নাসিরনগরে আবার হামলা কীভাবে: ফখরুল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া নাসিরনগরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যেও হিন্দুদের ওপর আবার হামলা সন্দেহজনক বলে মনে করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি এই ঘটনাকে ‘গণতন্ত্রের জন্য জনগণের লড়াইকে’ ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সরকারের সুনিপুণ পরিকল্পনা বলে আখ্যা দেন।
সন্ধ্যায় রাজধানীতে বিএনপির নারী শাখা জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের জেলা প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফখরুল এ কথা বলেন।
বর্তমান সরকার তার ক্ষমতা কুক্ষিগত করতেই ব্যস্ত মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে তাদের কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই। ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরের ঘটনাকে এর একটি উদাহরণ হিসেবে দেখান বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা।’ মালাউনরা বাড়াবাড়ি করছে- এমন বক্তব্য দেয়ায় প্রাণিসম্পদমন্ত্রী ছায়েদুল হকেরও সমালোচনা করেন ফখরুল।
গত রবিবার নাসিরনগরে হিন্দুদের ১৫টি মন্দিরের পাশাপাশি শতাধিক ঘরবাড়িতে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। এরপর ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর মধ্যেও শুক্রবার ভোরে ছয়টি বাড়িতে আগুনে দেয়া হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়াতে হিন্দু সম্পদায়ের ওপর হামলা হলো। তাদের কিছু মন্দির ধ্বংস করা হলো। এরপর উচিত ছিল তাদের নিরাপত্তার জন্য সমস্ত ব্যবস্থা নেয়া। কিন্তু সে ব্যবস্থা তা গ্রহণ করেনি, উল্টো পত্রিকায় দেখলাম একজন মন্ত্রী অত্যন্ত আপত্তিকর ভাষা ব্যবহার করেছেন সেখানে, তিনি বলতে চেয়েছেন, এটা তারাই করেছে।’
‘আবার গত রাতে পুলিশ পরিবেষ্টিত, র্যাব পরিবেষ্টিত অবস্থার মধ্যে আরও পাঁচটি বাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। মানুষ এতো বোকা না, খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারা যায় অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে আপনাদের প্ররোচনাতে, বাংলাদেশে এমন একটি অবস্থা আপনারা তৈরি করতে চাইছেন যে অবস্থার মধ্যে এখানে সাম্প্রদায়িক উস্কানি তৈরি হয়-বলেন ফখরুল।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, আমরা বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অতীতে রক্ষা করেছি, রক্ষা করতে চাই। আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করি। এখানে উদ্দেশ্যমূলকভাবে শুধুমাত্র জনগণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য কোনো ধরনের অপচেষ্টা জনগণ মেনে নেবে না।’
দলীয় নেতাকর্মীদেরকে উদ্দেশ্য করে ফখরুল বলেন, ‘আমাদেরকে সজাগ থাকতে হবে, সচেতন থাকতে হবে, রাজনীতি যেন কোনোভাবেই ভিন্নখাতে প্রবাহিত না হয়, সে দিকে আমাদের নজর রাখতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস প্রমুখ এই আলোচনায় বক্তব্য দেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন