নিরাপত্তা নিয়ে সংসদ সদস্যদের শঙ্কা
নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে জাতীয় সংসদে শঙ্কা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক সংসদ সদস্য।
তারা বলেন, ‘সচিব-ডিসিরা গানম্যান পেলে এমপিরা কেন পাবে না। আমরা সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট পাস করেছি। রাষ্ট্র ২৫০ সংসদ সদস্যের গানম্যান দিতে পারে না বিষয়টি খুবই দৃষ্টিকটু।’
বুধবার জাতীয় সংসদে পয়েন্ট অব অর্ডারে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম মেম্বার কাজী ফিরোজ রশিদ ও জাসদের মঈনুদ্দিন খান বাদল এমপিদের নিরাপত্তা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ‘আমরা জানি মন্ত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গানম্যান ও বাসায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়। রাস্তায় আলাদা নিরাপত্তা দিয়ে পুলিশের গাড়ি দেওয়া হয়। এমনকি স্থায়ী কমিটির সভাপতির গানম্যান দেওয়া হয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিয়ত জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। আমাদের প্রতিনিয়ত সভা ও সালিশে বসতে হয়। কিন্তু নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা নেই। আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। যারা সন্ত্রাসী বা আক্রমণকারী, তারা দেখবে কোন আক্রমণটা সহজে করা যায়। সারা দেশকে নিরাপত্তা দেওয়া না গেলেও আমাদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব আপনাদের।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত হুমকি পাই। কিন্তু গায়ে মাখি না। এখন এমন অবস্থা দাড়িঁয়েছে, পুলিশ থেকে সবাইকে নিরাপত্তার ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়টি বলেছেন। বড় বড় ব্যবসায়ী ও চাকরীজীবীদের নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে। তাহলে সংসদ সদস্যের নিরাপত্তার বিষয়ে কী হবে। এ বিষয়ে আপনার হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
অন্যদিকে পয়েন্ট অব অর্ডারে মইনুদ্দিন খান বাদল বলেন, ‘সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা বিষয়টি অন্যভাবে দেখি। এ বিষয়টির সঙ্গে কোনো কোনোভাবে ওয়ারেন্ট অব প্রেসিডেন্সি যুক্ত হয়ে যায়। আমি বার বার বলেছি সংসদ সদস্যদের দাপ্তরিক অবস্থা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, সেখানে সমস্যা সৃষ্টি হবে। জনপ্রতিনিধির উপরে কোনো সরকারি কর্মকর্তা থাকতে পারে না। ডিসি ও এসপিদের গানম্যান রয়েছে। সেক্রেটারিদেরও গানম্যান রয়েছে। এমনকি ইদানিংকালে পয়সাওয়ালাদেরও গানম্যান দেওয়া হচ্ছে।’
স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামানের কথা উল্লেখ করে বাদল বলেন, মন্ত্রীদের নিরাপত্তার হুমকির কথা তিনি বলেছেন। কিন্তু ২০০ থেকে ২৫০ এমপি (মন্ত্রী এবং স্থায়ী কমিটির সভাপতি বাদে) রয়েছে, তাদের কোনো নিরাপত্তা নেই। সফট টার্গেট চয়েজ করতে পারে। এমপিদের নিরাপত্তা কোথায়। এসপিদের বলা হয়েছে, এমপিরা যদি নিরাপত্তা চায়, তাহলে দিতে। কিন্তু এমপিরা যখন অন্য এলাকায় যাবে, তাহলে নিরাপত্তা কে দেবে?
তিনি বলেন, ‘যে পার্লামেন্টকে সব কিছুর কেন্দ্র বিবেচনা করছেন, সেই পর্লামেন্টের চেয়ারগুলোতে যারা বসে থাকে, তাদের নিরাপত্তা দিতে হবে। তাই এটুকু বলতে চাই এমন কোনো ঘটনা না ঘটে- শুধু জানাজা পড়তে হবে ও দুঃখ প্রকাশ করতে হবে। রাষ্ট্র যদি ২৫০ সংসদ সদস্যের গানম্যান দিতে না পারে, তা খুবই দৃষ্টিকটু। আমরা সাড়ে তিন লাখ কোটি টাকার বাজেট পাস করেছি। এটা আপনার বিবেচনার জন্য আবারো পরিষ্কারভাবে তুললাম। চারদিকে বিপদের বিচরণ। অপমানজনকভাবে মরতে চাই না।’
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
তারেক রহমান: ভোটের অধিকার নিশ্চিত না হলে বাজার সিন্ডিকেট মুক্ত করা অসম্ভব
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদমুক্ত পরিবেশেওবিস্তারিত পড়ুন
জামায়াত সেক্রেটারি: দেশে আরেকটি বিপ্লব হবে, সেটি হবে ইসলামি বিপ্লব
জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, “৫ আগস্টেরবিস্তারিত পড়ুন
ফখরুল: বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না
বাংলাদেশে এখন গণতন্ত্র ছাড়া অন্য কিছু চলবে না বলে মন্তব্যবিস্তারিত পড়ুন