নির্বাচনে অযোগ্য দলের ছড়াছড়ি দুই জোটে
বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ জোটবদ্ধ নির্বাচন ও আন্দোলন। ৯০-এর গণ আন্দোলন থেকে শুরু হয়েছে জোটের রাজনীতির। সেই থেকে রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের শক্তিবৃদ্ধির জন্য জোট গঠন করতে থাকে। তবে এসব দল ও জোট নিয়ে রয়েছে বহু আলোচনা সমালোচনা। একসময় মুক্তাঙ্গণ এলাকায় মাইক লাগিয়ে একদলের ৫ নেতাকর্মীকে নিয়ে অনেকটা সুখি পরিবারের মতো রাজনীতি করা দলগুলো আজ ফুলে ফেঁপে কেউ ক্ষমতার অংশিদার আবার কেউ রয়ে গেছেন পুরনো জগত, আর প্রেসক্লাব চত্বরে। এসব দলের নেতাকর্মী সংখ্যা কত? তার চাইতে ভয়ঙ্কর তথ্য হচ্ছে এদের অনেকেই নির্বাচনেই অংশ নিতে চায় না। তবে রাজনীতি করতে চায়!
১৯৯৯ সালের অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে বিএনপি, জামায়াত, ইসলামী ঐক্যজোট ও জাতীয় পার্টি নাজিউর রহমান মঞ্জুর নেতৃত্বাধীন (বিজেপি) নিয়ে গঠিত হয় চার দলীয় ঐক্য জোট। এরপর তাদের হালুয়া রুটির উপর ভাগ বসাতে আসে আরো ১৬টি দল। অবশ্য এসব দলের অফিস দূরবিক্ষন আর অণুবিক্ষণ যন্ত্র দিয়েও খুঁজে বের করা কঠিন।
এরপর ২০০৮ সালে নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারিতে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জোটবদ্ধ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় আসে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তথাপি ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টিসহ সমমনা কয়েকটি বাম দল নিয়ে গঠন করা হয় বর্তমান সরকার। তবে জাতীয় পার্টির একটি অংশ সরকারে থাকলেও অপর একটি অংশ বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছেন। বর্তমানে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ৮টি দল কোনো নির্বাচনে অংশ নেয় না। আর বাকি ৪টি দলই নিবন্ধনহীন।
অপর দিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন জোটে ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিলে চারদল থেকে বেড়ে ১৮-দলীয় জোট হয়। এরপর আরও দুই দল জোটে যোগ দিলে এর সংখ্যা দাঁড়ায় ২০-এ। ২০টি দল থাকলেও নির্বাচনের অযোগ্য ১২ দল। এদের মধ্যে ভোটের মাঠে থাকে ৩/৪ রাজনৈতিক দল। এছাড়া নির্বাচনে যোগ্য হবার চেষ্টাও করে না দুই জোটের কয়েকটি দল।
জানা যায়, বর্তমানে ১৪ দল মূলত ১২ দলে পরিণত হয়েছে। গণফোরাম ও সিপিবি জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ায় বাকি ১২ দল নিয়ে চলছে জোটটি। দলগুলো হলো- আওয়ামী লীগ, জাসদ (ইনু), বাসদ (একাংশ), গণআজাদী লীগ, গণতান্ত্রিক মজদুর পার্টি (একাংশ), গণতন্ত্রী পার্টি, ন্যাপ, ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি (জেপি), বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল (একাংশ), কমিউনিস্ট কেন্দ্র । ১২টির মধ্যে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন নেই চার দলের।
বর্তমানে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোটে রয়েছে-বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ), খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), এলডিপি, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপা, এনপিপি, এনডিপি, লেবার পার্টি, ইসলামিক পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাপ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, পিপলস লীগ, ডেমোক্রেটিক লীগ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর), সাম্যবাদী দল, ন্যাপ ভাসানী এবং মুসলিম লীগ।
এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার শাহ নেওয়াজ জানান, জোটে থাকতে হলে নিবন্ধন করতে হবে এমন কোনো আইন নেই। যে কেউই দল করতে পারে। ইসির নিবন্ধনের যোগ্য হলেই তাদের নিবন্ধন দেয়া হয়। bd24live
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন