলারদের কেউ ইতোমধ্যেই মা হয়েছেন কেউ কেউ আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। যুক্তরাজ্যের ডেইলি মেইল পত্রিকা অবলম্বনে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো এই নারী রেসলারদের জীবন।
নারীদের একটি রেসলিংয়ে অংশ নিলে সাধারণত পুরষ্কার হিসেবে জয়ীকে দেওয়া হয় ৫০ পাউন্ড আর পরাজিতকে দেওয়া হয় ৩০ পাউন্ড। আয়োজকেরা এই ধরণের রেসলিংকে ‘খেলা’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন। তাদের দাবি, প্রত্যেককেই কতগুলো নির্দিষ্ট নিয়মনীতি অনুসরণ করেই খেলতে হয় এবং জিততে হয়।
যুক্তরাজ্যের অনেক নারী রেসলারের একজন হচ্ছেন যুক্তরাজ্যের নটিংহাম শহরের ডেবোরা উইন্ডলে। ২১ বছরের ডেবোরা আবার এক কন্যার জননী। তিনি স্বপ্ন দেখেন একজন সমাজকর্মী হবেন। রেসলিং ও একটি বারে চাকরী করার পাশাপাশি স্বাস্থ্য ও সমাজসেবা নিয়ে একটি কলেজে পড়ালেখাও করছেন।
রেসলিংয়ের সাথে জড়িত হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলে, আমি ভিন্ন কিছু করতে চেয়েছিলাম। যখনই মাথায় রেসলিংয়ের ভাবনাটা আসল আমি আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলাম না। কিন্তু আমার এই পেশাকে সবাই সমর্থন করে না। আমার বাবা ও বন্ধুরা সবসময়ই আমার বিরোধীতা করে। তাদের ধারণা একদিন না একদিন আমার সবগুলো হাড় ভাঙ্গবেই। কিন্তু আমি এখনো পর্যন্ত মারাত্মক আহত হইনি’।
ডেবোরা উইন্ডলের বন্ধুরা কখনো স্বপ্নেও ভাবে না যে তারা রেসলিংয়ের মতো কিছু করবে। এই ব্যাপারে ডেবোরা বলেন, আমার বন্ধুরা কি ভাবল না ভাবলো তাতে আমার কিছুই যায় আসে না। এমনকি, আমার মেয়েও যদি একজন রেসলার হতে চায় আমি আপত্তি করবো না।
আরেকজন নারী রেসলার হচ্ছেন হেইডি ব্রাউন। তিনি নটিংহাম টেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ে মনস্তত্ত্ব ও খেলাধুলা বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনা করছেন। তিনি বলেন, আমার কিশোর বয়সে আমি কখনই মারামারি করিনি। সবসময় মারামারি থেকে দুরত্ব বজায় রাখতাম। কিন্তু বিস্ময়কর হচ্ছে আমি এখন একজন রেসলার। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধুরা আমার রেসলিং দেখতে পছন্দ করে। তারা আমার সমর্থক।
সম্প্রতি নারীদের রেসলিং নিয়ে যুক্তরাজ্যে বেশ উন্মাদনা সৃষ্টি হয়েছে। একটি কোম্পানী নারী রেসলারদের রেসলিংয়ের ভিডিও চিত্র ধারণ করে একটি ওয়েব সাইটের মাধ্যমে বিক্রয় করছে। প্রতিটি ভিডিও’র মূল্য ধরা হয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ পাউন্ড। আর নারী রেসলারদের নিয়ে কোটি টাকার ব্যবসা হয় পশ্চিমা দেশগুলোতে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
নারী ফুটবল দলের বেতন বকেয়া, দ্রুত সমাধানের আশ্বাস
টানা দ্বিতীয়বার সাফ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতে ঢাকায় এসে পৌঁছেছেবিস্তারিত পড়ুন
প্রোটিয়াদের রানের পাহাড়, টাইগাররা নামতেই বদলে গেল পিচের ধরন!
চট্টগ্রাম টেস্টে প্রথম ৫ সেশনেরও বেশি সময় ব্যাটিং করেছে দক্ষিণবিস্তারিত পড়ুন
নেপালকে হারিয়ে সাফ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের ২-১ গোলে হারিয়ে সাফবিস্তারিত পড়ুন