নিউ ইয়র্কে বাংলাদেশি গৃহবধূর নিখোঁজ রহস্যে তৎপর পুলিশ
নিউ ইয়র্কে তিন মাস ধরে এক বাংলাদেশি গৃহবধূর নিখোঁজ রহস্য উদঘাটনে মরিয়া হয়ে উঠেছে পুলিশ। ত্রিশ বছর বয়সী মাহফুজা রহমান স্থানীয় বেলভিউ হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ৮ ডিসেম্বর থেকে তিনি নিখোঁজ রয়েছেন।
মাহফুজার স্বামী মোহাম্মদ চৌধুরী প্রতিবেশীদের জানান, মাহফুজা দেশে তার অসুস্থ বাবা-মাকে দেখতে গেছেন। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে তিনি নিউ ইয়র্কে ফিরবেন। দীর্ঘ তিন মাস পরও মাহফুজা কর্মস্থলে ফেরেননি। ই-মেইল বা ফোনেও কর্মস্থলে যোগাযোগ করেননি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বাসায় ক্রমাগত ফোন করলেও কেউ ফোন ধরেননি। বিষয়টি কর্মস্থল থেকে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। মাহফুজার বাবা-মা পুলিশকে জানিয়েছেন, মাহফুজার সঙ্গে তাদের কথা হয়নি ডিসেম্বরের পর থেকে। বর্তমানে নিউ ইয়র্ক পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
স্ত্রী নিখোঁজ অবস্থায় ১৬ ডিসেম্বর মেয়ে জইরিয়াকে সঙ্গে নিয়ে দেশে ফিরে এসেছেন মাহফুজার স্বামী মোহাম্মদ চৌধুরী ওরফে মেজবাউল হক খান। মেয়েকে দেশে রেখে শিগগিরই মাহফুজাকে খুঁজতে তিনি নিউ ইয়র্কে ফিরে যাবেন- মাহফুজার পরিবারকে এমন কথা জানালেও এখনো তিনি দেশেই রয়ে গেছেন।
গত সোমবার ব্রঙ্কসে মাহফুজার বাসায় গিয়ে তল্লাশি চালায় পুলিশ। প্রতিবেশীরা জানান, তিন মাস ধরে বাসাটি তালাবদ্ধ। পুলিশ ঘর তল্লাশি করেছে, বাড়ির আঙিনা খোঁড়াখুঁড়ি করেছে। আশপাশে অন্য কোনো বাংলাদেশি না থাকায় কেউ এ দম্পতি সম্পর্কে তেমন তথ্য দিতে পারেনি। নিউ ইয়র্ক পুলিশ ওই বাসায় সার্বক্ষণিক পাহারা বসিয়েছে। নিউ ইয়র্ক বা বাংলাদেশে মাহফুজা দম্পতির আত্মীয়স্বজনের সন্ধান করা হচ্ছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
মাহফুজার পরিবার জানিয়েছে, নিউ ইয়র্কে মোহাম্মদ চৌধুরী হিসেবে পরিচয় দিলেও মাহফুজার স্বামীর আসল নাম মেজবাউল হক খান। মাহফুজা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে স্নাতক প্রথম বর্ষে পড়ার সময় ২০০৫ সালে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয় মেজবাউলের। ২০০৯ সালে মাহফুজা তাঁর মেয়েকে নিয়ে আমেরিকায় স্বামীর কাছে চলে যান। সেখানে চার বছর নার্সিংয়ের ওপর পড়াশোনা করে নিউ ইয়র্কের বেলভিউ হাসপাতালে নার্স হিসেবে চাকরি শুরু করেন তিনি। মেজবাউলের বাড়ি কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার জগৎপুর গ্রামে। আর মাহফুজার বাড়ি মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার চাষিড়ী গ্রামে।
মাহফুজার বাবা মকবুল হোসেন বলেন, মাহফুজা নিখোঁজ হওয়ার তিন দিন পর মেজবাউল তাঁদের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। মেজবাউল বলেছেন, কাজ করতে গিয়ে মাহফুজা আর ফেরেননি। এরপর মেয়েকে একা রেখে মাহফুজার খোঁজে কোথাও যেতে পারেন না- এমন দাবি করে দেশে ফিরে আসেন মেজবাউল। শিগগিরই আবারও নিউ ইয়র্কে ফিরে গিয়ে মাহফুজাকে খুঁজে বের করবেন বলে কথা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দুই মাসের বেশি সময় পার হলেও তিনি এখনো দেশেই রয়ে গেছেন।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সন্দেহভাজন বা বন্দি বিনিময়ের চুক্তি যাচাই করছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা। পুলিশে বলেছে, তারা মোহাম্মদ চৌধুরীর সঙ্গে কথা বলতে তাদের কর্মকর্তাদের পাঠাতে পারে বাংলাদেশে। তার সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করেছে পুলিশ। কিন্তু তিনি ফোন ধরেন না বলে দাবি পুলিশের।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
যে কারনে যুক্তরাজ্য বিএনপির সম্মেলন স্থগিত
বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশক্রমে মাত্র এক সপ্তাহের নোটিশে যুক্তরাজ্য বিএনপিরবিস্তারিত পড়ুন
ইউরোপ থেকে অবৈধ বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনতে বাড়ছে চাপ !
ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যভুক্ত বিভিন্ন দেশে অবৈধভাবে থাকা বাংলাদেশিদের ফিরিয়েবিস্তারিত পড়ুন
বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার শ্রমিক নেবে সৌদি আরব
চলতি বছরের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন পেশার প্রায় ৩ হাজারবিস্তারিত পড়ুন