নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তিতে প্রতি জেলায় ইসির ট্রাইব্যুনাল
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদের নির্বাচনী বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য ট্রাইব্যুনাল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন।
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মহসিনুল হক জানান, দেশের ৬৪ জেলায় সংশ্লিষ্ট উপজেলার সব ইউপির নির্বাচনী বিরোধ সংক্রান্ত দরখাস্ত গ্রহণ, শুনানি ও নিষ্পত্তির জন্য জ্যেষ্ঠ সহকারী জজ আদালতের সমন্বয়ে এ নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন গত ১১ এপ্রিল সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।
ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ৬ এপ্রিল আইন মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে ১০ এপ্রিল নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আপিল ট্রাইব্যুনাল গঠনও প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এবার ছয় ধাপে ইউপি ভোট হচ্ছে। ২২ ও ৩১ মার্চ দুই ধাপের ভোট শেষ হয়েছে। এসব ইউপিতে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের নাম ও ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ শুরু হয়েছে ৭ এপ্রিল।
দলভিত্তিক এই ইউপি নির্বাচনকে ঘিরে অনিয়ম, কেন্দ্র দখল ও গোলযোগের ঘটনায় অন্তত ৩০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অনিয়ম, ফল পুনঃগণনা, জালভোট ও ফল পরিবর্তনসহ নানা ধরনের অভিযোগ নিয়ে প্রার্থীরা ইসির দ্বারস্থ হচ্ছেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইতোপূর্বে নির্বাচনী টাইব্যুনালে গিয়ে অভিযোগকারীর কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়ার নজির খুব কম।
অভিযোগকারীদেরও ট্রাইব্যুনালে যেতে অনাগ্রহ রয়েছে। গোপালগঞ্জে নির্ধারিত সময়ে অভিযোগ নিষ্পত্তি না করার নজিরও রয়েছে।
গত তিন সিটি নির্বাচনে বিএনপির পাশাপাশি ও অনেক প্রার্থী ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুললেও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে যাননি কোনো মেয়র প্রার্থী।
জানতে চাইলে ইসির উপ-সচিব মহসিনুল হক বলেন, ‘অভিযোগ নিয়ে দরখাস্ত করতে হবে, নিষ্পত্তিরও সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। আগের ইউপির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, এখন তো আর কিছু করার নেই।’
ইউপি নির্বাচন আইনে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচন বা গৃহীত নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল ছাড়া কোনো আদালত বা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষের কাছে আপত্তি উত্থাপন করা যাবে না।
প্রার্থী ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি এ নির্বাচন বা নির্বাচনী কার্যক্রম বিষয়ে আপত্তি উত্থাপন ও প্রতিকার প্রার্থনা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে আবেদন করতে পারবেন না।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে ট্রাইব্যুনালে মামলা করা যাবে। এ ট্রাইব্যুনাল নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো মামলা ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করবে।
নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায়ে সন্তুষ্ট না হলে রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে নির্বাচনী আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল করা যাবে। আপিল ট্রাইব্যুনালে আপিল দায়ের পরবর্তী চার মাসের মধ্যে তা নিষ্পত্তি করা হবে।
দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউপির ভোট আগামী ৪ জুনের মধ্যে শেষ হবে।
ভোট শেষে পর্যায়ক্রমে ফলের গেজেট প্রকাশ করে জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠাচ্ছে ইসি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
রবিবার যেসব এলাকায় ১০ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না
গ্যাস পাইপলাইনের মেরামত কাজ ও জরুরি স্থানান্তরের জন্য রবিবার দেশেরবিস্তারিত পড়ুন
জেমিনি চ্যাটবটে যুক্ত হলো মেমোরি, যে সুবিধা পাওয়া যাবে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চ্যাটবট জেমিনিতে নতুন সুবিধা যুক্ত করেছে গুগল।বিস্তারিত পড়ুন
ঢাকা সিটি কলেজে ক্লাস বন্ধ রাখা নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত
ঢাকা কলেজের বাস ভাঙচুরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার সংঘর্ষেবিস্তারিত পড়ুন