রূপালি পর্দার প্রসঙ্গ আসলেই অনিবার্যভাবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশনের নাম এসে যায়। সংক্ষেপে যার নাম বিএফডিসি, সবাই চেনেন এফডিসি নামে। সাধারণ মানুষের মনে এফডিসি মানেই তারকাদের উপস্থিতিময় বর্ণিল আলোর ঝলমলে পট। কিন্তু শনিবার (২৭ আগস্ট) এক বেলা এফডিসি ঘুরে এ ধারণার সঙ্গে মিল পাওয়া গেল না। এক সময়ের চলচ্চিত্রের কর্মমুখর এফডিসি এখন যেন অপরিচ্ছন্ন কোলাহলহীন নির্জন ভূমি।

প্রবেশ পথ ধরে সোজা গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে খানিকরা এগুলেই ৪ নম্বর ফ্লোর। এ ফ্লোরের সামনে কলার খোসা, পলিথিনসহ আবর্জানার স্তুপ। আরেকটু সামনে গিয়ে ৩ নম্বর ফ্লোর। দরজায় দাড়াতেই তীব্র গুমোট গন্ধ। ভেতরে সেট তৈরির কাজ চলছে।

মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্স ও নাজির আহমদ শব্দগ্রহণ ভবনের সামনের বিশাল চত্বরটি খাঁখাঁ করছিল বেলা সাড়ে ১১টার দিকে।

মান্না ডিজিটাল কমপ্লেক্সের পেছনে ঝর্ণা স্পটটি একেবারে নিরিবিলি। শুধু কিছু পাখির কিচির-মিচির শব্দ কানে আসে। আবর্জনার সঙ্গে পুকুরটি ক্ষুদ্র পানা ও আগাছায়পূর্ণ।

এফডিসিতে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিস ও ২ নম্বর ফ্লোরের সামনে একটি দৃষ্টিনন্দন বাগান চোখে পড়বে।

এ বাগানের পাশ ধরে এগিয়ে গেলেই মুক্তিযোদ্ধা চিত্রনায়ক জসিম ফ্লোর। এ ফ্লোরের পশ্চিম পাশের গলিটিও একেবারে নির্জন। এ গলি ধরে সামনে এগোলেই প্রশাসনিক ভবন, এ ভবনের সংস্কার কাজ চলছে। এ ভবনের পূর্বদিকে প্রযোজক পরিবেশক সমিতির অফিস। প্রশাসনিক ভবনের গা ঘেঁষে পূর্ব পাশের অংশটিও আবর্জনায় ভরা।

প্রশাসনিক ভবনের সামনে দিয়ে পূর্ব দিকে এগোলেই কড়াই তলায় কনক্রিট ও টাইলস ভাঙা, কাগজ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।

৮ নম্বর ফ্লোরের পশ্চিম পাশে বাংলাদেশে চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন কলা-কুশলী কর্মচারী ইউনিয়নের সামনে কিছু লোকজনের আনাগোনা চোখে পড়ে। পাশের ক্যান্টিন থেকে চা নিয়ে সামনের রাস্তায় বসেই খাচ্ছিল কেউ কেউ।