নিদ্রাহীনতা কী, কাদের হয়?
প্রশ্ন : নিদ্রাহীনতা বলতে আসলে কী বোঝায়?
উত্তর : আমরা সারা দিন কাজ করি, কাজ করে ক্লান্ত হয়ে যাই এবং দিন শেষে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। এই ঘুমিয়ে পড়া স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার একটি অংশ। আবার পরের দিন আমরা কাজ করি। পরের দিন কাজ করার জন্য বা শক্তি সঞ্চয় করার জন্য উদ্যম আমরা পাই, ঘুমের মাধ্যমে। মস্তিষ্ক তো নিয়মিত কাজ করতে থাকে, নিদ্রার সময় সে বিশ্রাম পেয়ে থাকে। কোনো কোনো ব্যক্তির এমন হয়, সারা দিন পরিশ্রম করেন, তবে দিন শেষে ঘুমাতে পারেন না। তখন তাঁদের মধ্যে এক ধরনের বিপর্যয় তৈরি হয়। নিদ্রাহীনতার জন্য অস্থিরতা তৈরি হতে পারে। রাগ নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা কমে যায়।
ঘুমের সমস্যা কয়েক ধরনের হয়ে থাকে। একটি হতে পারে ইনসমনিয়া, আরেকটি হতে পারে হাইপারসমনিয়া বা অতিরিক্ত ঘুম ঘুম ভাব। দিনের বেলা খুব ঘুম ঘুম ভাব থাকে।
আরেকটি সমস্যা আপনি দেখবেন, বাংলাদেশের কোনো একটি ব্যক্তি, সে যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপে গেল, যাদের সঙ্গে আমাদের সময়ের একটি অন্যতম তারতম্য আছে। ওই সব দেশে বেড়াতে গেলেন বা কোনো কাজেও যদি যান, তখন দেখা গেল, আমাদের দেশে যে একটি দিন-রাতের নিয়ম, এটার পরিবর্তনের জন্য তাদের ঘুমে সমস্যা হয়।
আর আরেকটি হয় যে বিভিন্ন শারীরিক রোগের কারণে, নিদ্রাহীনতা হতে পারে।
প্রশ্ন : ইনসমনিয়া কীভাবে হচ্ছে?
উত্তর : আমরা যখন বিছানায় শুয়ে যাই, এর প্রায় মিনিট ২০ পড়ে আমরা ঘুমিয়ে পড়ি। এটা বোঝার জন্য ইলেকট্রোইনসেফেলোগ্রাম নামের একটি পরীক্ষা আমরা অনেক সময় করে থাকি। নিদ্রাজনিত বিভিন্ন ধরনের মানসিক রোগ হতে পারে। যেমন : প্যারাসমনিয়া বা ঘুমের মধ্যে হেঁটে বেড়ানো। খিঁচুনি রোগের জন্য অনেক সময় সমস্যা হয়। ঘুমিয়ে পড়ার ২০ মিনিটের মধ্যে মস্তিষ্কে এক ধরনের তরঙ্গ দেখা যায়। এটা আমরা সাধারণত ঘুমের সময় পেয়ে থাকি। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায় ২০ মিনিটে ঘুম আসে না। এর পরিবর্তে এক ঘণ্টা, দুই ঘণ্টা, তিন ঘণ্টা পর ঘুম আসে। কারো কারো দেখা যায় দিনের বেলা খুব ভোরে ঘুম ভেঙে যায়। উনি চাইলেও আর ঘুমাতে পারেন না। কারো কারো হয় যে রাতের ঘুম না হয়ে দিনের বেলা উনি ঘুমাতে থাকেন।
এ ছাড়া যারা মাদকাসক্ত, তারা সারা রাত জেগে থাকে। এর পর দিনের বেলা তারা ঘুমায়। এখন নিদ্রাহীনতার যে প্রভাবগুলো হয়, যদি সারা রাত না ঘুম হয়, দিনের বেলা ওনার যে কাজটি সেটিতে উপস্থিত থাকতে পারছেন না। যদি উনি উপস্থিত থাকেন, ওনার যে কর্মদক্ষতা, সেটার পর্যাপ্ত ব্যবহার উনি করতে পারছেন না। অযাচিতভাবে অন্যদের সঙ্গে মাঝেমধ্যে খিটখিটে মেজাজে জড়িয়ে যাচ্ছেন, রাগারাগি করছেন, অফিসের কাজকর্ম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর প্রভাব অনেক জায়গায় পড়ছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
মানবদেহে আদার অনেক উপকার
আমাদের দিনে কয়েকবার রঙিন খাবার খাওয়া উচিত, কিন্তু আপনি কিবিস্তারিত পড়ুন
হোটেল ঘরে বিছানার চাদর সাদা হয় কেন ?
বেড়াতে গিয়ে হোটেলের ঘরে ঢুকে প্রথম যে বিষয়টি নজরে আসে,বিস্তারিত পড়ুন
ধনিয়া পাতার উপকারি গুণ
চিকিৎসকদের মতে, ধনে বা ধনিয়া একটি ভেষজ উদ্ভিদ যার অনেকবিস্তারিত পড়ুন