নিজামীর পর নতুন আমির বেছে নিল জামায়াত
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত হয়েছেন মকবুল আহমাদ। সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সামনে তিনি শপথ গ্রহণ করেন। তাকে শপথবাক্য পাঠ করান জামায়াতে ইসলামীর প্রধান নির্বাচন কমিশনার এটিএম মাসুম। দলের রুকনরা গোপন ভোটের মাধ্যমে ২০১৭-২০১৮-২০১৯ কার্যকালের জন্য তাকে আমির নির্বাচিত করেন। সোমবার সন্ধ্যায় দলের পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
দলের আমির নির্বাচিত হওয়ার পর মকবুল আহমাদ দেয়া এক চিঠিতে দলীয় নেতাকর্মীসহ দেশবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে দলটির শীর্ষ নেতারা কারাগারে যাওয়ার পর ছয় বছরের বেশি সময় ধরে তিনি দলের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। ২০১০ সাল থেকে কারাগারে ছিলেন আমির মতিউর রহমান নিজামী। চলতি বছরের ১১ মে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ার পর থেকেই শোনা যাচ্ছিল মকবুল আহমাদই হচ্ছেন জামায়াতের পরবর্তী আমির।
ফেনী জেলা থেকে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে আসা মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা নেই। স্বাধীনতার পর মকবুল আহমদই প্রথম আমির যার বিরুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীকে সহযোগিতার সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ওঠেনি। ২০১১ সালের সেপ্টেম্বর থেকেই আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। তার বয়স ৭৩।
স্বাধীনতার পর নিষিদ্ধ হয় মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা জামায়াত। এ সময় মাওলানা আবদুর রহিম দলের ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭৫ সালে রক্তাক্ত পথে ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে জামায়াতকে প্রকাশ্যে রাজনীতির সুযোগ দেন। ১৯৭৮ সালে দলের আমির গোলাম আযম দেশে ফেরেন। বাংলাদেশের নাগরিকত্ব না থাকায় প্রকাশ্যে আমিরের দায়িত্ব নিতে পারেননি গোলাম আযম। তবে তিনিই ছিলেন মূল নেতা। এ সময় ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করেন আব্বাস আলী খান। ১৯৯৪ সালে নাগরিকত্ব পাওয়ার পর গোলাম আযম আনুষ্ঠানিকভাবে আমির হন। ২০০০ সালে তিনি রাজনীতি থেকে অবসর নিলে আমির নির্বাচিত হন মতিউর রহমান নিজামী। ২০০৩, ২০০৬ ও ২০০৯ সালের রুকন সম্মেলনে তিনি আমির নির্বাচিত হন।
যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১০ সাল থেকেই কোণঠাসা অবস্থায় রয়েছে জামায়াত। বিচার বন্ধের দাবিতে রাজপথে সহিংসতার অভিযোগ, দলটির কেন্দ্র থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতারা আসামি হয়েছেন। অধিকাংশ নেতা কারাগারে নয়তো আত্মগোপনে। ফলে নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধন হারিয়ে নির্বাচনে অযোগ্য পড়েছেন তারা। নিজামী, মুজাহিদ ছাড়াও সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মুহাম্মদ কামারুজ্জামান, আবদুল কাদের মোল্লা, নির্বাহী পরিষদের সদস্য মীর কাসেম আলী মৃত্যুদণ্ড ইতোমধ্যে কার্যকর হয়েছে। নায়েবে আমির আবদুস সুবহান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিচারিক কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে। দলের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী ভোগ করছেন আমৃত্যু কারাদণ্ড।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন