বুধবার, অক্টোবর ২৩, ২০২৪

আমাদের কণ্ঠস্বর

প্রধান ম্যেনু

ন্যাশনাল ক্রাইম নিউজ পোর্টাল

নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশের শিয়া সম্প্রদায়

বাংলাদেশে ঢাকায় তাজিয়া মিছিলে হামলার অল্প সময়ের ব্যবধানে বগুড়ায় মসজিদে হামলার ঘটনা শিয়াদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করেছে। তারা বলেছেন, তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এদিকে, বগুড়া জেলায় শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে হামলায় মসজিদটির মুয়াজ্জিন নিহত হওয়ার ঘটনার পর থেকে বগুড়ার ঐ এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

সর্বশেষ বগুড়ায় হামলার ঘটনার প্রেক্ষাপটে শুক্রবার জুম্মার নামাজের সময় ঢাকায় শিয়াদের মসজিদ এবং ইমামবাড়াগুলোতে পুলিশের অতিরিক্ত নিরাপত্তা নেয়া হয়। ঢাকার পুরোনো অংশের হোসেইনী দালান ইমামবাড়ায় গিয়ে দেখা যায়, কড়া নিরাপত্তায় শিয়ারা নামাজ পড়ছেন।

সেখানে নামাজ পড়তে আসা একজন ব্যবসায়ী আনিসুল ইসলাম বলছিলেন, শিয়াদের মধ্যে আতংক সৃষ্টির জন্য এ ধরণের হামলা করা হচ্ছে বলে তিনি মনে করেন। তিনি আরও বলেন, এখন তাদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে এক ধরনের শংকা কাজ করছে।

আটান্ন বছর বয়স্ক মিজানুর রহমান আক্ষেপের সুরে বললেন, “চারশ বছর ধরে আমরা শিয়ারা এখানে সুন্নীদের সাথে সম্প্রীতির সাথে বাস করছি।আমরা আশা করিনি, বাংলাদেশে আমাদের ওপর হামলা হবে।” হামলার ঘটনা দু’টি সাধারণ শিয়াদের মধ্যে আতংক তৈরি করেছে। কিন্তু ধর্মীয় কারণে ঘটনাগুলো ঘটছে, এটা তারা বিশ্বাস করতে চান না।

শিয়াদের অন্যতম একজন নেতা এম এম ফিরোজ হোসাইন বলেছেন, বাংলাদেশে শিয়া এবং সুন্নীদের একসঙ্গে বসবাসের কয়েকশত বছরের যে ঐতিহ্য রয়েছে, সেখানে হামলার ঘটনাগুলো কোন বিভেদ সৃষ্টি করবে না বলে তারা মনে করেন।

আমি মনে করি, বিচ্ছিন্ন এই ঘটনাগুলো আমাদের মনোবল ভাঙ্গতে পারবে না। যারা এগুলো করছে, দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য।”মি: হোসাইন জানিয়েছেন, বাংলাদেশে দশ লাখের মতো শিয়া সম্প্রদায়ের মানুষ রয়েছে। তারা ঢাকা, বগুড়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, যশোর, নড়াইলসহ বিভিন্ন জেলায় সুন্নীদের সাথে একসঙ্গে বসবাস করছে।

বলা হয়ে থাকে,বাংলাদেশে মুসলিমদের মধ্যে ৯৫শতাংশই সুন্নী। তাদের মধ্যেও প্রতিক্রিয়া হয়েছে শিয়াদের ওপর হামলার ঘটনায়। ঢাকার কাঁঠালবাগান এলাকায় একটি মসজিদের ইমাম মাওলানা ফরিদ আহমদ বলেছেন, ঘটনাগুলো সকলকেই উদ্বেগের মধ্যে ফেলেছে। কারণ এমন হামলার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। ঢাকার রাস্তায় কথা হচ্ছিল বিভিন্ন পেশার কয়েকজনের সাথে।তাদের সকলেই সুন্নী। তারা ঘটনাগুলোকে সন্ত্রাসী হামলা হিসেবে দেখছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন জামিল আহমেদ, তিনি বলছিলেন, “বাংলাদেশে মুসলিমদের মধ্যে কোন বিরোধ নেই।জাতিগত কোন বিরোধ বা বিভেদ এখানে নেই।ফলে এগুলো সন্ত্রাসী হামলা ছাড়া আর কিছু নয়।”

ব্যবসায়ী আনোয়ারুল ইসলাম বলছিলেন, “শিয়া এবং আমরা সুন্নীরা সকলেই মুসলিম।যারা মসজিদে হামলা করছে, তারা কোরআন বা হাদিস পড়েনি বলে আমি মনে করি।”
এদিকে, বগুড়ার শিবগঞ্জে শিয়া মসজিদে হামলার ঘটনার পর থেকে ঐ এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, শিয়াদের সকল ইমামবাড়ায় এবং মসজিদে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

সূত্র: বিবিসি বাংলা

এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

১ লাখ ৪০ হাজার ছাড়াল স্বর্ণের ভরি

দেশের বাজারে ফের স্বর্ণের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্সবিস্তারিত পড়ুন

জাতিসংঘ: বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশে চরমবিস্তারিত পড়ুন

টাঙ্গাইলে বাসার সামনে থেকে পুলিশ সুপারের মোবাইল ফোন ছিনতাই

টাঙ্গাইলে বাসার সামনে থেকে ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের কমান্ড্যান্ট পুলিশ সুপারবিস্তারিত পড়ুন

  • আসিফ নজরুল: সাকিবের প্রতি মানুষের ক্ষোভ অযৌক্তিক নয়
  • খুলনায় মসজিদে দানের ছাগল নিয়ে সংঘর্ষ, মুসল্লির মৃত্যু
  • নওগাঁয় কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় সমন্বয়ক ও শিক্ষার্থী আহত, আটক ৩
  • প্রবারণা পূর্ণিমার বর্ণিল উৎসব বান্দরবানে
  • দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ চান তারেক
  • মতিয়া চৌধুরী মারা গেছেন
  • হাইকোর্টে ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত
  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আঁকা গ্রাফিতি হেঁটে দেখলেন ড. ইউনূস
  • মাধ্যমিকে ফের চালু হচ্ছে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ
  • তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরিয়ে আনতে মির্জা ফখরুলের রিভিউ আবেদন
  • শিক্ষা ভবনের সামনে সড়কে শুয়ে শিক্ষকদের অবরোধ
  • ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৩ জনের মৃত্যু