নিহত মুক্তিযোদ্ধার শরীরে ১১টি আঘাতের চিহ্ন
ঝালকাঠিতে পিটিয়ে আহত করার পর নিহত মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক আব্দুস ছালাম খানের শরীরে ১১টি আঘাতের চিহ্ন পেয়েছেন ময়নাতদন্তের চিকিৎসক। বুধবার দুপুরে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। ঝালকাঠির সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রহিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
এদিকে মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী।
প্রাথমিকভাবে সিভিল সার্জন ডা. আব্দুর রহিম বলেন, ‘নিহত মুক্তিযোদ্ধার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ১১টি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। তবে ঢাকায় ভিসেরা রিপোর্ট সম্পন্ন হওয়ার পর নিশ্চিত করে মৃত্যুর কারণ বলা যাবে।’
জেলা প্রশাসক মো. মিজানুল হক চৌধুরী বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মানিক রহমানকে প্রধান করে এক সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১ ডিসেম্বরের মধ্যে তাকে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’
এদিকে, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম খান হাসপাতাল মর্গের সামনে এসে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা হত্যার প্রতিবাদে আমরা মানববন্ধন করব। হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানাই। ’
প্রসঙ্গত, মুক্তিযোদ্ধা শিক্ষক ছালাম খানের বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত আব্দুর রহমান খান কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করত রাজাপুরের আমতলী গ্রামের মরিয়ম আক্তার মুক্তা। তিন মাসের বেতন বকেয়া থাকায় সোমবার (১৪ নভেম্বর) শিক্ষক মরিয়ম আক্তার মুক্তার বাড়িতে বেতন পরিশোধ করতে ওই মুক্তিযোদ্ধা ঝালকাঠি ও পিরোজপুরের সীমান্তবর্তী রাজাপুরের আমতলা গ্রামের বাড়িতে যান।
এসময় জমিজমা নিয়ে পূর্বশত্রুতার জের ধরে স্থানীয় সাতুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও ইউনিয়ন যুবলীগ সদস্য বাচ্চু হাওলাদার ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহ আলমের নেতৃত্বে আরও কয়েকজন, শিক্ষিকার সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্কের গুজব ছড়িয়ে ওই মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে আহত করে।
আহত অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে নিজ বাড়িতে মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যু হয়।
নিহত আব্দুস ছালাম খান পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলার ভাণ্ডারিয়ার শিয়ালকাঠি এলাকার বাসিন্দা। তিনি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ছিলেন।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শামসুল আলম মুরাদ বাদী হয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও সাতুরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য বাচ্চু হাওলাদার ও ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহ আলমসহ নামধারী ৮ জন ও আরও ২/৩ জনকে আসামি করে মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০ টার দিকে রাজাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
নিহত মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস ছালাম খানের ছেলে শামসুল আলম মুরাদ প্রশাসনের কাছে তার বাবা হত্যার বিচার দাবি করেছেন।
রাজাপুর থানার ওসি মুনির উল গিয়াস বলেন, ‘মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা পালিয়ে আছে ।’ তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
পিরোজপুর প্রতিনিধি জানান, জেলার ভাণ্ডারিয়ার এই মুক্তিযোদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা। এর প্রতিবাদে ভাণ্ডারিয়া মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড বুধবার সকালে ভাণ্ডারিয়া বন্দরে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে।
এই সংক্রান্ত আরো সংবাদ
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে স্বাগতিক ওয়েস্টবিস্তারিত পড়ুন
রাস্তা আটকে যমুনা ফিউচার পার্কের ব্যবসায়ীদের বিক্ষোভ
যমুনা ফিউচার পার্কে মোবাইলের দোকানে চুরির প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভবিস্তারিত পড়ুন
যে ৫ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
থাইল্যান্ড, মিয়ানমার, লাওস, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ায় যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশি নাগরিকদেরবিস্তারিত পড়ুন