নির্বাচন-কাউন্সিলে বাধা সৃষ্টি করতেই ধরপাকড় : বিএনপি
দলের পুনর্গঠন প্রক্রিয়ায় বাধা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি এবং আসন্ন পৌর নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থীদের অংশগ্রহণ বাধাগ্রস্থ করার উদ্দেশ্যে সরকার দেশব্যাপি যৌথ অভিযানের নামে ধরপাকড় শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
এ পর্যন্ত দলের তিন সহা¯্রাধিক নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে জানিয়ে দলটির মুখপাত্র আসাদুজ্জামান রিপন বলেন, ‘দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনে বিরোধী দলের প্রার্থীরা যাতে অংশ নিতে না পারে সরকার সেই ব্যবস্থাকে পাকাপোক্ত করতে এই গ্রেফতার শুরু করেছে।’
বৃৃহস্পতিবার দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অবাধ পৌর নির্বাচন আয়োজন এবং তাতে বিরোধী দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তিনি এই ‘প্রতিবন্ধতা’ দূর করার আহ্বান জানান।
দেশব্যাপি ধরপাকড়ে নির্বাচনের পরিবেশ বিঘিœত হবে উল্লেখ করেন রিপন বলেন, ‘এই পরিস্থিতিতে বিরোধী দলের পক্ষে নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং প্রচারণা চালানো কঠিন হয়ে উঠবে। কারণ, বিএনপির অনেক সম্ভাব্য প্রার্থী, পোলিং এজেন্ট, নির্বাচনী এজেন্ট এবং নির্বাচনী প্রচারণার কর্মী সমর্থকরা এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। অন্যরাও জুলুম নির্যাতনের আশঙ্কায় এলাকা ছাড়া হয়েছেন। এটি কি অবাধ নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ হতে পারে, সরকারের কাছে এই প্রশ্ন রাখতে চাই।’
পৌর নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক না হলে তা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মতো বিতর্কিত হবে বলেও মন্তব্য করেন বিএনপির এই মুখপাত্র।
তিনি বলেন, ‘সরকার যদি প্রশাসনের সহায়তায় এবং গায়ের জোরে সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও জিততে চায় তাহলে নির্বাচনের নামে প্রহসনের কি দরকার? সরকার যদি সত্যিই অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায় তাহলে অবশ্যই গ্রেফতার হওয়া নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে এবং দমন-নিপীড়নের পথ থেকে সরে আসতে হবে। তা না হলে আসন্ন পৌর নির্বাচন ৫ জানুয়ারির মতো প্রশ্নবিদ্ধ হবে।’
চলমান ‘সংকট’ উপলব্ধি করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিপন বলেন, ‘সরকারকে অপরাজনীতির কৌশল থেকে সরে এসে ধরপাকড় বন্ধ করতে হবে এবং বিএনপির আটক নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে। আশা করি, সরকার চলমান রাজনৈতিক সংকটকে উপলব্ধি করতে সক্ষম হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থ ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনে সমঝোতার পথকে বেছে নেবে।’
দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের বিলে অনেক ‘অসামঞ্জস্য’ আছে উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এসব বিষয়ে বিএনপি ও নাগরিক সমাজ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেও তাতে কোনো পাত্তা না দিয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
দলীয় প্রতীকে পৌর নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে কী না- এ প্রশ্নের জবাবে সরাসরি কোনো উত্তর না দিয়ে রিপন বলেন, ‘বাংলাদেশে এখনো দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের মতো রাজনৈতিক পরিস্থিতি হয়নি। তবে যেহেতু নির্বাচন হবেই সেহেতু বিএনপি চায় তা অবাধ এবং সুষ্ঠু হোক। আর বিএনপি কোনো নির্বাচনই বর্জন করতে চায় না।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পুনর্গঠন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে সরকার সারা দেশে বিএনপির নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করছে। দেশে এখন বিএনপির কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নেই। দলের কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে জেলা পর্যায় থেকে পুনর্গঠনের মাধ্যমে এর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছিল। কিন্তু প্রশাসন ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে আসছে। তা স্বত্ত্বেও আমরা পুনর্গঠন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছিলাম। কিন্তু যৌথ অভিযানের নামে নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে এই প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে। বিগত বছরগুলোতে সরকারের এমন দমন নিপীড়নের মুখে কাউন্সিলের প্রস্তুতি নিতে পারেনি বিএনপি।’
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের মধ্যে আবদুল লতিফ জনি, আসাদুল করিম শাহিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
ফের ২ দিন রিমান্ডে আনিসুল হক
রাজধানীর বাড্ডা থানার স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা আল-আমিন হত্যা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রীবিস্তারিত পড়ুন
আমির খসরু: নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণকে দেশের মালিকানা ফিরিয়ে দিতে হবে
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, “গণতন্ত্রেরবিস্তারিত পড়ুন
জামিন পেলেন সাবেক বিচারপতি মানিক
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় সিলেটের কানাইঘাটের ডোনা সীমান্ত এলাকা থেকেবিস্তারিত পড়ুন