নির্যাতনে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গৃহকর্তার হুমকি
রাজধানীতে শারীরিক নির্যাতনে রোকসানা আক্তার (১৫) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশকে না জানাতে ওই গৃহকর্তা নিহতের স্বজনদের হুমকি দিচ্ছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নিহত রোকসানা নীলফামারি জেলার কচুপাতা গ্রামের পরামানিক পাড়ার মোজাম মিয়ার কন্যা। রাজধানীর ধানমণ্ডি ২৭-এর ৩০ নং বাসায় দীর্ঘদিন ধরে সে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছে।
রোববার ভোররাতে রোকসানা কলাবাগান পদ্মা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। পরে কলাবাগান থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ময়নাতদন্তের নিয়ে আসে।
নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম জানান, ধানমণ্ডি ২৭ নং রোডে ফরিদ নামে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তার বাসায় রোকসানা ৮ বছর ধরে গৃহপরিচারিকার কাজ করছে। তাকে প্রতিমাসে তিন-চারশ টাকা দেয়া হতো। স্বজনেরা খোঁজখবর নিতে গেলে রোকসানা জানাত, তাকে মারধর করা হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে যেতেও বারবার তাগাদা দেয় মেয়েটি। কিন্তু বোনকে নিয়ে যেতে চাইলে গৃহকর্তা ফরিদ দু’এক মাস পর নিয়ে যেতে বলে।
তিনি জানান, গত ১৮ অক্টোবর ওই গৃহকর্তা ও তার গৃহকর্ত্রী ফোনে জানায়, রোকসানা খুব অসুস্থ। তাকে কলাবাগান পদ্মা জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে। খবর পেয়ে তারা হাসপাতালে ছুটে যায়। রোববার ভোররাতে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এদিকে এ ঘটনা পুলিশকে না জানাতে বারবার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, ‘আমার বোনকে শারীরিক নির্যাতন করে মেরেছে ওরা। গৃহকর্তা ফরিদ আমাদের কাছ থেকে একটি সাদা কাগজে সই নিয়েছিল। পুলিশকে না জানাতে তিনি হুমকি দিচ্ছেন। এ কারণে পুলিশকে জানাইনি।’
তিনি আরো বলেন, তিন ভাই তিন বোনের মধ্যে ছোট রোকসানা আক্তারের গলায় দাগ ছিল। এ ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখমের চিহ্ন আছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ

তেহরানে বাংলাদেশ দূতাবাসের সবাইকে দ্রুত সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত
ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে চলমান সংঘাত ক্রমেই উদ্বেগজনক রূপ নিচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেবিস্তারিত পড়ুন

সংঘাতের মাঝেও তেহরানের বায়ুমান ঢাকার চেয়ে ভালো
সোমবার রাত থেকেই দফায় দফায় কয়েক পশলা বৃষ্টি হয়েছে ঢাকায়।বিস্তারিত পড়ুন

অবিলম্বে তেহরান খালি করার আহ্বান ট্রাম্পের
ইরান-ইসরায়েল সংঘাত পঞ্চম দিনে গড়ানোর আগেই তেহরানবাসীদের শহর খালি করারবিস্তারিত পড়ুন