নিজ ঘরে আগুনে দুই শিশুসহ পাঁচ জনের মৃত্যু
আগুনের একটি ঘটনায় পাঁচ সদস্যের পরিবারের সবাই মারা গেছেন। এরা হলেন গৃহকর্তা, তার স্ত্রী দুই সন্তান এবং শ্যালিকা। এটি নাশকতা কি না সেটি খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
মঙ্গলবার ভোর পাঁচটার দিকে পীরগঞ্জ উপজেলার জনগাঁও গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
প্রাণ হারানো পাঁচ জন হলেন পুলিশের ট্রাফিক কনস্টেবল খরেশ চন্দ্র, তার স্ত্রী কেয়া রানী, ১০ বছর বয়সী ছেলে নির্ণয় ১৫ বছর বয়সী মেয়ে নাইস এবং ২০ বছরের শ্যালিকা স্বর্ণা রানী। এদের দুই জন ঘটনাস্থলে এবং তিন জন হাসপাতালে মারা যান।
খরেশ চন্দ্র দিনাজপুর ট্রাফিক লাইনে চাকরিরত ছিলেন। পূজা উপলক্ষে তিনি বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ভোর পাঁচটার দিকে সবাই যখন ঘুমিয়ে তখন হঠাৎ আগুন লাগে। মুহূর্তেই তা ছড়িয়ে পড়ে পাঁচটি ঘরে। এ সময় কেউ ঘর থেকে বের হতে পারেননি।
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। ঘটনাস্থলেই মারা যান কেয়া রানী ও তার বোন স্বর্ণা রানী। আর বাকি তিন জনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে বাহিনীটি।
তাদেরকে ঠাকুরগাঁও হাসপাতালে ভর্তি করা হলে পরে সেখান থেকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। পরে একে একে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন খরেশ চন্দ্র ও তার দুই সন্তান।
ঠাঁকুরগাওয়ের পুলিশ সুপার ফরহাত আহম্মদ বলেন, এমন মৃত্যু দুঃখজনক। এটি নিছক দুর্ঘটনা না কি বাইরে থেকে কেউ আগুন দিয়েছে, সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
অবশ্য পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিরুজ্জামান জানিয়েছেন, ৪৪০ ভোল্টের বিদ্যুতের তার ছিড়ে খরেশের বাড়িতে পড়ে আগুন ধরে। এ সময় ঘরের ভেতরে থাকা একটি মোটরসাইকেল বিস্ফোরিত হয়। এরপর আগুন ধরে যায়। এরপর স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ার পর ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয় তারা।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ডিএমপি: ৫ আগস্ট পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. সারোয়ার জাহানবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
নারায়নগঞ্জে কোটা আন্দোলনকারীর উপর আক্রমন
নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ এলাকায় কোটা আন্দোলনকারী সংগঠকবিস্তারিত পড়ুন