নাড়ির টানে বাড়ির পানে সদরঘাটে

ঈদে নাড়ির টানে বাড়ির পানে ছুটছে মানুষ। ঢাকায় অবস্থানরত দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ যাচ্ছে নৌপথে। ঢাকা সদরঘাটে তাই এখন ঘরমুখো মানুষের উপচেপড়া ভিড়। শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ১০টার মধ্যে সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালে দেখা গেল ঘরমুখো মানুষের এই ভিড়।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল এলাকা তখন জনারণ্যে পরিণত। ঠাসাঠাসি অবস্থানে ধাক্কাধাক্কি করে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে মানুষ বাড়ি ফিরছে। ঢাকার বাইরে থাকা মানুষ হয়তোবা ভাবতেও পারবে না, কতোটা কষ্ট, অপেক্ষা আর প্রতীক্ষার পর তারা স্বজনের কাছে ফিরছে রাজধানী থেকে?
গতকাল সন্ধ্যা ৬টায় লঞ্চে উঠেছেন রাসেল নামে এক যুবক। গন্তব্য বরিশাল। সারা রাত লঞ্চে কাটিয়েছেন। তিনি তখনো জানেন না কখন লঞ্চ ছাড়বে।
রাসেল বলেন, ‘আমরা হলাম ব্যাঙ। আমাদের সঙ্গে তাই তারা খেলে। সেই সন্ধ্যা থেকে বসে লঞ্চে বসে আসি। রাত ১২টার পর থেকেই ছাড়বে ছাড়বে বলে এখন সকাল ৯টা বাজে লঞ্চ ছাড়ে না। আর বসে থাকতেও ভাল লাগছে না।
পুরো লঞ্চের ভেতরে মানুষে গিজগিজ করছে। নারী, পুরুষ ও শিশুদের যেন ভোগান্তর শেষ নেই। তারপরও নতুন করে মানুষ উঠানো হচ্ছে এই লঞ্চে।
কথা হয় আবুল হাসান নামে একজনের সঙ্গে। ক্ষুব্ধ তিনিও। তিনি গতরাত ৮টার দিকে লঞ্চে উঠেছেন। তিনিও জানেন না কখন লঞ্চ ছাড়বে। মিরপুরের একটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন তিনি।
তিনি জানান, প্রতিবছর ঈদ আসলেই এই ঝামেলায় পড়তে হয়। সদরঘাটে এসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকতে হয়। বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের নিয়ে এসে মানুষের ভোগান্তির শেষ নেই। কিন্তু তার এই বেদনার কথা শোনার মতোও কেউ নেই।
সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েই চলেছে মানুষের উপস্থিতি। যেন সদরঘাটে সারা ঢাকা থেকে মানুষের ঢল নেমেছে। পটুয়াখালীগামী লঞ্চে উঠেছেন সুরাইয়া আক্তার। তিনি মিরপুরের একটি ফ্যাক্টরিতে কাজ করেন। তিনি সকাল ৬টার দিকে বাসা থেকে রওয়ানা দিয়ে সাড়ে ৭টার দিকে লঞ্চে উঠেছেন। এই লঞ্চটিতে যাত্রীদের তেমন চাপ নেই। হয়তোবা মুহুর্তেই সে পরিবেশটি আর থাকবে না।
কথা হয় এই লঞ্চের সুরাইয়ার সঙ্গে। কখন লঞ্চ ছাড়বে জিজ্ঞেস করতেই তিনি বলেন, ‘তা জানি না। বাসা থেকে খাবার নিয়ে আসছি। জানতাম এমন হবে। আল্লাই বাড়ি নিলে যাব’, বলেই হাসলেন তিনি।
এরই মধ্যে ভোলাগামী একটি লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছে ঘাট থেকে। হই হুল্লোড় আর চিৎকার শুরু হলো চারদিকে। লঞ্চের ছাদে থাকা একদল তরুণ জোরে জোরে চিল্লাচ্ছেন। হাত নাড়ছেন। শত ভোগান্তির মধ্যেই সবগুলো তরুণের মুখেই ছিল আনন্দের ঝিলিক।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

ব্যাংকক থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা
ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ শেষে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদবিস্তারিত পড়ুন

বিশ্বকবির ম্যুরাল থেকে কালি মুছে দিল উপজেলা প্রশাসন
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ম্যুরালে কালি দিয়ে মুখবিস্তারিত পড়ুন

ফখরুল: ইউনূস–মোদির বৈঠক আশার আলো দেখাচ্ছে
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ভারতের প্রধানমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন