‘নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকেও অবদান রাখতে হবে’
মহা-পুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি) একেএম শহীদুল হক মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকেও অবদান রাখার আহবান জানিয়েছেন।
তিনি আজ মঙ্গলবার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের লালবাগ বিভাগের উদ্যোগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সিসি ক্যামেরার আওতায় নিরাপত্তা কার্যক্রম’র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
ডিজিটাল যুগে সিসি ক্যামেরার কোন বিকল্প নেই উল্লেখ করে একেএম শহীদুল হক বলেন,‘সিসিটিভি এখন আর বিলাসিতা নয়,এটি এখন নিরাপত্তার প্রতীক।
পুলিশ প্রধান বলেন,‘সিসি ক্যামেরায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধারণকৃত চিত্র অপরাধীকে সহজেই সনাক্ত করা সম্ভব’। এ প্রসঙ্গে তিনি রাজধানীর গুলশানে ইতালির নাগরিক তাবেলা সিজার হত্যাকারীদের সনাক্ত ও গ্রেফতারের কথা উল্লেখ করেন। আইজিপি ঢাকা শহরের প্রত্যেকটি জায়গায় ‘হাই রেজুলেশন নাইট ভিশন ক্যামেরা স্থাপনে নগরবাসীকে অনুরোধ জানান। জনগণের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ পুলিশ জীবন-বাজি রেখে সর্বক্ষণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, পুলিশের পাশাপাশি জনসাধারণকেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় অবদান রাখতে হবে।
বিদেশী ষড়যন্ত্রের কথা উল্লেখ করে একেএম শহীদুল হক বলেন -“বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট করার লক্ষ্যে দেশী-বিদেশী ষড়যন্ত্রকারীরা আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে। কিন্তু সকল ষড়যন্ত্র আমরা নস্যাৎ করেছি।’
তিনি আসন্ন রমজান ও ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে জিনিস পত্রের দাম না বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে বলেন,‘আপনারা খাবারে ভেজাল মেশাবেন না’।
আইজিপি বলেন,‘এখন বাংলাদেশ পুলিশ গর্ব করে বলতে পারে বিশ্বের যে কোন দেশের পুলিশের চেয়ে আমাদের পুলিশিং কার্যক্রম অনেক ভালো। বাংলাদেশ পুলিশের তদন্তে ৬২ জন জঙ্গীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে তার মধ্যে ৬ জনের ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। লালবাগ বিভাগে ৩৩৪০টি সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য লালবাগবাসীকে তিনি অভিনন্দন জানান।
আইজিপি নিরাপত্তার স্বার্থে আরো সিসি ক্যামেরা বসানোর জন্য অনুরোধ জানান ।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার বলেন “ঢাকা মহানগরীর প্রত্যক ইঞ্চি জায়গা সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হবে, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি নগরবাসীকে পুলিশের সহায়তা করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে’। সিসি ক্যামেরাকে নিরাপত্তার প্রধান অনুষঙ্গ উল্লেখ করে তিনি রাজধানীর সকল মার্কেটে ও শপিং মলে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের জন্য সংশ্লিষ্ট দোকান মালিক কর্তৃপক্ষকে আহবান জানান। তিনি বলেন- বাস, লঞ্চ ও রেলওয়ে টার্মিনালে যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষে পুলিশের পাশাপাশি কমিউনিটি ট্রাফিক পুলিশি ব্যবস্থা জোরদার করা হবে। চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও ছিনতাই রোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে তিনি বলেন- অপরিচিত কোন ব্যক্তি মোবাইলে হুমকি বা চাঁদা দাবি করলে সাথে-সাথে পুলিশকে জানাতে হবে। মোবাইলে হুমকি ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধে ডিএমপি সর্বদা তৎপর রয়েছে।
থানাকে জনগণের আস্থার স্থান হিসেবে উল্লেখ করে কমিশনার বলেন, সকল ধরনের সেবা নিশ্চিত করবে থানা পুলিশ।
অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে বাংলাদেশ পুলিশ প্রধানের হাতে ইসলামপুর ব্যবসায়ী সমিতি একটি নতুন পুলিশ ভ্যানের চাবি হস্তান্তর করেন।
পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরবৃন্দ ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ড. ইউনূসের মন্তব্য দেশের মানুষের জন্য অপমানজনক : আইনমন্ত্রী
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, কর ফাঁকি দেওয়ার মামলাকে পৃথিবীর বিভিন্নবিস্তারিত পড়ুন
ময়মনসিংহে ওসি-এসপি’র বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর
সরকারি দায়-দায়িত্ব ও কর্মকান্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সম্পদের যথাযথবিস্তারিত পড়ুন
ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠায় জনগণের সাথে রায়েছে বিচার বিভাগ
দেশের মানুষের ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছেবিস্তারিত পড়ুন