নিজেই নিজের অভিনয়ের শিক্ষক জয়া
জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান পেশাগত কারণে বেশিরভাগ সময় থাকছেন ওপার বাংলায়। সেখানে কলকাতার মধ্যবিত্ত এক ফ্ল্যাটে একাই থাকেন অভিনেত্রী। পছন্দ-অপছন্দ কথা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিতে দ্বিধাবোধ করেন না তিনি। বন্ধু, ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, এমনকী উগ্র জাতীয়তাবাদ বিষয়েও তাঁর স্পষ্ট মতামত আছে।
জয়া বলেন, সুটিংয়ের সময় ভ্যানিটি ভ্যানে রং মেখে বসে থাকতে তিনি পছন্দ করেন না। তিনি জীবন দেখতে ভালবাসেন। তাই শট না-থাকলেও তিনি কলকাতার ফুটপাথে দাঁড়িয়ে থাকেন।
ব্রিজের নিচের বস্তির দিকে তাকিয়ে থাকেন। ঝুপড়িবাসীদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁর ইচ্ছে করে। বুঝতে ইচ্ছে করে তাঁদের যাপনকথা, বাচনভঙ্গি, দৈনন্দিন সমস্যা।
জয়ার মতে, অভিনেতা যদি মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যান, তা হলে সেখানেই তাঁর অভিনয়-জীবন থমকে যায়। কিছু আরোপিত ‘ম্যানারিজম’ থেকে যায় কেবল।
তাঁর মতে, অভিনয় উঠে আসে সমাজ থেকে। যে মুহূর্তে গাড়ির ‘টিন্টেড গ্লাস’ সমাজের সঙ্গে অভিনেতার ব্যবধান তৈরি করে দেয়, অভিনেতার মৃত্যুর শুরু হয় সেখান থেকে। গাড়ির নিরাপদ ঠান্ডায় বসে অভিনেতা আর তখন বাইরের তাপমাত্রা টের পান না।
জয়া বেরিয়ে পড়েন। কলকাতা তাঁর খুব ভাল চেনা নয়। তাই এখানে খুব একটা ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ পান না। কিন্তু ঢাকার রাস্তায় যখন-তখন বেরিয়ে পড়ার অভ্যাস তাঁর আছে। রিকশা-অটোরিকশায় হরদম চড়েন। ঘুরে বেড়ান শহর।
সাধারণ পোশাক আর মেক-আপহীন চেহারায় অভিনেত্রীকে কেউ চিনতেও পারেন না। পাঁচজনের সঙ্গে মিশে যান জয়া। ওটাই তাঁর অভিনয়ের ওয়ার্কশপ। তালিম নেওয়া গাইয়ে, দক্ষ চিত্রকর কখনও অভিনয় শেখেননি। নিজেই নিজের অভিনয়ের শিক্ষক হয়ে উঠেছেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
সমুদ্র পাড়ে দুর্গারূপে নওশাবা
শুধু ঈদ কিংবা পূজা নয়, বিশেষ ধর্মীয় দিন উপলক্ষে ফটোশুটেবিস্তারিত পড়ুন
শুল্কমুক্ত গাড়ি খালাস করেছেন সাকিব-ফেরদৌস, পারেননি সুমনসহ অনেকে
আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের জন্য আমদানি করাবিস্তারিত পড়ুন
আলোচিত নায়িকা পরীমনির পরিবার সম্পর্কে এই তথ্যগুলো জানতেন?
গভীর রাতে সাভারের বোট ক্লাবে গিয়ে যৌন হেনস্তা ও মারধরেরবিস্তারিত পড়ুন