সরকার নির্বাচনের নামে তামাশা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

রোববার দুপুরে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৫ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে তার রাজনৈতিক দর্শন ও কর্মময় জীবন ভিত্তিক এক আলোচনাসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। হোটেল টাইগার গার্ডেন ইন্টারন্যাশনাল অডিটোরিয়ামে এ আলোচনাসভা আয়োজন করে খুলনা মহানগর বিএনপি।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র। আজ এই গণতন্ত্র নির্বাসনে। আর গণতন্ত্রের বাহন নির্বাচন। কিন্তু সরকার স্বাধীনতার সুবর্ণ ফসল গণতন্ত্র ধ্বংস করছে। নির্বাচনের নামে সরকার যা করছে, তা তামাশা ছাড়া কিছুই নয়।’

তিনি বলেন, ‘সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই, জনগণের আস্থা হারিয়ে সরকার সবার অপছন্দের পাত্রে পরিণত হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে ক্ষতমাসীনরা ষড়যন্ত্র করছে। এটা প্রতিহত করতে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। শিগগিরই দেশে আর একটি বিজয়ের ইতিহাস সৃষ্টি হবে।’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের অ্যাকাউন্টে তিনশ’ মিলিয়ন ডলারের সন্ধেহজনক লেনদেন সম্পর্কে প্রশ্ন উঠলে সরকার এটাকে ধামাচাপা দিতে বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে এনেছে। এসব টাকা কোথা থেকে আসে, কে দেয়? আমরা বলছি না যে তিনি দুর্নীতি করেছেন। জনগণ এই অর্থের উৎস জানতে চায়। দেশে রহস্যময় লেনদেন, ব্যাংক লুট, শেয়ার বাজার লুটের ঘটনা ঘটেছে। জনগণের মাঝে এসব নিয়ে এখন সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে। এটির তদন্ত হওয়া দরকার।’

তিনি বলেন, ‘মোসাদের ওই এজেন্টের সঙ্গে আগে জয়েরও সাক্ষাৎ হয়েছে, যা আওয়ামী লীগ দাবি করছে, এটা নাটক। অর্থাৎ আমাদের নেতার সঙ্গে আলাপ হলে সেটা ষড়যন্ত্র। আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে আলাপের অভিযোগ নাটক। ভারতের একান্ত মিত্র মোসাদের সঙ্গে ভারতে বুকে বসে কোনো বেকুব ছাড়া অন্য কেউ ষড়যন্ত্র করতে পারে না।’

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলে অভিযোগ করেন নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা মহানগর কমিটির সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান আলোচক ছিলেন বিএনপির চেযারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য ও ড্যাবের মহাসচিব ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সাবেক এমপি এম নুরুল ইসলাম এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত প্রমুখ।