নাশপাতিতে হোক স্বাস্থ্যকর ইফতারি
এই গরমে আর লম্বা দিনে ইফতারে চাই পুষ্টি ও স্বাস্থ্যকর খাবার। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ইফতারে ভাজাপোড়া কমিয়ে বেশি বেশি ফল রাখাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। তাই রমজান মাসজুড়ে পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হবে বিভিন্ন ফলের পুষ্টিগুণ। আজ থাকছে অতি পরিচিত ফল—নাশপাতি।
অল্প ক্যালোরি : স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের বড় এক ভয় ক্যালোরি। কিন্তু ফলের ক্যালোরি প্রাকৃতিক চিনি থেকেই আসে। তবু ভয় কাটে না মানুষের। এদিক থেকে পুরোপুরি নিরাপদ নাশপাতি। এটা সর্বনিম্ন ক্যালোরির ফল। রসাল একটি নাশপাতি থেকে গড়ে ১০০ ক্যালোরি মিলতে পারে, এর বেশি নয়। স্বাস্থ্যকর খাবার থেকে যে পরিমাণ ক্যালোরি আপনার দেহে দরকার হয়, তার ৫ শতাংশ দিতে সক্ষম একটি নাশপাতি। পানিতে পূর্ণ হলেও একটা খেলে পেট ভরে গেছে বলে মনে হবে। কারণ এতে ফাইবারের অভাব নেই।
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কার্যক্রম : অন্যান্য ফলের মতো নাশপাতিও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। এই উপাদানের উপকারিতার কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। বিভিন্ন রোগের আক্রমণ ঠেকাতে দেহকে শক্তিশালী করে তোলে। দেহে ঘুরে বেড়ানো বিষাক্ত পদার্থগুলোকে বিতাড়নের দায়িত্ব নেয় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। কোষের সুষ্ঠু বিপাকক্রিয়াও নিশ্চিত করে। ভিটামিন ‘সি’, ‘এ’, বিটা ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জিয়া-জানথিনের সবই আছে নাশপাতিতে।
রোগ প্রতিরোধী : অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট আর ভিটামিন ‘সি’-এর কারসাজিতে কিন্তু দেহের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতা বেড়ে যায়। এরা রক্তের শ্বেতকণিকার সংখ্যা ও কার্যক্রম বাড়ায়। এমনিতেই ঠাণ্ডা-সর্দি, ফ্লু ছাড়াও সাধারণ কিছু রোগ নাশপাতিই সামলে নিতে পারে।
রক্তের জন্য : যাদের দেহে প্রয়োজনীয় খনিজের ঘাটতি রয়েছে তারা নাশপাতির শরণাপন্ন হতে পারেন। কপার ও আয়রনের জন্য এই ফল আপনার দেহের জন্য দারুণ উপকারী। কপারের উপস্থিতি আপনার দেহকে আরো সুষ্ঠুভাবে খনিজ শুষে নিতে সক্ষম করে তুলবে। আর আয়রন তো হিমোগ্লোবিনের অন্যতম অংশ। এই দুই খনিজের অভাবে রক্তস্বল্পতা, অবসাদ, পেশিতে দুর্বলতাসহ দেহের নানা কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখে।
জন্মগত ত্রুটি দূর করতে : নাশপাতির আরেকটি শক্তিশালী উপাদান হলো ফোলেট। শিশু জন্মের সময় তার স্নায়বিক অবস্থা সুষ্ঠু রাখার ক্ষেত্রে বেশ প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে ফলিক এসিড। গর্ভবতী নারীদের দেহে ফলিক এসিডের মাত্রা প্রায়ই পরীক্ষা করেন বিশেষজ্ঞরা। জন্মগত ত্রুটি থেকে শিশুকে বাঁচাতে তাই বেশি বেশি নাশপাতি খাওয়া দরকার।
হাড়ের স্বাস্থ্য : এর উচ্চমাত্রার খনিজের তালিকায় রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম আর কপার। এসব উপাদান হাড়ের খনিজ হারানো রোধ করে। হাড়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নেয়।
ত্বক, চুল ও চোখ : এক বহুমুখী কার্যগুণসম্পন্ন উপাদান হলো ভিটামিন ‘এ’, যা রয়েছে এই ফলে। সঙ্গে লুটেইন বা জিয়া-জানথিন একযোগে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের কাজ করে। পাশাপাশি এগুলো বিভিন্ন এনজাইমের প্রতিক্রিয়া ও প্রত্যঙ্গের কার্যক্রমকে প্রভাবিত করে। নাশপাতি চেহারায় বলিরেখা পড়া রোধ করে। চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে আর চোখের দৃষ্টিতেও শক্তি জোগায়।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন