নিরাপত্তা ইস্যু : যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ
‘নিরাপত্তা ইস্যুতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ। উভয়ে একত্রে জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলা করবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সচিবালয়ে সোমবার বিকেলে বাংলাদেশে সফররত যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি সেক্রেটারি উইলিয়াম টডের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন।
তিনি বলেন, ক্রমর্ধমান জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় তাদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। তারা নিরাপত্তা ইস্যুতে সার্বিক সহযোগিতা করতে চান। যে কোনো জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড আগাম প্রতিরোধে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে সহযোগিতা করবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, বিশ্বব্যাপী সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটছে। তারাও মাঝেমধ্যে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসী হামলার শিকার হচ্ছেন। তবে হামলার আগে যাতে তা শনাক্ত করা যায়, সেই জন্য তারা সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘বৈঠকে আমরাও বলেছি, প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করতে। নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করতে চায়। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর কোনো তথ্য থাকলে আমাদের দিন, যাতে আগেভাগেই আমরা সতর্ক হতে পারি এবং ঘটনার আগেই ব্যবস্থা নিতে পারি।’
আইএস কিংবা আন্তর্জাতিক কোনো জঙ্গি সংগঠন কিংবা তাদের কোনো সদস্য বাংলাদেশে নেই এবং আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের সঙ্গে দেশি জঙ্গিদের সম্পর্ক নেই বলেও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মন্ত্রীকে জানিয়েছেন স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
তিনি বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে চায়। জঙ্গি ও সন্ত্রাস মোকাবেলায় তারা তাদের প্রযুক্তিগতভাবে অভিজ্ঞদের নিয়ে এসেছেন। তারা সার্বিক সহযোগিতা দিতে চায় বাংলাদেশকে।
‘আমরা বলেছি- সারা বিশ্ব আজ কাউন্টার টেরোরিজমে আক্রান্ত। বাংলাদেশেও বিচ্ছিন্নভাবে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। আর এসব ঘটনা ঘটাচ্ছে দেশি সন্ত্রাসীরা।’
বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাদের জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। এখানে ধর্মের বিষয়ে কাউকে প্রাধান্য দেওয়া হয় না। সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সমান স্বাধীনতা ভোগ করেন। আমাদের বক্তব্যে তারা সন্তুষ্ট
‘দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে দেশি ও বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে।’
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বৈঠকে দূতাবাসের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, দূতাবাসগুলোতে আগের চেয়ে বাড়তি নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। যে কোনো অঘটন মোকাবেলায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।
‘আমরা কূটনৈতিক পাড়ায় নিরাপত্তা জোরদার করেছি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করেছি। সাদা পোশাকের পুলিশ, গোয়েন্দা নজরদারি ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। প্রবেশপথে এবং গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপেস্ট বসানো হয়েছে।’
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রিন্সিপাল ডেপুটি সেক্রেটারি উইলিয়াম টডের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। তারা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনের বিষয় নিয়ে বৈঠক করেন। এ সময় মার্কিন টিমে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা ব্লুম বার্নিকাট এবং বাংলাদেশের পক্ষে স্বরাষ্ট্র সচিব ড. মোজাম্মেল হক খান, আইজিপি শহীদুল হক, কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল হকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, জঙ্গি-সন্ত্রাস দমনে যুক্তরাষ্ট্র প্রযুক্তিগত সবধরণের সহযোগিতা দেবে। দেশের আইনশৃঙ্খলাবাহিনী, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও নাগরিকদের সম্মিলিতভাবে জঙ্গি ও সন্ত্রাস প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন